কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীরা ঝর জল রোদকে উপেক্ষা করে কাজ করলেও মাথার উপর একটি আস্তানা গড়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা আজও কেও না করায় ক্ষুব্ধ শিল্পীরা
1 min readকুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীরা ঝর জল রোদকে উপেক্ষা করে কাজ করলেও মাথার উপর একটি আস্তানা গড়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা আজও কেও না করায় ক্ষুব্ধ শিল্পীরা
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৬ সেপ্টেম্বর:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কুনোর হাটপাড়া এলাকার কয়েক যুগের বিখ্যাত টেরাকোটা শিল্পীরা আজও রোদ,বৃষ্টি মাথায় নিয়ে টেরাকোটার বিখ্যাত সামগ্রী বানালেও তাদের জন্য করে দেওয়া হয়নি একটি সরকারি ওয়ার্কশপ।ফলে প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে তাদের পরিশ্রমের ফসল অনেক সময় বৃষ্টির জলে ধুয়ে মুছে নষ্ট হয়ে যায়।কিছুই করার থাকেনা। কুনো র হাট পাড়ার জাতীয় স্তরের পুরস্কার পাওয়া টেরাকোটা শিল্পী দুলাল রায় বলেন আমাদের পাড়ায় টেরাকোটা পেশার সাথে যুক্ত শিল্পীরা কবে থেকে এই কাজ করছি।কেও বলতে পারবেনা।কয়েকশো টেরাকোটা শিল্পী এই গ্রামে আমরা আছি।
কিন্তু দা বহু আবেদন নিবেদন করেও একটি ঘরের ব্যাবস্থা আজ পর্যন্ত কোন সরকার করে দেয়নি।তাদের দাবি ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার একমাত্র কুনোর গ্রামে এই টেরাকোটার পোড়া মাটির।নকশী করা দৃষ্টি নন্দন সামগ্রী তৈরি করা হয়।সরকার শিল্প স্থাপনের জন্য অনেক চেষ্টা করছে।বিদেশের তাদের যেতে হচ্ছে।অথচ দেশীয় শিল্প সহযোগিতার অভাবে ধুকরে ধুকরে চলছে।
এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়কে প্রশ্ন করা হয় শুধ কালিয়াগঞ্জ নয় যে টেরাকোটা শিল্প রাজ্য তথা দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশের সুনাম অর্জন করছে সেই শিল্পের উন্নয়নে প্রশাসনের বা সরকারের কোন নজর নেই কেন?তার উত্তরে বিধায়ক সৌমেন রায় বলেন আমার এই ব্যাপারে কোন ধারনা নেই এবং আমাকে টেরাকোটা শিল্পের উন্নয়নের কথা কেও কোন দিন জানায় নি।সাংবাদিক হিসাবে আমাকে ঘটনাটা জানিয়েছেন।
আমি খুব শীগ্রই টেরাকোটা শিল্প নিয়ে তাদের উন্নয়ন কিভাবে করা যায় ভাবনা চিন্তা করবো বলে আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিলাম বলে বিধায়ক জানান। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ের মুখে টেরাকোটার উন্নয়নের কথা শুনে অনেকেই ভীষন খুশি।হয়ছে।
রাজ্য স্তরের পুরস্কার প্রাপ্ত টেরাকোটা শিল্পী গোপাল রায় বলেন আমরা আর কতদিন? অনেক দিন তো করলাম।নূতন নূতন ছেলেমেয়েরা যাতে এই শিল্পের সাথে যুক্ত পারে সরকার সেই ব্যাবস্থা করুক। কুনোরে একটি টেরাকোটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হলে অনেক বেকার যুবক যুবতীরা এই কাজ করে জীবন।জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে বলে তার বিশ্বাস।