অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আইনি নোটিস পাঠালেন অমিত শাহকে
1 min read দুর্নীতি ইস্যুতে শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বিঁধে ক্ষান্ত হননি বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দুর্নীতি
নিয়ে
অভিযোগের
আঙুল
তুলেছেন
মুখ্যমন্ত্রীর
ভাইপো
তথা
সংসদ
সদস্য
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও। ওই
দিনই
তৃণমূল
হুমকি
দিয়েছিল,
তারা
আইনি
ব্যবস্থা
নেবে। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন অমিত শাহকে। সেখানে
দাবি
করা
হয়েছে,
অভিষেকবাবুর
নামে
মানহানিকর
মন্তব্য
অবিলম্বে
বন্ধ
করা
হোক
এবং
অমিত
শাহ
নিঃশর্ত
ক্ষমা
চান। নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। তা
না
হলে
অমিত
শাহের
বিরুদ্ধে
ফৌজদারি
এবং
দেওয়ানি
পদক্ষেপ
করা
হবে।
এই বিষয়ে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ওই নোটিস পরাজয়ের নিশান। তা
হাতে
এলে
উপযুক্ত
জবাব
দেওয়া
হবে। সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কিছুই বলেননি। আসলে
তৃণমূল
রাজনৈতিকভাবে
জনবিচ্ছিন্ন
হয়ে
পড়েছে। তাই পুলিস আর মামলার হুমকিই ওদের একমাত্র ভরসা। তবে
এসব
করে
বিজেপি’কে
ঠেকানো
যাবে
না।
হাতে
এলে
উপযুক্ত
জবাব
দেওয়া
হবে। সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কিছুই বলেননি। আসলে
তৃণমূল
রাজনৈতিকভাবে
জনবিচ্ছিন্ন
হয়ে
পড়েছে। তাই পুলিস আর মামলার হুমকিই ওদের একমাত্র ভরসা। তবে
এসব
করে
বিজেপি’কে
ঠেকানো
যাবে
না।
গত ১১
আগস্ট
বিজেপি
যুব
মোর্চার
জনসভায়
বক্তৃতা
দিতে
গিয়ে
অমিত
শাহ
বলেন,
ক্ষমতায়
এসে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় নারদ, সারদা, সিন্ডিকেট দুর্নীতির পাশাপাশি ভাইপোর দুর্নীতির সিরিজ উপহার দিয়েছেন। শাহের
সেই
মন্তব্যের
কড়া
সমালোচনা
করে
তৃণমূল। তারা বলে, অমিত শাহের মুখে দুর্নীতি মানায় না। তৃণমূলের
বিরুদ্ধে
কিছু
বলার
আগে
তিনি
নিজের
দিকে
তাকান। শাহের ছেলের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ সাম্প্রতিককালে সামনে এসেছে, সেই কথাই ফের মনে করিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু অমিত শাহের কাছে যে নোটিস পাঠিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, অভিষেকবাবু একজন সমাজসেবক হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরেই সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। সততাই
তাঁর
ভাবমূর্তি
উজ্জ্বল
করেছে
দেশজুড়ে। সেখানে অমিত শাহের মন্তব্য অত্যন্ত মর্যাদা হানিকর। বিজেপি
সভাপতি
যা
বলেছেন,
তার
অর্থ
হল,
অভিষেকবাবু
একজন
দুর্নীতিগ্রস্ত
রাজনীতিবিদ। তিনি সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি এবং নারদ স্টিং অপারেশনের মতো দুর্নীতিকাণ্ডে যুক্ত। তিনি
তাঁর
পিসি,
যিনি
কি
না
এই
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী,
তাঁর
সঙ্গে
একযোগে
চিটফান্ডের
মতো
দুর্নীতিতে
নেতৃত্ব
দিচ্ছেন। কেন্দ্র রাজ্যকে যে টাকা দেয়, তিনি সেই টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য সরাচ্ছেন। এই
অভিযোগগুলির
ভিত্তিতে
অভিষেকবাবুর
আইনজীবী
দাবি
করেন,
এই
সব
অভিযোগ
সম্পূর্ণ
ভিত্তিহীন। তাঁর মক্কেল অভিষেকবাবু কোনও সিন্ডিকেট বা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন।
দুর্নীতির প্রসঙ্গে
অভিষেকবাবুকে
আরও
একটু
খুঁচিয়েছিলেন
অমিত
শাহ। তিনি জনসভায় বলেছিলেন, এনডিএ আমলে চতুর্দশ অর্থ কমিশন ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু
সেই
টাকার
হদিশ
নেই। তাঁর প্রশ্ন, কোথায় গেল সেই টাকা? সিন্ডিকেট আর ভাইপোর দুর্নীতিতে খরচ হল? আইনি নোটিসে দাবি করা হয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। তাতে
সত্যের
ছিটেফোঁটা
নেই। এখন এই ধরনের দুর্নীতিগুলির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরে তদন্ত চলছে। সেখানেও
প্রমাণিত
হবে,
এগুলির
সঙ্গে
অভিষেকবাবুর
কোনও
সম্পর্ক
নেই। সংবাদমাধ্যমে অমিত শাহের বক্তৃতা প্রচারিত হওয়ায়, অভিষেকবাবুর গ্রহণযোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয় আইনি নোটিসে।