October 26, 2024

কলসি ব্যবসায়ী ও আখ ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন এরকম গরম যাতে আরো কিছুদিন থাকে তাহলে তাদের ব্যবসা খুব সুন্দর জমে উঠবে

1 min read

কলসি ব্যবসায়ী ও আখ ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন এরকম গরম যাতে আরো কিছুদিন থাকে তাহলে তাদের ব্যবসা খুব সুন্দর জমে উঠবে

উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে শুভ আচার্য ও তনময় চক্রবর্তীর রিপোর্ট বর্তমানের কথা  মাটির কলসি আজও, প্রযুক্তির এই চরম উন্নতির যুগেও, বাংলার জনজীবনের অঙ্গ। বিশেষ করে গরমের দিনে ঠান্ডা জল খেতে চাইলে মাটির কলসি তুলনাহীন। আর তাই সুদূর কৃষ্ণনগর থেকে বিক্রির উদ্দেশে নিয়ে আসা এই মাটির কলসি এখন নিমিষের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ।কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল মোড়ে এখন এই মাটির কলসির বিক্রি তে তাই ধুম পড়ে গেছে ।

দাম যতই হোক না কেন এই প্রখর গরমে একটু আরাম করে তৃষ্ণা মেটাতে এই মাটির কলসির কোন বিকল্প নেই। জানা যায় স্বাস্থ্যের দিক থেকে বিবেচনা করলে ফ্রিজের জলকে হাসতে হাসতে দশ গোলে হারিয়ে দেবে মাটির কলসির ঠান্ডা জল।অনেকে মাটির কলসিকে বলেন মটকা। আকার আকৃতি অনুসারে নানা ধরনের মাটির কলসির নানান স্থানীয় নামও আছে। ধাতু ও প্লাস্টিকের বহুল প্রচলনের ফলে আজকাল সব রকম মাটির পাত্রেরই ব্যবহার খানিকটা কমে গেছে। তবু কিছু ব্যাপারে বিশেষ উপকারিতা থাকায় আজও কয়েক ধরনের মাটির পাত্র স্বমহিমায় বিরাজমান। জল ঠান্ডা রাখার মাটির কলসি তার মধ্যে একটা ।

 

জানা যায় এই মাটির কলসি সুদূর কৃষ্ণনগর থেকে যেমন এসেছে তেমনি কিছু গঙ্গারামপুর থেকে এসেছে। বিভিন্ন ধরনের সাইজের কলসির দাম আবার বিভিন্ন রকম হয় বলে জানালেন সৌরভ মদক।তিনি বলেন যতদিন গরম থাকে ততদিনে এই কলসির চাহিদা থাকে আবার বৃষ্টি হয়ে গেলে সাড়ে সর্বনাশ হয়ে যায়। তাই আর পাঁচজন যখন গরমকালে বৃষ্টির প্রার্থনা করে ঠিক তখন এই কলসির ব্যবসায়ীরা ঠাকুরের কাছে কামনা করে বৃষ্টি যাতে দেরিতে আসে।

না হলে তারা যে দাম দিয়ে কলসি গুলো নিয়ে এসেছে সেই দাম আর উঠবে না লোকসান করেই তাদের মাল বিক্রি করে দিতে হবে।জানা যায় কুমোরেরা মাটির কলসি তৈরির সময় এঁটেল মাটির সাথে নির্দিষ্ট পরিমানে মিহি বালি বা বেলে মাটি মেশান। ফলে এধরনের কলসির গায়ে থাকে অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র। মাটির কলসিতে জল রাখলে ঐ ছিদ্র দিয়ে জল বাষ্পীভূত হতে থাকে। বাষ্পীভবন-এর ফলে খানিকটা লীন তাপ কলসির জল থেকে বেরিয়ে যায়। সাধারণ ভাবে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রতি গ্রাম জলের বাষ্পীভবনের ফলে ৫৭৭.৫ ক্যালোরি তাপ কলসি থেকে বেরিয়ে যায়।

 

এই কারণে মাটির কলসিতে জল রাখলে সেই জল থাকে ঠান্ডা।অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে মানুষ যখন নাজেহাল তখন জেলার উৎপাদিত আখের রস দিয়ে পথ চলতি মানুষদের একটু তৃষ্ণা নিবারণ করার পথে নেমেছে আখের রস বিক্রেতারা।এমন 1 আখের রস বিক্রেতাকে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ এর বিবেকানন্দ মোড়ের রেল ঘুমটির সামনে দাড়িয়ে আখের রস বিক্রি করতে।মাত্র দশ টাকায় প্রাণ ভরে এই রস একবার কেউ খেলে তাকে বারে বারে আসতেই হবে ।

 

 

আখের রস বিক্রেতা স্বপন রায় জানালেন , তিনি এই আখের রস বিক্রি করেন চার পাঁচ বছর ধরে ।তিনি বলেন এই আখের রস খেলে একদিকে যেমন তৃষ্ণা সহজেই মিটবে তেমনি শরীরের দিক থেকে ভীষণ উপকারী। সকলেই যখন চান প্রখর রোদ কমুক ঠিক তখন এই স্বপন রায় চান তার ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে কড়া রৌদ্র পড়া দরকার। তিনি বলেন যেভাবে কড়া রৌদ্র পড়েছে তাতে তার মনে হয় কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ আখের রস বেশি বেশি করে খাচ্ছে এখন।

 

 

তিনি বলে গরমের সময় যেমন তিনি আখের রস বেচেন তেমনি ঠান্ডার সময় পেয়ারা বিক্রি করেন।প্রখর তাপপ্রবাহে যখন মানুষের ওষ্ঠাগত প্রাণ । সকলেই যখন চাচ্ছে চাতক পাখির মতো একটু বৃষ্টি হোক ঠিক তখন কলসি ব্যবসায়ী ও আখ ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন এরকম গরম যাতে আরো কিছুদিন থাকে তাহলে তাদের ব্যবসা খুব সুন্দর জমে উঠবে আর তখনই তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠবে।

 

6 thoughts on “কলসি ব্যবসায়ী ও আখ ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন এরকম গরম যাতে আরো কিছুদিন থাকে তাহলে তাদের ব্যবসা খুব সুন্দর জমে উঠবে

  1. buy vibramycin doxycycline new zealand A multicenter, randomized, double- blinded controlled study has recently been completed with daptomycin for pediatric osteomyelitis 157, with 73 daptomycin- treated children compared with 73 children treated with standard- of- care antibiotics vancomycin 51, nafcillin oxacillin 33, cephalosporin 18, and clindamycin 1.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *