October 26, 2024

রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে ভাতৃত্ব বন্ধনে এগিয়ে এলো পুলিশ

1 min read
কমল কুমার বিশ্বাস, বালুরঘাট,26 শে আগস্ট:-রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে ভাতৃত্ব বন্ধনে এগিয়ে এলো পুলিশ l ইতিহাস সবসময় একাধিক মতবাদ প্রদান করে, এই একাধিকত্তের মধ্যে কোনটি উল্লেখযোগ্য তা নিজ নিজ গ্রহণযোগ্যতার উপর নির্ভরশীল ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এবার চলে আসা যাক অতীতে , এই রাখির প্রবর্তন হয় কি ভাবে? কি ভাবে সূত্রপাত এই ভারতব্যাপী নিদারুণ বন্ধুত্বতার মহোৎসবের ?রাখিবন্ধনের দিন গণেশের বোন গণেশের হাতে একটি রাখি বেঁধে দেন। এতে গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের হিংসে হয়। তাদের কোনো বোন ছিল না। তারা বাবার কাছে একটা বোনের বায়না ধরে।
 গণেশ তখন তাঁর দুই ছেলের সন্তোষ বিধানের জন্য দিব্য আগুন থেকে একটি কন্যার জন্ম দেন। এই দেবী হলেন গণেশের মেয়ে সন্তোষী মা। সন্তোষী মা শুভ ও লাভের হাতে রাখি বেঁধে দেন।পুরাণ বলছে , মহাভারতে আছে, একটি যুদ্ধের কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এতে কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। বহু বছর পরে, পাশাখেলায় কৌরবরা দ্রৌপদীকে অপমান করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে গেলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে সেই প্রতিদান দেন। এইভাবেই রাখিবন্ধনের প্রচলন হয় ।
অন্য মতে , একটি জনপ্রিয় গল্প অনুযায়ী, চিতোরের রানি কর্ণবতী 1535 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনকে একটি রাখি পাঠান। গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহ চিতোর আক্রমণ করলে বিধবা রানি কর্ণবতী অসহায় বোধ করেন এবং তিনি হুমায়ুনকে একটি রাখি পাঠিয়ে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করেন। কর্ণবতীর রাখি প্রেরণে অভিভূত হয়ে হুমায়ুন চিতোর রক্ষা করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করেন।আবার ইতিহাসের সবচেয়ে নবীনতম মতবাদ অনুযায়ী, বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাঙালির এই প্রথম জাতীয়তাবাদীজাগরণের পেছনে রবীন্দ্রনাথ যে প্রেরণা দিয়েছেন তাঁর প্রাথমিক বীজবপন করেছিলেন রাখিবন্ধনের মধ্য দিয়ে । ‘রাখিবন্ধন’ উত্সব প্রবর্তন করে হিন্দু-মুসলিমে সম্প্রীতি ও সান্নিধ্যের সুযোগ তৈরি করতে চাইলেন। নিজে পথে নামলেন, সাধারণ মুসলিম প্রবীণের হাতে রাখি পরালেন, মিছিলের পুরোভাগে থেকে গাইলেন—‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি এমন শক্তিমান’। তাই তো তিনি লিখতে পেরেছিলেন – ‘ বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন এক হউক, এক হউক, এক হউক, হে ভগবান।’তবে বর্তমানে রাখি বন্ধন উৎসব ব্যাপক অর্থে প্রচলিত l জাত পাত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বর্তমানে সৌভাতৃত্বের প্রতীক রূপে রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয় l বাংলার হারিয়ে যেতে চলা কৃষ্টি কালচার বর্তমান সরকারের বদান্যতায় ফিরতে চলেছে l তাই একদিকে যেমন সরকারি উদ্যোগে মুনিঋষি ,স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্ম দিন ও তিরোধান  দিবস সরকারি উদ্যোগে পালিত হয় ,ঠিক তেমনি রাখি বন্ধনের মতো সৌভাতৃত্ব মূলক অনুষ্ঠানেও সরকারি উদ্যোগ চোখে পরে l আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার ব্যবস্থাপনায়  কুমারগঞ্জ ব্লক এলাকা জুড়ে রাখি বন্ধন উৎসবে মেতে ওঠে  কুমারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ ঝাঁর নেতৃত্বে সমস্ত পুলিশ ও সিভিক ভাই বোনেরা l প্রশাসনের এমন মানবিক ও সৌভাতৃত্বমূলক উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন আপামর জনসাধারণ l এপ্রসঙ্গে কুমারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ ঝা জানান ,”রাখি বন্ধন হলো সৌভাতৃত্বের উৎসব l সমস্ত সংকীর্ণতার উর্ধে এই উৎসব l আজ আমরা সমস্ত শ্রেণীর মানুষদের রাখি পরিয়ে তাদের ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ  করি l ‘”


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *