একযুগ আগে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি বাজার নির্মাণ হলেও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে?
1 min readএকযুগ আগে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি বাজার নির্মাণ হলেও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে?
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২১ জানুয়ারি:উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে এক যুগ আগে কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র ডাক বাংলো রোডের পাশে একটি বাজার নির্মিত হয়ে পড়ে থাকলেও হেলদোল নেই যেমন জেলা পরিষধের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তেমনি নেই জেলা পরিষধের কোন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের।
ফলে ডাক বাংলো রোডের মানুষজন এই ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।কালিয়াগঞ্জ ডাক বাংলো রোডের ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে জানান কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে এত সুন্দর একটি জায়গায় জেলা পরিষদ মার্কেট বানিয়ে ফেলে রাখলো কার জন্য।সাধারণ মানুষের বক্তব্য শুধু মাত্র কন্ট্রাক্টরকে পয়সা পাইয়ে দেবার জন্যই এই মার্কেট করা হয়েছিল।তা ছাড়া কি কারনে বছরের পর বছর ধরে কি ভাবে এই তৈরী মার্কেটটি সবার চোখের স্যমনে কি ভাবে পরের থাকে।কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন সরকারের টাকার কোন হিসাব না থাকলে এই ভাবেই জনগণের টাকা পরে পরে নষ্ট হয়।জেলা পরিষদকে অনেকবার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে বলা হলেও তাদের এ ব্যাপারে কোন রকম মাথা ব্যাথা নেই।
ডাকবাংলো রোডের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ চিন্ময় দেবগুপ্ত অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে বলেন এত ভালো একটি জায়গায় মার্কেট কমপ্লেক্স করার পরেও কি ভাবে পরে থাকে এটাই অবাক হবার মত ঘটনা।তিনি বলেন এই বাজার টি চালু না হবার ফলে সন্ধ্যের পর এই মার্কেটটি সমাজবিরোধীদের আড্ডার স্থলে পরিণত হয়।তাছাড়া এলাকার মানুষজন আস্তে আস্তে মার্কেট কমপ্লেক্সের জায়গাটি দখল করে নিচ্ছে।ইতিমধ্যেই মূল জমিতে রাস্তার পাশেই একটি শিব মন্দির বসিয়ে অনেকটা জায়গা ইতিমধ্যেই শিব মন্দিরের জায়গা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।কিন্তু আশ্চর্যের ঘটনা এত ঘটনার পরেও উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কোন রকম ভ্রূক্ষেপ নেই কোন রকম।উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষধের সহ-সভাধিপতি পূর্ণেন্দু দে কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ মূল শহরে জেলা পরিষদের সম্পত্তি পরে পরে নষ্ট হচ্ছে অথচ আমাদের কোন ভূমিকা নেই।এটা ঠিক নয়।আমি দেখছি কি করা যায়।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন পৌর পিতা কার্তিক পাল কয়েকবার জানিয়েছিলেন কিন্তূ তাতেও কোন কাজ হয়নি।