তরঙ্গপুর এর ঘোষ পরিবারের দুর্গাপূজায় তৃণমূল নেতাদের মাঝে উৎসবে মেতে উঠলেন কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল
1 min readতরঙ্গপুর এর ঘোষ পরিবারের দুর্গাপূজায় তৃণমূল নেতাদের মাঝে উৎসবে মেতে উঠলেন কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল
তনময় চক্রবর্তী দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এক অসাধারণ এক মেলবন্ধনের ছবি ধরা পরল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর তরঙ্গপুর এর ঘোষ পরিবারের দুর্গাপূজায়। আজ নবমী পূজার দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বহু মানুষ এই পুজো কে কেন্দ্র করে মেতে উঠলেন মন্দির প্রাঙ্গণে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো আজ এই পুজোতে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল কে তৃণমূলের আর পাঁচজন নেতাদের সঙ্গে একসাথে বসে সেখানে আড্ডা মারতে। যা দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে যায়। আবার অনেককে বলতে শোনা গেল যেহেতু কার্তিক চন্দ্র পাল কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের কান্ডারী বলে ইতিমধ্যে পরিচিত হয়ে গিয়েছে তাই তাকে সবাই ভীষণ ভালোবাসেন।
আর সেই ভালোবাসার তাগিদে তিনি যখনই যেখানে যান তাকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা থাকে একদমই আলাদা। যা দেখা গেল ঘোষ পরিবারের দুর্গাপূজা র মন্দির প্রাঙ্গণে। আজ দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল কে দীর্ঘ কোন আড্ডা মারতে এই পুজো প্রাঙ্গণে সকলের সঙ্গে তখন দেখা গেল এরই মাঝে সকলের সঙ্গে তাকে ছবি তুলতেও। উল্লেখ্য এদিন যখন কার্তিক চন্দ্র পাল ঘোষ বাড়ি র দুর্গাপূজা মণ্ডপে জান সেই সময় দেখা গেল
রায়গঞ্জের পৌরপতি সন্দীপ বিশ্বাস, চাকুলিয়া বিধায়ক মিনহাজুল আফরিন আজাদ , ঘোষ পরিবার এর অন্যতম কর্ণধার তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ ,কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য, কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য কমল ঘোষ, তৃণমূল নেতা উত্তম ঘোষ ,তৃণমূল নেতা বাপ্পা সরকার, কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি মোস্তাক আলী সহ আরো অনেকে। সকলেই কার্তিক বাবু কে ঘিরে দীর্ঘক্ষণ আড্ডায় মেতে থাকেন।
উল্লেখ্য কালিয়াগঞ্জ এর তরঙ্গপুর এর ঘোষ পরিবারের প্রাচীন এই পুজো প্রতিবছরই নিষ্ঠা সহকারে হয়ে আসছে। পুজোর চার দিন বহু মানুষ এই পুজো কে কেন্দ্র করে মেতে ওঠেন মন্দির চত্বরে।
সাথে বাঁধ থাকে না এই পুজো দেখতে রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে আরম্ভ করে বিধায়ক মন্ত্রীদের আনাগোনা । তেমনি আজ এই পুজো দেখতে রাজনৈতিক নেতাদের চাঁদের হাট বসে ছিল ঘোষ পরিবারের মন্দির চত্বরে। আজ সকল কেই পেট পুরে খাওয়ানো হয় মায়ের প্রসাদ। উল্লেখ্যমহানবমীর পুজো জোর কদমে চলছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরের ঘোষ বাড়িতে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে সরগরম গোটা বাড়ি। পরিবারের প্রতিটি সদস্যই ব্যস্ত পূজাকে ঘিরে।
গতকাল অষ্টমীতে কুমারী দেবী সেজেছিল ছোট্ট অদিত্রী তলাপাত্র। সাত বছর বয়সে ছোট্ট অদিত্রীকে দেখতে উৎসাহ ছিল এলাকাবাসীর মধ্যে।ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, স্বাধীনতার সময় এলাকাটির অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে যথেষ্টই ধোঁয়াশা ছিল।
কালিয়াগঞ্জ ভারতের মধ্যে পড়বে নাকি পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হবে তা নিয়ে বেজায় চিন্তিত ছিল সেখানকার স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে আরও একটি সমস্যা ছিল ওই এলাকায় বাঘের উৎপাত। দেশভাগের দুশ্চিন্তা শরণার্থী যন্ত্রনা আর বাঘের উৎপাত থেকে রেহাই পেতে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন সতীশ চন্দ্র ঘোষ। কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর এলাকাটি যেনো ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় । স্বাধীনতার সময় এটাই ছিল দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা।
তারপর দেশ স্বাধীন হল। বেড়াজালে বিভক্ত হল দেশ। ভারতের অন্তর্ভুক্ত হল কালিয়াগঞ্জ। তারপর থেকে প্রায় সাত দশক পেরিয়ে গেছে। তবুও নিষ্ঠা ভক্তির আজও সেই ধারা বজায় রেখেছে ঘোষ বাড়ি দুর্গাপূজো।দূর্গা পূজোর সময় টিন বাজিয়ে এই পুজো আরম্ভ হয় ষষ্ঠীর দিনে।এই পুজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষরা প্রতি বছরই একত্রিত হয়ে মিলন মেলা রূপ দেয়।ধর্মীয় আচার মেনে এখানে মা দুর্গা পুজো হয়ে থাকে পুজো শেষে হাজার হাজার মানুষ অন্নভোগ ও গ্রহণ করেন।