October 25, 2024

'যেতে দিতে নাহি চাই তবু যেতে দিতে হয়

1 min read
আনওয়ারুল হক,চাকুলিয়া,১লা অক্টোবর‘যেতে দিতে নাহি চাই তবু যেতে দিতে হয়’ একদিকে যখন শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিরোধে জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে চলছে তরজা।তখন ঠিক সেই একই মহকুমার অন্তর্গত তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়ায় লক্ষ্য করা গেলো শিক্ষক কে যেতে দিতে চান না বলে ছাত্রছাত্রীদের আর্তনাদ। চাকুলিয়ার শিরসী ইসলাহুল মুসলেমীন সিনিয়র মাদ্রাসার পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সৈকত ঘোষের অন্যত্র ট্রান্সফারে দুঃখে ভারাক্রান্ত ছাত্রছাত্রীরা।মাদ্রাসা অফিসের সামনে সমাবেশ করে স্লোগান দিতে থাকে ছাত্রছাত্রীরা, ‘আমাদের প্রিয় স্যর সৈকত ঘোষ স্যর’, ‘স্যর আমাদের ছেড়ে যাবেন না প্লিজ’এরকম স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মাদ্রাসা পরিবেশ,বন্ধু তথা একাধারে অভিভাবক সম শিক্ষক চলে যাওয়ায় মাদ্রাসার অপূরণীয় ক্ষতি হতে বাধ্য, জ্ঞানতাপস, সৌম্যদর্শন, মিষ্টভাষী, স্নেহ পরায়ণ প্রিয় শিক্ষক সৈকত ঘোষ, যার প্রেরণার অনির্বাণ শিখা সদাদীপ্যমান এইরকম কুসুমাদপি কোমল হৃদয়ের ব্যাক্তি তথা শিক্ষককে হারাতে চান না তাই তাঁর এই চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীরা। এলাকার অভিভাবক মহলেও তাঁর এই অনন্য পরিচিতি ছড়িয়ে রয়েছে। 2011 এর নভেম্বরে কেমিষ্টির শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন সৈকত ঘোষ, বন্ধুত্বসুলভ মনোভবে সবাইকে স্নেহ সহকারে আগলে রাখতেন। তাঁর বাড়ি নদীয়া জেলার রাণাঘাট এ।

শিক্ষকতায় নিয়মনিষ্ঠ, বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে স্বচ্চন্দগতি,অফিসে সকল স্যার দের প্রিয় ব্যাক্তিটির অন্যত্র চলে যাওয়ায় মাদ্রাসা হারাবে এক অমূল্য সম্পদকে বলে মন্তব্য মাদ্রাসার বাকী শিক্ষকদের। মাদ্রাসা অফিসেও অনেক কর্মকাণ্ডে ছিলেন খুব আন্তরিক ও পরিশ্রমী। কিন্তু যাতায়াতের সমস্যা সহ বয়স্ক পিতামার দেখভালের জন্য পার্শ্ববর্তী হুগলী স্কুলে চলে চলে যাচ্ছেন, দেখা যায়, আজকের সমাবেশে ছাত্রছাত্রীরা দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে আর্তনাদ করে উঠে,প্রিয় শিক্ষকের চলে যাওয়ায় অনেকে কান্নায় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে।এসব দেখে অবশ্য সৈকত স্যার অভিভূত হয়ে তিনিও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র তৌহিদ আলম জানায় শিক্ষক হিসাবে মাদ্রাসায় আদর্শ ব্যাক্তিত্ব স্যারের এই চলে যাওয়া আমরা মেনে নিতে পারছি না,অনুগ্রহ করে স্যার যদি আমাদের সাথে এই মাদ্রাসাতেই থেকে যেতেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকতাম,বলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, তৌহিদ।শিরসী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহঃ আবু তাহের মহাশয় জানান যে, খুব অল্প সময়েই আমাদের সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সৈকত বাবু, কিন্তু উনি যাতায়াতের সমস্যা,সহ বিভিন্ন সমস্যা থাকায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলে যাচ্ছেন,পরিক্ষা দিয়ে পাশ করে এসে স্যর নিজ এলাকায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দিবেন,উনি চলে যাওয়ায় মাদ্রাসা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে হতাশা ব্যাক্ত করে জানান যে,অনুরোধ থাকলেও তো উনাকে আটকানো যায় না,তাই অন্যত্র ট্রান্সফার হয়ে চলে যাচ্ছেন। বিদায়ী শিক্ষক সৈকত স্যার এর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জানান যে নদীয়ার রাণাঘাট থেকে যাতায়াতের বহু সমস্যা হচ্ছে,বাড়িতে বয়ষ্ক পিতামাতা রয়েছেন,একমাত্র সন্তান হিসাবে এই বয়ষ্ক পিতামাতার আগ্রহেই চলে যেতে হচ্ছে,মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের এই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত, আমার এই 7 বছরের শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতা আমার স্মৃতিপটে অক্ষয় হয়ে থাকবে,পরিক্ষা দিয়ে সুযোগ পাওয়ায় চলে যেতে হচ্ছে না হলে এমন সুন্দর পরিবেশ ছেড়ে যেতে মন চাইনা,বলে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন সৈকত বাবু।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *