October 24, 2024

কালিয়াগঞ্জের কুনোরের হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের বাড়িতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ পড়ুয়া ক্ষেত্র সমীক্ষায়

1 min read

কালিয়াগঞ্জের কুনোরের হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের বাড়িতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ পড়ুয়া ক্ষেত্র সমীক্ষায়

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৪ ডিসেম্বর:প্রতিবেশী বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী(ফোকলোর) বিভাগের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন ধরনের মানুষের জীবন যাপন,আচার আচরন,সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে ক্ষেত্র সমীক্ষা করতে শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফা নগর অঞ্চলের কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা গ্রামে এসে হাজির হয়।শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা এবং পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্স এর সহায়তায় রায়গঞ্জ শহরে আসে। শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কুনো র হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের পাড়ায় ৩০ জন শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কুনো র হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের পাড়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন পড়ুয়ারা হাতে কলমে টেরাকোটার কাজ, মৃৎ শিল্পী দের সাথে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা,মত বিনিময় করেন।

 

বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ৩০ জন পড়ুয়াদের সাথে সঙ্গ দিতে বিশিষ্ট কবি,সমাজসেবী সোমনাথ চক্রবর্তী,পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার্স অফ কমার্স এর সাধারন সম্পাদক শংকর কুন্ডু এবং রায়গঞ্জের প্রবীণ মৃৎ শিল্পী ভানু পাল তাদের সাথে কুনোরের হাট পাড়ায় আসেন।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের দুই পড়ুয়া সাহা রিয়ার শুভ এবং দিলারা ইসলাম সাদিয়া বলেন পরিবেশ দূষনের হাত থেকে মৃৎশিল্প সমাজকে বাঁচাতে পারে তাকে যদি কাজে লাগানো যায় আন্তরিকতার সাথে।আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে,হোটেলে প্লাস্টিকের থালা বাটি ব্যাবহার না করে তার পরিবর্তে মৃৎ শিল্পীদের তৈরি মাটির থালা বাসন ব্যাবহার করতে পাড়ি তাহলে পরিবেশ দূষনের হাত থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি।অন্য দিকে মৃৎশিল্পীরা অনেকটাই আর্থিক স্বচ্ছলতার দিশা দেখতে পারে বলে পড়ুয়ারা মনে করেন। জানা যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম এবং উদয় শংকর বিশ্বাসের নেতৃত্বে ভারতে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ পড়ুয়াদের দল।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উদয় শংকর বিশ্বাস বলেন লোক সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু অজানা তথ্য জানার আগ্রহ নিয়েই ওপার বাংলার পড়ুয়ারা এপার বাংলায় এসেছে।কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটার একটি করে হাতের বানানো দ্রব্য পেয়ে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা ভীষন খুশী বলে জানা যায়।তিনি বলেন লোক সংস্কৃতির মধ্যে এমন অনেক কিছু লুকিয়ে আছে যা খুজে বের করে সমাজের কাজে লাগাতে পারলে সমাজ যেমন বহু বিষয়ে উপকৃত হতে পারে তেমনি লোক সংস্কৃতিকে যারা ধরে রেখেছে তারাও উপকৃত হতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।ক্ষেত্র সমীক্ষার।মাধ্যমে। আমরা পশ্চিম বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন আমাদের পড়ুয়ারা যেমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষেত্র সমীক্ষা করে অনেক কিছু সুরাহা করতে পারবে তেমনি ভারত_ বাংলা দেশের মধ্যে এই ক্ষেত্র সমীক্ষার কাজের মধ্য দিয়ে আমরা দুই দেশের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজটাও আমরা করতে পেরেছি।এর চেয়ে বড় পাওনা আর কি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *