October 24, 2024

রাধিকাপুর_কাটিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া দুই রকমের হওয়ায় ক্ষুব্ধ ট্রেন যাত্রীরা,শীগ্রই ব্যাপক আন্দোলনের পথে

1 min read

রাধিকাপুর_কাটিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া দুই রকমের হওয়ায় ক্ষুব্ধ ট্রেন যাত্রীরা,শীগ্রই ব্যাপক আন্দোলনের পথে

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৯ অক্টোবর_:- বিগত দুহাজার কুড়ি সাল করোনার সময় থেকে হটাৎ করে উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের রাধিকা পুর প্রান্তিক স্টেশন থেকে রায়গঞ্জ যাবার পাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া ১০ টাকার পরিবর্তে একলাফে ৩০ টাকা করায় ট্রেন যাত্রীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। শুধু তাই নয় রাধিকা পুর থেকে বিহারের কাটিহার যাবার পথে রায়গঞ্জে যেতে গেলে দুই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া দুই রকমের দিতে হয়।একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে রায়গঞ্জের ভাড়া দিতে হয় মাত্র ১০ টাকা,আবার অন্য একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া দিতে হয় ৩০টাকা।উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারন মানুষদের বক্তব্য এক যাত্রায় পৃথক ফল কি ভাবে ট্রেনের যাত্রার ক্ষেত্রে হতে পারে তারা বুঝতে পারছেনা।

কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার পঙ্কজ কুমারকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে পঙ্কজ কুমার বলেন রাধিকাপুর থেকে দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করলেও একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া কালিয়াগঞ্জ থেকে রায়গঞ্জ ১০ টাকা ভাড়ায় পরিবর্তে ৩০ টাকা করে দেওয়া হয়।

 

সেই থেকে এখনো দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া দুই রকমের আছে।ট্রেন যাত্রীদের অসুবিধা হলেও এ ব্যাপারে তার কোন কিছুই করার নেই।কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেল রুপায়ন ও উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সুনীল সাহা বলেন রেল দপ্তরের খামখেয়ালী পনার কারনে এই এলাকার দুঃস্থ ট্রেন যাত্রীরা সমস্যার মধ্যে পরবেন এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।

তিনি বলেন অবিলম্বে রেল দপ্তরের উচিৎ ৩০ টাকার ভাড়ার পরিবর্তে অপর প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যেমন ১০ টাকা ভাড়া আছে সেই ভারাই অপর যে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি তাতেও লাগু করা হোক।অন্যথায় আমরা কালিয়াগঞ্জ_ বুনিয়াদ পুর রেল রুপায়ন ও উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে যাত্রীদের স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন বলে হুশিয়ারি দেন।

কালিয়াগঞ্জের মারয়ারী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সমাজ সেবী তথা লায়ন্স ক্লাবের প্রাক্তন গভর্নর সুরেশ শারাফ বলেন এটা কোন নিয়ম হতে পারেনা একই স্টেশন থেকে দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়বে অথচ দুটির ভাড়া দুই রকম?তিনি বলেন একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের নাম স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন বলা হলেও সেই ট্রেন সব স্টেশনেই থামছে।তাহলে স্পেশাল নাম লাগিয়ে লোকালের মত চললে তার ভাড়া ৩০ টাকা কেন হবে? কাটিহার ডিভিশনের ডি আর এম কিছুদিন পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন তিনি দুই মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করে দেবেন।

 

  কিন্তূ তিনি কিছুই করতে পারেন নি দুই মাস পেরিয়ে গেলেও।সাধারন মানুষের দাবী পূজার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ রাধিকাপুর এলাকার প্রচুর যাত্রী এই ট্রেনে রায়গঞ্জে যাতায়াত করে।তাই পুজোর আগেই যেন রেল দপ্তর এই সমস্যার সমাধান করে সাধারন মানুষের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *