October 25, 2024

কালিয়াগঞ্জের পূর্বভান্ডার গ্রামে কস্টি পাথরের লক্ষী নারায়নের পূজা নিয়ে সমস্ত গ্রাম মিলে চরম ব্যস্ততা

1 min read

সের গ্রামের মাটির তল থেকে পাওয়া কষ্টি পাথরের লক্ষী নারায়নের পূজাকে ঘিরে চলে ব্যাপক উন্মাদনা-

 

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৮অক্টোবর: কথায় আছে বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বন।এই তেরো পার্বনের মধ্যে আবার অন্যতম পার্বন কোজাগরী লক্ষী পূজা।আগামী রবিবার এই লক্ষী পূজাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের পূর্ব ভান্ডার গ্রামে শুরু হয়েছে গ্রাম বাসীদের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা।এই লক্ষী পুজা এই গ্রামের কারো বাড়িতে হচ্ছেনা।এই গ্রামে লক্ষীকে গ্রামের গ্রাম্য দেবতা হিসাবে পালন করে থাকে।জানা যায় ৪০বছর পূর্বে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের পূর্ব ভান্ডার গ্রামে গোকুল বর্মনের জমিতে ধান চাষ করবার জন্য লাঙল দিয়ে জমি চাষ করছিল নরেশ চন্দ্র বর্মন।চাষ করতে গিয়ে লাঙলের ফাল আটকে যায় একটি বড় পাথরের সাথে।

 

নরেশ বর্মন ঐ আওয়াজ শুনেই জমির মালিক গোকুল বর্মনের বাড়িতে গিয়ে নরেশ বর্মন সমস্ত ঘটনা জানায়।পরবর্তীতে গোকুল বর্মনের সাথে অনেক গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে জমিতে যায় এবং জমির মাটি খুঁড়তে শুরু করে।এর পর গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে কালো পাথরে খোদিত কস্টি পাথরের লক্ষী নারায়নের যুগল মূর্তি।মূর্তি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন গ্রামে থেকে তা দেখতে মানুষের ভিড় হয়। মূর্তিটি লম্বায় দের ফিট এবং চওড়ায় এক ফিট।

সেই সময় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মূর্তিটি থানায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীদের বাঁধার ফলে তা নিয়ে যেতে পারেনি বলে জানা যায়।জমির মালিক গোকুল চন্দ্র বর্মনের জমিতে যেহেতু মূর্তি পাওয়া গেছে সেই কারণে তিনি লক্ষী নারায়নের মূর্তি পূজার জন্য মন্দির নির্মাণে দুই কাঠা জমি দান করলে সেখানেই এই লক্ষী নারায়নের মূর্তি স্থাপন করা হয়।সেখানেই গ্রাম বাসীরা লক্ষী নারায়নের মূর্তিকে গ্রাম বাসীরা ধুমধামের সাথে পূজা করে আসছে।

পূর্ব ভান্ডার সহ আশে পাশের গ্রামের সবাই তিন দিন ধরে লক্ষী পূজাকে লক্ষী নারায়নের পূজা হিসাবেই পূজা করে থাকে।এই পূজাকে কেন্দ্র করে এই গ্রামে মেলার আয়োজন করে থাকে।এই মেলাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য যাত্রা পালা ,বাউল অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে সারারাত ধরে।

এই মন্দিরের লক্ষী নারায়ণ খুবই জাগ্রত হওয়ায় যারা বিভিন্ন মঙ্গল কামনায় মানত করে তাদরে মনোবাসনা পূরণ হয় বলে গ্রাম বাসীরা জানায়।অত্যন্ত মিয়ম নিষ্ঠার সাথে সারা বছর এই মায়ের মন্দিরে গ্রাম বাসীরা পূজার্চনা করে থাকে।শুধু কালিয়াগঞ্জ নয় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পূর্ব ভান্ডার গ্রামের লক্ষী পূজার কোজাগরী রাতে লক্ষী নারায়নের পূজায় অংশ গ্রহন করে থাকে।তিন দিনের অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত গ্রাম বাসীদের পেট পুরে প্রসাদ দেবার ব্যবস্থা করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *