October 27, 2024

মমতার সাইকেল তৈরী করছে কন্যাশ্রীর বাবা কালিয়াগঞ্জে

1 min read


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তন্ময়
চক্রবর্তীঃ
মমতার সাইকেল তৈরী
হচ্ছে কালিয়াগঞ্জে,আর সেই অভিনব
সাইকেল তৈরী করছে কন্যাশ্রীর
বাবারাহ্যা
এমনন অভিনব সাক্ষী রইল
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বিডিও
অফিসের চত্বরযেখানে
দেখা গেল কয়েক হাজার
সবুজ সাথী সাইকেল তৈরীর
পসরা নিয়ে বসে একের
পর এক সবুজ সাথীর
সাইকেল তৈরী করছে অনেক
কন্যাশ্রীর বাবারাতবে
যুবশ্রীরা বা বাদ যাবে
কেন তারাও হাত লাগিয়েছেন
সাধ্যমত সাইকেল তৈরী করতে


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});




(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

অনেক
যুবশ্রী তো বলেই ফেলেলেন
আমি দাদা অতসব বুঝি
না  আমি
তৈরী করছি মমতার সাইকেলআমি
জানি সাইকেল পাবে আমাদের
ঘরের ভাই বোনেরা
ফলে পায়ে হেটে আর
তাদের যেতে হবে না
কয়েক কিমি দূরে স্কুলেতাই
শক্তপক্ত ভাবে বানাচ্ছি সাইকেল
গুলোযাতে
কোন সমস্যা  না
থাকে ভাইদের বোনদের
সেই সাইকেল গুলো চালাতে


এই
কন্যাশ্রীর বাবা বৈদ্যনাথ রায়
বলেন,সে পেশায় সাইকেলের
মিস্ত্রী অভাবের
সংসার তাকে যেন পিছু
ছারছিল না কোন কিছুতেইতার
উপর  বাড়িতে
তার এক মেয়ে আছেসে
স্কুলে পড়াশুনা করেআজ
থেকে কয়েকবছর  আগে
অবধি মেয়েকে পায়ে হেটে
স্কুলে যেতে হতফলে মাঝে মাঝে
বাদ পরতো  স্কুলপরবর্তিতে
রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর অনুপেরনায় সবুজসাথী প্রকল্প চালু এখন মেয়ে
স্কুল থেকে পায় একটি
সাইকেলআর
সেই সাইকেল নিয়েই এখন
প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে স্কুলে 



এখন আর আগের মতো
সমস্যা হয় নাবৈদ্যনাথ বাবু বলেন নিজেই
একজন সাইকেলের মিস্ত্রী হয়েও কোনদিন
ভাবতে পারেন নি যে
কোনদিন তার মেয়ে
স্কুলে নিজে সাইকেল চালিয়ে
যাবেনতার
ক্ষমতা ছিল না একটা
সাইকেল তার মেয়েকে কিনে
দেওয়ার মতআজ
মেয়ের স্বপ্নপূরন করেছে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী
মমতা ব্যানার্জী বৈদ্যনাথ
বাবু বলেন এতদিন যেখানে
সে সাইকেল মিস্ত্রীর কাজ
করতেন সেখানে সারা দিনে
যে কাজ হত তা
খুব সামান্য ফলে আয় বলতে
তেমন কিছু হত নাকোনোরকমে
চলে যেতকিন্তু
এরপর হটাৎ ডাক
আসে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসে থেকে
যে তাকে নাকি মমতার
সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল
তৈরী করে দিতে হবে

এরপর
বাধাভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছাস
কে ধরে রাখতে পারেন
নি বৈদ্যনাথ বাবুতখন
তার মেয়েকে জরিয়ে ধরে
বলেন মনা এখন তোদের
সাইকেল আমিই বানাবোএর চেয়ে আনন্দ
কি বা হতে পারেএরপর
থেকে সে প্রতিদিন বিড়িও
অফিস চত্বরে  চলে
আসেন প্রতিদিন সরকারি বাবুদের মতো
সকলেইতিনি
জানান,সকাল থেকে সন্ধ্যা
পযন্ত প্রায় থেকে
টা সাইকেল এখন
তৈরী করছেন প্রতিদিনযার জন্য তিনি
প্রিতিদিন পারশ্রামিক পাচ্ছেন ৫০ টাকা করে
মোট সাড়ে চারশ টাকার
মত দিনেফলে
এখন আর অভাব দূর
হয়ে গেছেতাই
হাসিমুখি প্রতিদিন তিনি গুনগুন করে
মুখে গান করতে করতে
এই সাইকেল তৈরী করে
যাচ্ছেনএমন
করে তার মতো সেখানেই
তৈরীর কারিগরেরা মমতার সাইকেল তৈরী
করছেনতার
কথা শুনলে তো চক্ষুচরকগাছ
হয়ে যাওয়ার যোগারতিনি বলেন এখানে
সে নাকি ১২ থেকে
১৪ টা সাইকেল তৈরী
করছেন

বাপ
ঠাকুরদার একটি ব্যাবসা সাইকেল
তৈরী করা কে আকরে
ধরে মাধ্যেমিক পাশ করে সে
ধনকৌলে একটি দোকান করেছিলকিন্তু
সেখানে তেমন আয় হত
নাকিন্তু
হটাৎ মমতার সাইকেল তৈরী
করার ডাক পেয়ে এখন
সে সেখানে তৈরী করছে
সেই মমতার সাইকেলযেখানে থেকে তার
উপর্যন হচ্ছে দিনে ছয়শ
থেকে সাতশ টাকা

উল্লেখ্য
মূখ্যমন্ত্রীর স্নপ্নের সবুজ সাথী প্রকল্পে
সাইকেল বিলির জেরে রাজ্যের
গ্রামঞ্চলে স্কুল ছুট পড়ুয়ার
সংখ্যা কমেছেযার
ফলে রাজ্যের শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি হচ্ছেপিছিয়ে
পড়া জনজাতির ছেলেমেয়েদের সমাজের মূল স্ত্রোতে
ফিরেছেনফলে
সার্বিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধির পথকে আরও সুগম
বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট
মহল সমীক্ষকদের
দাবি,রাজ্যের মোট ৪০ হাজার
২১৮টি গ্রামের মধ্যে মাধ্যেমিক এবং
উচ্চ মাধ্যেমিক স্তরের স্কুলের সংখ্যা
যথাক্রমে হাজার ২৪২
টি এবং হাজার
৫০০ টিগ্রামের
বাইরে পাচ কিলোমিটার এবং
তার চেয়ে দূরে অবস্থিত
মাধ্যেমিক এবং উচ্চমাধ্যেমিক স্কুলের
সংখ্যা যথাক্রমে হাজার ৪টি
এবং ১১ হাজার ৫৭০
টিবাকিগুলি
তার চেয়েও আরোও দূরে
অবস্থিতসরকারি
কর্তাদের দাবি সবুজ সাথী
প্রকল্পে সাইকেল বিলির জেরে
পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে বিগত
বছরের থেকে স্কুলছুটের সংখ্যা
মারাত্মক কমেছেওই
মহলের মতে এতদিন দূরত্বের
কারনে অনেকেই ছুট হয়ে
যেতেনকিন্তু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  হাতে
ধারে যে ভাবে ৪০
লক্ষ ছেলে মেয়ের হাতে  সাইকেল
তুলে দেওয়া হয়েছে , তাতে
এখন গ্রাম থেকে
কিমি দূরে স্কুল হলেও
সাইকেলের দৌলতে ছেলে মেয়েরা
সংশ্লিষ্ট পথ উজিয়ে সাইকেল
চড়ে স্কুল যাচ্ছেনফলে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী
মমতা ব্যানার্জীর স্বপ্ন যে অনেকটাই
সফল তা বলা যেতেই
পারে


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *