October 28, 2024

আনন্দের হাতছানি কাশফুলের দোলা যেন তারা করে বেড়াচ্ছে আপামর বাঙালিকে

1 min read

আনন্দের হাতছানি কাশফুলের দোলা যেন তারা করে বেড়াচ্ছে আপামর বাঙালিকে

তনময় চক্রবর্তী  সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ছবির সেই মন উদাস করা দৃশ্য। মাঠের মধ্যে ইতি-উতি মাথা উঁচিয়ে দোলা দিচ্ছে সাদা কাশের গুচ্ছ । আর বাতাসের শিউলির ঘ্রাণ। প্রকৃতির সেই চিরাচরিত শরতের রূপ বোধ করি বিভূতিভূষণ ছাড়া আর কেউ বর্ণনা করতে পারেননি। আর সেই বর্ণনা দৃশ্য রূপ নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ রায়।

প্রতিবছর পুজো এলে সেই কাশ বন সকলের হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়। হ্যাঁ আজ থেকে কয়েক বছর আগেও সেই শরতের নীল আকাশ, মাঠে ঘাটে কাশ ফুল ও মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা, আর দুর্গা বাড়ির ঢাকের আওয়াজ এ মাতৃ বন্দনার মাধ্যমে সকল কে মনে করিয়ে দিত পুজো এসে গেছে দুয়ারে। সেই সময় শরৎকাল এলেই গ্রাম বাংলার ঝোপঝাড় রাস্তাঘাট পুকুর ও নদীর দুধার সহ আনাচে কানাচে তে ছিল মন মাতানো কাশফুলের নাচানাচি। কাশবনের ফুলগুলো দোল খেত বাতাসে। গলাগলি হত একটার সাথে আরেকটার।

আর সেই সময় অজান্তেই মানুষের মনে ভিন্নরকম আনন্দের ঝিলিক বয়ে যেত। কিন্তু আজ নদীর ধারে জমির পাশে শরৎকালের সেই চিরচেনা দৃশ্য আর দেখা যাচ্ছে না। কালের আবর্তে সব কিছু যেন হারিয়ে যাচ্ছে ।সাথে কাশবন ও । এখন গ্রামবাংলা য় বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকা যে কয়েকটি কাশবন চোখে পড়ে সে গুলো ও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে সেই জায়গাগুলিতে এখন অন্যকিছু চাষাবাদ হচ্ছে।

আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ ঘুরে ঘুরে তেমন কোন জায়গায় কাশ বনের ক্ষেত না দেখা দিলেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রাধিকাপুর যেতে হঠাৎ চোখে পড়ল একটি কাশবনের ক্ষেত। তবে কয়েক বছর আগে এখানে যেভাবে কাশ ফুল ফুটত আজ কিন্তু অনেকটাই কম দেখা যাচ্ছে। তবুও শরতের মাঠে কাশবনে যেভাবে দুলছে কাশফুল তাতে আপামর বাঙালি কে আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে এই শরতে কৈলাস ছেড়ে দুর্গতিনাশিনী দুর্গা আসছে খুব শীঘ্রই আমাদের দুয়ারে। হ্যাঁ এখন প্রায় দুয়ারে এসে গেছে মা দুর্গা। আনন্দের হাতছানি কাশফুলের দোলা যেন তারা করে বেড়াচ্ছে আপামর বাঙালিকে ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *