October 27, 2024

কালিয়াগঞ্জের নাটমন্দির চত্বরে রথের মেলায় কী বিক্রি হছে জানেন ?

1 min read
পিয়া গুপ্তা  , উত্তর দিনাজপুর : সারা রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে আজ উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে ধুম ধামের সাথে পালিত  হচ্ছে রথ যাত্রা উৎসব।জেলার সবচেয়ে প্রাচীন রথ যাত্রা উৎসব এদিন প্রতিবছরের ন্যায় পালন হয় জেলার কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দির চত্বরে ।বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এদিন আসে নাটমন্দির চত্বরে রথের মেলা দেখতে।সাধারণ মানুষকে দেখা যায় প্রচন্ড উৎসাহ সহকারে রথের সামনে এসে রথ টানতে এবং কলা বাতাসা ছিটাতে।এদিন রথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে নাটমন্দির চত্বরে বসে একটি মেলা।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

যেখানে প্রধান আকর্ষণ ছিল নটকন ফলে পসরা সাজিয়ে দোকানদার দের বিক্রি করতে।প্রচুর মানুষ মেলায় এসে রথ দেখার সাথে সাথে সেই নটকল একটু হলেও কিনে নিয়ে যেতে ।প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী রথের মেলায় বহু মানুষের সমাগম যেন মিলন ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল।পুরীর রথের পাশাপাশি জেলায় জেলায় সাড়ম্বড়ে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা। শনিবার সকাল থেকেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ,কালিয়াগঞ্জ সহ বহু জেলাতে পালিত হলো রথযাত্রা । রীতি মেনে রথ টানা শুরু হয়েছে বিভিন্ন জেলাতেও। রথ যাত্রা উপলক্ষে কালিয়াগঞ্জের নাটমন্দির প্রাঙ্গণে  অগণিত মানুষের ভীর দেখা গেল শনিবার সকাল থেকেই । অগণিত ভক্তের ভিড় সামলাতে প্রত্যেকটি জেলাতেই জায়গায় জায়গায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

আর রথ মানেই মেলা। সেই উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় বসেছে মেলাও। শনিবার সকাল থেকেই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা-র আরাধনায় মাতলেন কালিয়াগঞ্জ বাসী। 65 বছরে  পদার্পণ করলো এবারে  কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী  রথযাত্রা । এই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর গ্রামীণ মেলাও কালিয়াগঞ্জের নাটমন্দির প্রাঙ্গণে  ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কালিয়াগঞ্জ এর এই  মেলার বৈশিষ্ট্য হল নটকন ও জিলেপি।বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই রথের মেলায় আসে নটকন খেতে।টক মিষ্টি  এই ফলটি সোজা রথ ও উল্টো রথের দিনই পাওয়া যায় ।সারা বছর  নটকন এই ফলটির দেখা না মিললেও রথের এই একটি দিন এই ফলটি পাওয়া যায় ।ফলে সাধারণ মানুষের কাছে এই ফলটির বিশেষ চাহিদা।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 এছাড়া ও বিকেল থেকে রথে জগন্নাথ দেবকে চিনি কলা দিতে হাজারো  মানুষের ভীর কালিয়াগঞ্জের নাটমন্দির প্রাঙ্গণে  ।একটা সময় কালিয়াগঞ্জের এই রথের মেলার সব থেকে আকর্ষণীয় ছিল মাটির তৈরি পুতুল ও কাঠের তৈরি সামগ্রী  ।যা ছোটো থেকে বড়ো সকলের কাছে আকর্ষণীয় ছিল এক সময়  । তবে বর্তমান যুগ মানুষের রুচির সাথে সাথে  ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 এক সময় মাটির তৈরি পুতুল বিক্রি করে রথের মেলায় ভালই রোজগারের মুখ দেখতো মৃত্  শিল্পীরা। তবে  চাহিদা কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই কাঠের খেলনা বানাতে শুরু করলেন শিল্পীরা । তবে ধীরে ধীরে  কাঠের খেলনা ছেড়ে বর্তমানে প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার প্রতি ঝোঁক বেড়েছে শিশুদের।শিল্পী তপন চক্রবর্তী  বলেন, কালিয়াগঞ্জ  এর এই মেলাটি তাঁর বাবার আমল থেকে দেখে আসছেন তখন অনেক জায়গা থাকতো বেশ বড় একটা মেলা হতো।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 তেলে ভাজা থেকে জিলিপি সব থাকলেও মাটির পুতুলের চাহিদা ছিল বেশ। এখন মাটি সেই ভাবে পাওয়া যায় না । এছাড়াও ছোটদের কাছে মেলার সব থেকে আকর্ষণীয় যেটা ঘাড় নড়া দাদু সেটার দিকে তেমন ঝোঁক নেই তাদের ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 তার বদলে প্লাস্টিকের ছোটা ভীম, মটু পাতলু জায়গা করে নিয়েছে। ফলে এই পুতুল আগে যেমন ৫০০টিরও বেশি এক এক জন শিল্পী বানাতেন এখন জনা কয়েক শিল্পী বানান। সরকারিভাবে তেমন কোনও সাহায্যও তেমন নেই যে তারা সেটাকে টিকিয়ে রাখবে। তাই মেলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছেন শুধুকয়েকজন। জায়গা না থাকায় মেলার পরিসরও অনেকটাই কমে গিয়েছে এই নাটমন্দির প্রাঙ্গণে । এক সময় এলাকার শিল্পীরা ছাড়াও বাইরে থেকে অনেক শিল্পী মাটির তৈরি পুতুল নিয়ে আসতেন এখন তাঁরাও আসেন না। এছাড়াও নতুন প্রজন্ম তেমন ভাবে মাটির পুতুল তৈরিতে আগ্রহ দেখায় না । ফলে আগামী দিনে এই শিল্প কি ভাবে বেঁচে থাকবে সেই নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে শিল্পীদের মধ্যে।এদিন কালিয়াগঞ্জের নাটমন্দির প্রাঙ্গণে অবস্থিত এই রথ মেলাকে ঘিরে মানুষের উত্সাহ ও ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।কথায় বলে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। এগুলোর মধ্যে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা ও উল্টোরথ মানে পুনর্যাত্রা ইত্যাদি উৎসব সামাজিকভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। পুরাণ মতে, প্রায় দু’হাজার বছর পূর্ব থেকেই রথযাত্রা ও উল্টোরথ উৎসব প্রচলিত। ষড় ঋতুর দ্বিতীয় ঋতু মানে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ার্ধে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়। এর এক সপ্তাহ পর উল্টোরথ উৎসব হয়ে থাকে। রথোপরি ডানে প্রভু জগন্নাথ মাঝখানে তাঁর বোন সুভদ্রা এবং বামে বলভদ্র। ভক্তদের বিশ্বাস, রথোপরি আসীন দেবমূর্তি দর্শন ও রথ টেনে নেয়ার সুযোগ তাঁদের জন্য দেবতার আশীর্বাদ লাভের সহায়ক।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *