কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনে রেল টিকিট বিক্রিতে দালাল চক্র সক্রিয়
1 min read
তপন চক্রবর্তী : উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনে রেলের টিকিট বিক্রিতে এক শ্রেণীর রেল কর্মচারীদের সাথে দালাল চক্রের যৌথ উদ্যোগে রেল যাত্রীদের নাভিশ্বাস।কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে কলকাতা,দিল্লী ও দূরবর্তী স্থানে রেলের টিকিট কাটতে গেলেই বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।রেল কর্মচারীদের সাথে এই নিয়ে হামেশাই কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে রেলের টিকিট কাটতে আসা মানুষদের সাথে গন্ডগোল লেগেই থাকে।রেলের টিকিট কাটতে আসা যাত্রীরা প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছে।সাধারণ মানুষের অভিযোগ রেলের নির্ধারিত টিকিটের দামের থেকে কেন অতিরিক্ত টাকা রেল কর্মচারীরা দিতে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করছে?স্টেশন মাস্টাররের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ করলে তার কোন সুরাহা হয়না।অবিলম্বে এই ব্যবস্থা বন্ধ না করা হলে খুব শীঘ্রই কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনে ব্যাপক আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে জানান ক্ষুব্ধ রেল যাত্রীরা।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনে একজন মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে অর্থ আয়ের জন্য সব সময় ব্যাস্ত থাকেন।
অনেকের অভিযোগ কালিয়াগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টারও এই অবৈধ কাজ কর্মের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছেন বলেই তিনি রেলের টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের জন্য কাওকে কিছু বলতে পারেন না।রবিবার সকালে জনৈক রেল যাত্রী পুরীতে যাবার জন্য টিকিট কাটতে কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনে এসে মালদা থেকে উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর পর্যন্ত রেল টিকিট কাটতে কত টিকিটের দাম জানতে চান।তখন কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনে টিকিট কাউন্টরে থাকা বুকিং ক্লার্ক তাকে বলেন ভুবনেশ্বরের টিকিটের দাম ৪২০ টাকা।যদি আসন কনফার্ম করতে চান তাহলে অতিরিক্ত আরো ১৪৫ টাকা তাকে দিলে আসন কনফার্ম করে দেবে।যদিও ১৪৫টাকা রেল দপ্তরের ঘরে যাবেনা।এই টাকা যাবে বুকিং ক্লার্কের পকেটে। কোন ব্যক্তি দিল্লীর টিকিট কাটতে গেলে টিকিটের যা দাম তার চেয়ে অতিরিক্ত প্রতি টিকিট কখনো ৩০টাকা আবার কখনো ,৩৫ টাকা বাধ্যতামূলক ভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে। রেলের টিকিট কাটতে আসা যাত্রী সমীর সরকার বলেন তারা টিকিট কাটতে এসে প্রতিদিন রেলের এক শ্রেণীর কর্মী ও দালালদের খপ্পরে কেন পড়বেন এই সমস্ত ঘটনা তারা ডি আর এম কে জানাবেন।তিনি যদি এর পরেও কোন ব্যবস্থা না নেন তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন এবং তার সমস্ত দায় রেল দপ্তরকেই নিতে হবে বলে জানান।এদিকে কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশন ম্যানেজার সেকেন্দার টপ্পকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি ব্যাপারটা দেখছি।