December 24, 2024

মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত, সিবিআইকে ফেরালেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

1 min read

মানসিক ভাবে বিপর্যস্তসিবিআইকে ফেরালেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

মা মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগে। বাবা সিবিআই হেফাজতে। এই অবস্থায় তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে পারবেন না। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে সিবিআই কর্তাদের ঘরে বসিয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবীও।তারপরও অবশ্য সিবিআই কর্তারা তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁদের অনুরোধেও চিড়ে ভেজেনি। টলানো যায়নি সুকন্যাকে।

 

ফলে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে অনুব্রতর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই কর্তারা। এদিন দুপুরে একজন মহিলা আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে তাঁর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই। তাঁদের লক্ষ্য ছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। কিন্তু বাবার মতো তিনিও সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি হননি। এরপর বোলপুর ছাড়েন সিবিআই কর্তারা।সিবিআই চলে যাওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে অনুব্রত কন্যা শুধু বললেন, আমি বিপর্যস্ত। আমার মা প্রয়াত, বাবা জেলে, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি।’ এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি সুকন্যা। বুধবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল, সুকন্যা মণ্ডলের কাছে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। কিন্তু সেই টাকার উৎস কী। সেই বিষয়ে তাঁকে জেরা করতেই বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের এক মহিলা-সহ চারজন আধিকারিক। সেখানেই অনুব্রত শিক্ষিকা কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সিবিআই আধিকারিকরা মাত্র ১০ মিনিটেই জেরা শেষ করে বেরিয়ে যান।অনুব্রতকে জেরার পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্যাকাউট্যান্ট মণীশ কোঠারিকেও জেরা করে সিবিআই। গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে তাঁর মেয়ের একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। এর মধ্যে সম্পদের তালিকায় রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক রাইস মিল, বেসরকারি সংস্থাও। এই বিপুল সম্পত্তির উৎস কী, তা জানতেই একাধিক জায়গায় হানা দিতে পারে। এদিন অনুব্রত বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে যান সিবিআই কর্তারা। সেই ব্যাঙ্কেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে সেখান থেকে কোনও সুত্র মিলেছে কিনা তা জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *