December 5, 2024

ব্রিটিশ আমলের তৈরি হাসপাতাল পরিকাঠামো ও চিকিৎসকের অভাবে ধুকছে

1 min read
তপন কুমার বিশ্বাস, গোয়াগাঁও(গোয়ালপোখর)
ব্রিটিশ আমলে তৈরি স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও এখনও চব্বিশ ঘন্টার পরিষেবা না মেলায় ক্ষোভ
দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে ।চিকিৎসক ও পরিকাঠামোর অভাবে রীতিমতো ধুঁকছে প্রায় শতাব্দী
প্রাচীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র । এমনই চিত্র ধরা পড়েছে গোয়ালপোখর ব্লকের গোয়াগাঁও প্রাথমিক
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোয়াগাঁও স্বাস্থ্য কেন্দ্র খুবই প্রাচীন
। একসময় রসাখোয়া সংলগ্ন ব্রিটিশ রাজের  গোপালপুর
থানা থেকে ঘোড়ার পিঠে চিকিৎসক আসতেন । দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে রোগী দেখে ওষুধ দিয়ে
চিকিৎসক ফিরে যেতেন নিজ ডেরায় ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 সময় বদলালেও চরিত্র বদলায় নি গোয়াগাও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের
। এখন গোয়ালপোখর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে একজন চিকিৎক পালা করে আসেন সকাল ১০ টা
নাগাদ । আর ১২ টা বাজতেই তারা চলে যান গোয়ালপোখরে । ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুই জন নার্স
বহাল থাকলেও তারা দুপুর ১টা বাজলেই ঘরে ফিরে যান । এবিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের
জিজ্ঞাসা করলে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের
নার্সরা তাদের জানিয়েছেন যে দুপুর একটার পরে ইসলামপুর ফেরার আর কোন বাস থাকে না । তাই
তাদের পক্ষে পুরো সময়ের পরিষেরা দেওয়া সম্ভব ন্য় । এবিষয়ে গোয়ালপোখর ব্লক স্বাস্থ্য
কেন্দ্রের আধিকারিক ডাঃ রামেশ্বর ঘোষ এবিষয়ে কিছু জানাতে অস্বীকার করেন ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


স্থানীয় ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা
গেছে, গোয়াগাঁও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল স্থানীয় ৩০-৪০ টি গ্রামের
মানুষজন । কিন্ত দিনে দুই- আড়াই ঘণ্টা পরিষেবা মেলে সর্বসাকুল্যে । গোয়ালপোখরের লোধন
ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দুই তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন পালা করে গোয়াগাঁও প্রাথমিক
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন ।আবার অনেকদিন কোন কোন চিকিৎসকের দেখাই মেলে না । ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের
জন্য কয়েক বছর আগে একজন চিকিৎসক দেওয়া হলেও কয়েক মাসের ব্যবধানে তাকে চাকুলিয়ায় বদলি
করে দেওয়া হয় । তারপর থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে ।এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন
থেকে ২৪ ঘন্টা পরিষেবা চালু ও প্রসবের ব্যবস্থার পাশাপাশি আপাতকালীন পরিষেবার দাবি
তুলে আন্দোলন করছেন । স্থানীয় বাসিন্দা ফনিশ সিং জানান, আমাদের দাবি দাবিই থেকে গিয়েছে
। কিন্ত কাজের কাজ  কিছুই হয় না । একদিকে সরকার
বলছে প্রতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়াতে – আর আমরা চিকিৎসকের অভাবে বাড়িতে দাইমার ভরসায় প্রসব
করানো হয় । তাতে প্রায়ই মা ও শিশুর মৃত্যু ঘটে । এছাড়া রাতবিরেতে তাদের ৪৮ কিমি দূরে
ইসলামপুর কিংবা ৬৫ কিমি দূরে রায়গঞ্জে তাদের চিকিৎসা করাতে যেতে হয় । জেলা স্বাস্থ্য
দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকদের
রাতে থাকার মতো পরিকাঠামো নির্মানের কাজ চলছে । স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লেবার রুমের কাজও
অগ্রগতির পথে ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
 গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন
দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী জানান, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট
বিভাগকে বলা হয়েছে । এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানান, খুব
শীঘ্রই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ২৪ ঘন্টার পরিষেবা চালুর পাশাপাশি চিকিৎসক নিয়োগ করা
হবে 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *