কিশনগঞ্জ দুর্গাবাড়ির পুজো ৯৯ বছরে পা রাখল
1 min readকিশনগঞ্জ দুর্গাবাড়ির পুজো ৯৯ বছরে পা রাখল
৯৯ বছরে পড়ল কিশনগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র দে মার্কেটের দুর্গাবাড়ির পুজো। আগামী বছর দুর্গাবাড়ির পুজোর শতবার্ষিকী উৎসব উদযাপনের জন্য এখন থেকেই উদ্যোক্তাদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ১৯২৪ সালে স্বর্গীয় বিধুভূষণ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রথম বারোয়ারি দুর্গাপুজো শুরু করেন।
নামেই সর্বজনীন দুর্গাপুজো। আসলে দুর্গাবাড়ির পুজো ছিল বিধুবাবুর বাড়ির পুজো। ইংরেজ আমলের প্রখ্যাত ঠিকাদার বিধুবাবুই ছিলেন এই পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক।বর্তমানেও দুর্গাবাড়ির পুজো মানেই চারদিন প্রবাসীদের মিলনক্ষেত্র। যদিও কালের বিবর্তনে প্রবাসীদের গণ্ডি পেরিয়ে হয়েছে পুজোটি সর্বজনীন রূপ পেয়েছে। জানা গিয়েছে, বিধুবাবু নিজের দোতলা বাড়ির নীচে ও পাশে বিশাল চক মেলানো স্থায়ী চণ্ডীমণ্ডপ নির্মাণ করেন। দুর্গাবাড়ির বিশাল একচালার, সাদা ডাকের সাজের প্রতিমা বংশ পরম্পরায় আজও নিমাই পালরা গড়ে আসছেন। চণ্ডীমণ্ডপের নীচে নাটমন্দিরে জন্মাষ্টমীর পরের দিন থেকেই প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়।পুজোর কয়েকদিন দুর্গাবাড়ির চত্বরে নাট মন্দির ও চণ্ডীমণ্ডপ সংলগ্ন আশালতা জুনিয়ার হাইস্কুলের বারান্দায় নবীন, প্রবীণ ও মহিলা মহলের জমাটি আড্ডা বসে। যদিও পুজোর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কিন্তু পুজো মণ্ডপের প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন প্রয়াত বিধুভূষণ ভট্টাচার্যের বংশধর সুরেশ ভট্টাচার্য।