October 27, 2024

ইসলামপুর দমকল কেন্দ্রে কর্মী সংকট

1 min read


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তপন কুমার বিশ্বাস, :-   কাজের সময় নির্দিষ্ট করা রয়েছে কিন্ত
সেই কাজ কখনও কখনও দুই বা চার
পাঁচ
ঘন্টা অতিরিক্ত কাজ করে শেষ করতে হয়
অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক এতটা কম , যা নিয়ে
রীতিমতো ক্ষুদ্ধ দমকল কর্মীরা
এই চিত্র প্রায় সারা রাজ্যে কিন্ত
কাজ খোয়ানো বা বদলি হওয়ার ভয়ে মুখে কুলুপ দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে দাবি কর্মীদের
একাংশের
দীর্ঘদিন ধরেই
দমকল দপ্তর লোকবলের অভাবে ধুঁকছে। না রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফায়ার অপারেটর
, না রয়েছে লিডার।তাঁদের অভিযোগ,
কাজের জন্য কর্মীপিছু যে সময় ধরা রয়েছে, লোকবলের অভাবে তা ওই সময়ের মধ্যে শেষ হয় না। আর অতিরিক্ত কাজ করার জন্য দমকল
দপ্তরের তরফে যে টাকা কর্মীপিছু বরাদ্দ রয়েছে
,
তা অত্যন্ত কম।


দমকল দপ্তর সূত্রে খবর, সকালের ডিউটির সময়সীমা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। দুপুরের ডিউটির সময়
দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত
রাতের ডিউটির সময়
রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত। কর্মীদের কথায়
,
ফায়ার অপারেটররা অতিরিক্ত কাজের জন্য
ঘণ্টাপিছু পান মাত্র ৭ টাকা
, লিডাররা পান ৯ টাকা এবং অফিসাররা পান ১২
টাকা করে। এক দমকল আধিকারিকের কথায়
,
যিনি সকালের ডিউটিতে থাকেন, তাঁর যদি আগুন নেভানো বা অন্যান্য কাজের জন্য দুপুর ১টা পেরিয়ে যায়, তাহলে তাঁকে রাত আটটা অবধি কাজ করতে হয়। একইভাবে দুপুরে এবং রাতে যাঁরা
ডিউটিতে থাকেন
, কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় কেটে গেলে
তাঁদের পরবর্তী শিফটের কাজও করে যেতে হয়। লোকবলের এমনই অভাব যে প্রায়ই অফিসার
থেকে ফায়ার অপারেটরদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতেই হচ্ছে। কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত
অর্থ মিলছে না। দমক
লের এক আধিকারিক জানান, শুনেছিলাম অতিরিক্ত কাজের জন্য যাতে ঘণ্টাপিছু টাকা বাড়ে, তার জন্য অর্থ দপ্তরে গিয়েছিল ফাইল। কিন্ত তার পরে আর কিছু জানি না
দমকলের এক প্রাক্তন ডিজির কথায়, টাকা বাড়ানোর ব্যাপারে দমকলমন্ত্রী যদি সক্রিয় না হন, তাহলে কারও পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। দমকল কর্মীরা যেভাবে আগুনের সঙ্গে লড়াই
করেন
, তাতে এই টাকা বাড়ানোই উচিত। 


 জানা গেছে, ইসলামপুর দমকল
কেন্দ্রে
ফায়ার অপারেটরের
পদ খালি
২৪ টি , বর্তমানে ১২ জন ফায়ার অপারেটর রয়েছে অফিসারের পদে দুই জন থাকলেও একজনস্টান্ড বাই
রয়েছেন
সাব অফিসারের তিনটি থাকলেও ওই
পদে কোন কর্মী নেই
বর্তমানে যে হারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই
চলেছে
, সেই তুলনায় ফায়ার অপারেটরের সংখ্যা কম। তাঁদের দাবি, লোকবলের অভাবে দমকল দপ্তরের কাজের চাপে সামাজিক কাজকর্মে তাঁরা প্রায় থাকতেই
পারেন না। ছুটিও প্রায় পান না বলেই চলে। সেখানে দিনের পর দিন সামান্য টাকার
বিনিময়ে অতিরিক্ত কাজ ক
রে যেতে হচ্ছে এছাড়া ইসলামপুর মহকুমার ভোগলিক
অবস্থানের কারনে কর্মী সংকট তাদের মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে
সম্প্রতি ইসলামপুরের
চম্পাবাগ অগ্নি কান্ডে ইসলামপুর দমকল কেন্দ্রে ইঞ্জিন মজুত থাকা সত্বেও কেবল মাত্র
কর্মী সংকটের কারনে নক্সাল বাড়ি থেকেও একটি ইঞ্জিন আসে
এছাড়া ডালখোলা থেকে একটি ইঞ্জিন রওনা দিলেও
আগুন নিয়ন্ত্রনে আসায় তা মাঝপথ থেকে ফেরত যায়


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 এবিষয়ে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে পাওয়া যায় নি তবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের
প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী জানান
,বর্তমানে রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী বিধি জারি রয়েছে
নির্বাচন হয়ে গেলে এবিষয়ে দমকল
মন্ত্রীর সাথে কথা বলা হবে
তবে আশার কথা এটাই যে গোয়ালপোখরে
শীঘ্রই একটি দমকল কেন্দ্র খোলা হবে
সেটি হয়ে গেলে ইসলামপুর দমকল কেন্দ্রের
উপর চাপ কমবে


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *