*সংস্কৃতের উপযোগিতা নিয়ে ইটাহার কলেজে বিশেষ আলোচনাচক্র*
1 min read
সুকুমার বাড়ই, ইটাহার :- বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ডঃ মেঘনাদ সাহা কলেজের সংস্কৃত বি
ভাগের উদ্যোগে আধুনিক যুগে সংস্কৃতের উপযোগিতা নিয়ে একদিনের বিশেষ আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়। প্রথমে জাতীয় স্তোত্র ” বন্দে মাতরম ” দিয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা করা হয়। এরপর ছাত্র- ছাত্রীরা “স্বাগতম স্বাগতম ” গানের মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান।
এই আলোচনায় মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরুন রঞ্জন মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ডঃ বেলা দাস,আই কিউ এ সি র কো- অরডিনেটর অধ্যাপক ডঃ মহঃ এনারুল হক, অধ্যাপিকা ডঃ আইরিন সবনম, প্রমুখ। হলভর্তি ছাত্র -ছাত্রী, শিক্ষক – শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর উপস্থিতিতে আলোচনা কক্ষে আলাদা একটি পরিবেশ তৈরি হয়।
অতিথি বরনের পর মুখ্য বক্তা এদিনের মুল বিষয়ে আলোকপাত করেন। অধ্যাপক অরুন রঞ্জন মিশ্র তাঁর দীর্ঘক্ষনের বক্তব্যে বর্তমান সময়ে সংস্কৃত ভাষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেন। বৈদিক যুগ, ,রামায়ণের যুগ,মহাভারতের যুগ,গীতা,পানিনির অষ্টাধয়ী এরূপ আরও কিছু বিষয়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি সংস্কৃত ভাষার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন সংস্কৃত একসময় ভারতের জনজাতির ভাষাছিল। নানা কারনে আজ তা আর জনজাতির ভাষা নয়।বিজ্ঞানের সাথে সংস্কৃত ভাষার সম্পর্ক নিয়েও তিনি কথা বলেন। কম্পিউটার, চিকিৎসা বিজ্ঞান,ফলিত বিজ্ঞান ইত্যাদির বিকাশে সংস্কৃত ভাষার উপযোগীতার কথা তিনি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন অন্তরীক্ষে যে দুষণ আছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতেও সংস্কৃত ভাষার অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে।
সংস্কৃত ভাষা মাতৃভাষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন এই ভাষা আজও প্রতিদিন জনগণ ব্যাবহার করে চলেছেন।তবে তা ভিন্ন রকমভাবে। পৃথিবীতে সংস্কৃত শব্দভাণ্ডারে শব্দ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে তিনি দাবি করেন। সংস্কৃত কেবল একটি ভাষা নয় এটি একটি ফ্যাকাল্টি। বিশ্বের বৃহত্তম শব্দভান্ডার যুক্ত এই ভাষার কেন আজ কতিপয়ের ভাষা, তাঁর কারন নিয়েও তিনি আলোচনা করেন। মুল কারন হিসেবে এই ভাষা ব্যাবহার না করাকেই তিনি দায়ী করেছেন।আগামীতে এই ভাষা তাঁর হৃত গৌরব ফিরে পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন ডঃ এনারুল হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপক বক্তব্য দেন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দরীন সরকার। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সংগীত ” জনগণ মন অধিনায়ক জয় হে ” গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের অধ্যাপিকা চন্দ্রানী হালদার বনিক।