October 23, 2024

প্রেসিডেন্সি জেলেও সহবন্দিদের গালগালাজ শুনতে হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

1 min read

প্রেসিডেন্সি জেলেও সহবন্দিদের গালগালাজ শুনতে হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

শুধুমাত্র হাসপাতালের বাইরেই গালিগালাজ ও জুতো ছোড়াই নয়। এবার প্রেসিডেন্সি জেলেও সহবন্দিদের গালগালাজ শুনতে হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শনিবার সকালে সেলের বাইরে তখন মা কালীর ছবিতে জবা ফুল দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সাসপেন্ড এই নেতা। তাঁকে দেখা মাত্রই ‘চোর চোর’ রব তোলে অন্য বন্দিরা। শুধু তাই নয়, তাঁর উদ্দেশে নানা অশ্রাব্য গালিগালাজও করতে থাকে। ছুড়ে দেওয়া হয় নানা টিপ্পনি। কয়েকজন বন্দি মুখে আঙুল দিয়ে সিটিও দিতে থাকে।

কেউ কেউ আবার বলতে থাকে‑‘দেখ কেমন লাগে।’ জেল সূত্রের খবর, যদিও পার্থবাবু তাতে কান না দিয়ে সোজা তাঁর সেলের দিকে পা বাড়ান। এমনকী সন্ধ্যায় যখন বন্দিদের গুনতি করে সেলে প্রবেশ করানো হচ্ছিল, তখন কিছু উৎসাহী বন্দি তাঁকে লক্ষ্য করে ফের নানা কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। এমনকী অর্পিতার নাম ধরেও নানা অশ্রাব্য মন্তব্য করতে থাকে। ওই সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ওই সমস্ত কটু মন্তব্য কানে নিয়েই গজ গজ করতে করতে সেলে ঢুকে যান। শুক্রবার এই বন্দির আইনজীবী কোর্টে জানিয়ে ছিলেন, তাঁর মক্কেল প্রভাবশালী নন। প্রয়োজনে তাঁর মক্কেল বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। শনিবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে পার্থর আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্য জেল চত্বরে বাইরে জানান, পার্থবাবু এমএলএ পদ ছাড়তে চান না। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে ওই মন্তব্য করা হয়েছে। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রের খবর, সেল ব্লকের দু’নম্বর ঘরের এখনকার বাসিন্দা এদিন সকালে লিকার চা ও ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট খান। শশা-মুড়ি খাওয়ার আব্দারও করেন। কিন্তু শশা না থাকায় তাঁকে কাঁচা লঙ্কা চিবিয়েই মুড়ি খেতে হয়। অন্যান্য বন্দিদের মতো এদিন দুপুরে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়েছিল ভাত, ডাল, আলু-কুন্দরি ভাজা এবং বাটা মাছের ঝোল। সংবাদপত্রে চোখ বুলিয়ে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও, কাগজ হাতে নিয়ে প্রথম পাতায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে,তা থেকে নিবৃত্ত হন। অন্যদিকে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে লস্কর জঙ্গি তানিয়া পারভিনের উল্টো দিকের একটি পৃথক সেলে রয়েছেন পার্থবাবুর ‘বান্ধবী’ অপির্তা।  জেলের মহিলা বন্দিদের একাংশ তাঁকে দেখার জন্য তাঁর সেলের দিকে ভিড় জমাতে থাকেন। কয়েকজন বন্দি অর্পিতাকে লক্ষ্য করে নানা রসালো কথাবার্তাও বলেন বলে জেল সূত্রের খবর। তাতে কিছুটা ক্ষিপ্তও হন এই বন্দি। পরে অবশ্য ওই বন্দিদের দ্রুত সেখান থেকে তাঁদের সেলে ফিরিয়ে নিয়ে যান জেল কর্তৃপক্ষ। এদিন দুপুরে তাকে খেতে দেওয়া হয় ভাত, ডাল, কুমড়োর ঘণ্ট ও পোনা মাছের ঝোল। কিন্তু ওই খাবার মুখে রোচেনি পার্থর বান্ধবীর। রাতারাতি অন্য পরিবেশে আসায় শুক্রবার রাতে অর্পিতা দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি বলে জেল সূত্রের খবর। একই অবস্থা পার্থর ক্ষেত্রেও। তিনি রাতভর সেলের চারধারে পায়চারি করে বেড়িয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *