October 27, 2024

মায়ের কিডনি বাঁচাতে ছেলে কোয়েম্বাটুরে গেলেন চিকিৎসায়

1 min read


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কিডনির চিকিৎসার
জন্য সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিল কেন্দ্র এবং সাধারণ মানুষ
রায়গঞ্জের পূর্ব নেতাজিপল্লির বাসিন্দা অমিত রায়ের ।
কেন্দ্র থেকে চিকিৎসার জন্য তিন লক্ষ টাকা অনুমোদনের চিঠি পাওয়ার পর কিডনি
প্রতিস্থাপন করিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন অমিতবাবু। এর আগে সোশ্যাল
মিডিয়ায় আবেদন জানিয়ে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা সাহায্য পেয়েছেন। বুধবার কিডনি
প্রতিস্থাপনের জন্য মায়ের সঙ্গে তিনি তামিলনাডুর কোয়েম্বাটুরের উদ্দেশ্যে রওনা
দেন। প্রসঙ্গত
, গত তিন
মাস ধরে তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন।
 

বাঁচার জন্য কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনও পথ নেই। আর তার
জন্য আট লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সামান্য আয়ে সংসার চালিয়ে এই টাকা তাঁদের পক্ষে
জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। এমনিতেই তিন মাস ধরে চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।
সমস্যার কথা জানিয়ে তাঁর পরিবার কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল।
 সাধারণ মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
তাঁরা। স্বপ্নাদেবী তাঁর ছেলেক নিজের একটি কিডনি দেবেন বলে জানিয়েছেন। অমিতবাবুর
মা স্বপ্নাদেবী বলেন
, আমার
ছেলে দীর্ঘ তিনমাস ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছে। আমরা আগে ওর চিকিৎসা করিয়েছি। তাতেও
অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। এরপর আমরা সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন
করেছিলাম। তাতে বহু মানুষ আমাদের অর্থ সাহায্য করেছেন। সেখান থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা
পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও সাহায্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
কয়েক দিন আগে সেই সাহায্য অনুমোদনের চিঠি এসেছে। আর্থিক সাহায্য করার জন্য
প্রধানমন্ত্রী সহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আমার নিজের একটি কিডনি ছেলেকে দেবো। আমি
চাই নিজের প্রাণ দিয়ে হলেও ছেলের প্রাণ বাঁচাতে।

পেশায় কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ী অমিতবাবু। তাঁর
বাবা অরুণ রায় পেশায় গ্যারেজ কর্মী। অমিতবাবুর একটি সাড়ে তিন মাসের কন্যা সন্তান
রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে
, ওই কন্যা সন্তান হওয়ার সময়েও অমিতবাবু কোয়েম্বাটুরে
চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্ত্রী রিম্পাদেবী ও শিশুকন্যাকে বাড়িতে রেখে মায়ের সঙ্গে এদিন
আবার কোয়েম্বাটুরের উদ্দেশে রওনা দিলেন তিনি।

অমিতবাবুর মা স্বপ্না রায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রের
কাছে তিনি ছেলের এই চিকিৎসায় সাহায্য করার জন্য আবেদন করেছিলেন। এদিন তিনি বলেন
, সেই
আবেদনে সাড়া দিয়ে তিন লক্ষ টাকা অনুমোদনের চিঠি এসেছে। তিন লক্ষ টাকা সরাসরি
হাসপাতালকে দেওয়া হবে। তার আগে অমিতের চিকিৎসার জন্য একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক
সাইটে চিকিৎসায় অর্থ সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলাম। এতে বহু মানুষ সাহায্যের হাত
বাড়িয়ে দেন। সেখান থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা জোগাড় হয়েছে।
 




(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *