October 26, 2024

দেশের সমস্ত দরিদ্র মানুষকে রেশনের আওতায় আনতে নতুন করে অভিযানে নামছে কেন্দ্রীয় সরকার

1 min read
অনাহারে মৃত্যু ঠেকাতে চালু হয়েছে খাদ্য সুরক্ষা আইন। টাকার অভাবে যাতে কাউকে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাতে না হয়, তার জন্য নামমাত্র মূল্যে রেশন থেকে চাল-গম বিলি করাও হচ্ছে। কিন্তু রেশন কার্ড না থাকায় অনেকেই সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। মাঝেমধ্যে অনাহারে মৃত্যুর খবরও সামনে আসছে। তাই দেশের সমস্ত দরিদ্র মানুষকে রেশনের আওতায় আনতে নতুন করে অভিযানে নামছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপভোক্তাদের খুঁজে বের করে রেশন কার্ড ইস্যু করতে বলা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই কাজ শুরুর জন্য রাজ্যকে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক।কিছু দিন আগেই দিল্লিতে অনাহারে একই পরিবারের তিনটি মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগে শোরগোল পড়েছিল।
 এ রাজ্যের জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গের চা-বাগানেও একই ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা রুখতেই দেশের প্রতিটি গরিব পরিবারকে রেশনের আওতায় আনতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার।কয়েক দিন আগেই রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের সহ-সচিব কেএমএস খালসা জানিয়েছেন, খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু হওয়ার পরেও বহু গরিব পরিবার রেশন পাচ্ছে না। সে জন্য রেশন কার্ড বিলির দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিকদের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হয়েছে। ভিজিল্যান্স কমিটিকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 সে কথা মাথায় রেখে প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে রেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য অভিযানে নামতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই অভিযানের দায়িত্বে থাকবে ভিজিল্যান্স কমিটি এবং এরিয়া অফিসার ইনচার্জরা। নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদি গ্রামের কোনও দরিদ্র পরিবার রেশনের আওতায় বাইরে থেকে যায়, কাগজপত্র জোগাড় করার দায়িত্ব বর্তাবে স্থানীয় এরিয়া অফিসারের উপরেই। এর জন্য প্রয়োজন হলে তিনি গ্রামে শিবির করবেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 ১৫ দিনের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য কোন কোন শর্ত পূরণ করতে হয়, সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে আরও বেশি করে প্রচার অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। কলকাতার মতো শহরাঞ্চলে যে সব এলাকায় দরিদ্র এবং অভিবাসী মানুষজনের সংখ্যা বেশি, সেখানে এই ধরনের অভিযানের উপর বেশি করে জোর দিতে বলা হয়েছে।তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, এই ধরনের মানুষজনের পক্ষে সব সময় সরকারি চাহিদা মেনে কাগজপত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। সে জন্যই তাঁরা রেশন কার্ড করাতে পারেন না। তাঁদের রেশন কার্ড করানোর সময় সেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একান্ত প্রয়োজন না হলে কোনও কাগজের জন্য জোরাজুরি করা যাবে না।নতুন রেশন কার্ড করানোর জন্য আবেদনকারীকে খাদ্য দপ্তরের অফিসে গিয়ে হত্যে দিতে হয়। তাতে এক দিনের রোজগার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় তা নিয়ে অনেকেই টালবাহানা করেন। সে জন্য কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রেশন কার্ড করানোর জন্য কাউকে এক বারের বেশি ডাকাযাবে না। বাড়তি কোনও তথ্য-সবুদের দরকার হলে সংশ্লিষ্ট অফিসারকেই বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাতে নতুন রেশন কার্ড ইস্যু হয়, সেটা রাজ্য সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *