রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিমূল্যের বাজারে জামাইষষ্ঠী হতে চলেও শশুর মশাইদের পকেটের অবস্থা সঙ্গীন
1 min readরাত পোহালেই বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিমূল্যের বাজারে জামাইষষ্ঠী হতে চলেও শশুর মশাইদের পকেটের অবস্থা সঙ্গীন
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১১ জুন:রাত পোহালেই বাঙালিদের ঘরে ঘরে বাবা জীবন জামাইদের ঠাঁই হতে চলেছে।বাব জীবন জামাইদের যেমন বছরে একটা দিন ভি আই পি হবার সুযোগ আসে।আর এই সুযোগ কার না নিতে ইচ্ছা করে। সারা বছর যেমন তেমন বছরে একটা দিনতো স্বশুর মাশায়দের পকেটের অবস্থা সঙ্গীন করবার সুযোগ জামাইরা পেয়ে থাকে।বুধবার সেই সুযোগ একেবারে সামনে চলে এসেছে।এদিকে জামাই ষষ্ঠীর বাজারের অবস্থা কয়েক দিন আগে থেকেই আগুন ঝরছে। ইতিমধ্যেই বাড়িতে বাড়িতে আগামী কালের জামাই বাবাদের আদর আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের হাল সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁচেছে।মঙ্গলবার থেকেই কালিয়াগঞ্জ শহরের মাছের বাজারে বর ইলিশ দুই হাজার টাকা কেজি,রুই মাছ তিনশো পঞ্চাশ টাকা, দেশি মুরগি কেজি তিনশো টাকা,খাসির মাংস আটশো টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি বা বারোশো টাকা কেজি।
কালিয়াগঞ্জ মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার,কালিয়াগঞ্জ তাঁরা বাজারে গত কাল থেকেই জামাই ষষ্ঠীর বাজার শুরু হওয়াতে সাধারন মানুষদের বাজারে গিয়ে বাজার করা বর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।শুধু মাছ মাংস দিয়েইতো জামাই ষষ্ঠী শেষ করা যায়না।লাগবে বিভিন্ন পদের অত্যাধুনিক মিষ্টি।মিষ্টির বাজার দর যেমন এই মুহূর্তে আগুন ঠিক একই অবস্থা ফলের বাজারেও।যে সমস্ত এক একটি মিষ্টির পিসের দাম কম করেও ২০ টাকার নিচে নয়।একবার ভাবুনতো বাড়িতে যদি তিন তিনটে জামাই একসাথে প্রবেশ করে তাহলে সেই বাড়ির শশুর মশায়ের অবস্থা কি হতে পারে? জামাই ষষ্ঠীতে আমের দাম একলাফে একশো টাকা কেজিতে উঠে গেছে, লিচুর অবস্থা একটি লিচুর দাম আড়াই টাকা করে।তবুও জামাই বাবাদের আপ্যায়নে স্বশুর মশাইরা কিন্তূ পকেটের দিকে না তাকিয়ে তাদের খুশি করবার জন্য মঙ্গল ও বুধবার কোন রকম ত্রুটি রাখবে বলে মনে হয়না। জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের খুশি করতে কি করেনি বলেনতো?এই পেঁচ পেঁচা গরমে বাবা জীবন জামাইদের মাথা কোন ভাবেই গরম না হয়ে যায় তাকে শীতল রাখার সব রকম ব্যাবস্থা আজ কমপ্লিট।শুধু বৃহস্পতিবার খুব সকালে একটু ফিনিশিং টাচ দিয়েই শুরু হবে বহু প্রতীক্ষিত বাঙালিদের জামাই ষষ্ঠীর বোধন পর্ব।