October 24, 2024

হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাইনুরের হাড়ভাঙা পন

1 min read
তপন চক্রবর্তী–সত্যি সত্যিই  যেন ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতই ঘটানা।-হত দরিদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাইনুর।উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সোনার টুকরো মেয়ে সাইনুর খাতুন হাতিয়া বিদ্যালয়ের হয়ে রাজ্য স্তরের মহিলা ফুটবল খেলায় অংশ নিলেও সে এখানেই থেমে থাকার পাত্র নয়।।সাইনুর জানায় তার বাড়ির দারিদ্রতা তার স্বপ্নকে  ভেঙে দিতে কোন ভাবেই সফল হবেনা।হাজারো দারিদ্রতাকে অতিক্রম করে তার যোগ্যতার প্রমান দিয়েই বিদ্যালয় ভিত্তিক জাতীয় স্তরের মহিলা ফুটবলে তাকে  খেলতেই হবে।এটা তার হারভাঙ্গা পন।এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানায় হাতিয়া বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে র হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাইনুর।সাইনুরের ফুটবলের প্রতি একাগ্রতা দেখে বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষকরা অনেক সময় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। হাতিয়া বিদ্যালয়ের দুই শরীর শিক্ষক ও ক্রীড়া শিক্ষক যথাক্রমে অনুপ কেরকেটটা, ঠাকুর প্রসাদ রায় ও গনেশ রার এই প্রতিবেদককে বলেন পরিশ্রমের যে বিকল্প নেই তা আমাদের বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাইনুর তার বড় প্রমান। বিদ্যালয়ে কোন খেলার মাঠ না থাকলে কি আমানবিক পরিশ্রম করে সপ্তাহে ৪ দিন করে বাড়ি থেকে ৭কিমি দূরে মারাইকুন্ড ইন্দ্র মোহন মাঠে গিয়ে ফুটবল নিয়ে চর্চা করে যাচ্ছে সাইনুর।পড়াশোনা যেমন তেমন ফুটবল ছাড়া ও কিছুই বুঝতে চায়না।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 সাইনুর খাতুনের ফুটবল কোচ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপ কেরকেটটা বলেন সাইনুরের কোন ক্লান্তি বলে কিছুই নেই।
 তিনি বলেন এই ছোট্ট মেয়েটি সাইনুর অনুর্ধ ১৭ বিদ্যালয় ভিত্তিক ফুটবলে  আমাদের বিদ্যালয়ের  শুধু সম্পদ নয় ও বর্তমানে যে ফর্মে আছে তাতে করে সাইনুর রাজ্যের ও দিশা দেখানোর মত যোগ্যতা রাখে।সাইনুর মহিলা ফুটবলে রাইট স্ট্রাইকারে খেলে।ইতি মধ্যেই রাজ্য স্তরে খেলে এসেছে।সাইনুর সুব্রত কাপে বাঁকুড়াতে খেলতে গিয়ে দক্ষিণ২৪পরগনার বাঁশদ্রনী বিদ্যালয়কে ১০শুন্য গোলে হারিয়েছিল।যার মধ্যে সাইনুর একাই ৫টি গোল করেছিল। এক সাক্ষাৎকারে সাইনুর বলে ফুটবল খেলার সামগ্রী কিছু বলতে তার নেই। বাব্ধবীদের কাছ থেকে খেলার বুট ধার করে নিয়ে তাকে খেলতে যেতে হয়।তবে আনন্দের খবর হাতিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দীপা ভট্টাচার্য সাইনুরের বুট থেকে খেলাধুলার কিটস দেবার প্রতিশ্রুত দিয়েছেন বলে জানা যায়।সাইনুরের মা কহিনুর বেওয়া পরের বাড়িতে কাজ করে।মেয়ের খেলাধুলা নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা নেই।অনেক দিনই দুই বেলা খাবার জোটেনা ওদের খোঁজ খবর নেবার মত লোকের বড় অভাব।হাতিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুরুদ্ধ সিনহা তার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাইনুরের ফুটবল খেলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা প্রত্যন্ত একটি গ্রামের মেয়ে সাইনুর আমাদের হাতিয়া বিদ্যালয়ের সন্মান সারা পশ্চিমবঙ্গে যে ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে তার জন্য সাইনুরের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ।কিন্তূ আমরা ওর জন্য অথবা ওর পরিবারের জন্য কিছু করতে  পারিনি।সাইনুর যে ভাবে ফুটবল নিয়ে পরিশ্রম করে তার জন্য ওর ভালো ফুডের প্রয়োজন।আমাদের বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষকদের উচিৎ ওকে আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করা । সাইনুরের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে সাহায্য করা।সাইনুর ছোট্ট একটি মেয়ে হয়েও যে একাগ্রতা ও সাধনা নিয়ে ফুটবল খেলছে ওর হাড়ভাঙা পন সফল হয়ে একদিন জাতীয় স্তরের মহিলা ফুটবলে আমাদের সাইনুরকে ফুটবল খেলতে  দেখবো এই বিশ্বাস আমার আছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *