October 28, 2024

পূজায় ইমিটেশনের গয়নার সাথে পাল্লা দিতে কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটার গয়না বাজারে নিয়ে এলো টেরাকোটা শিল্পী দুলাল রায়

1 min read

পূজায় ইমিটেশনের গয়নার সাথে পাল্লা দিতে কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটার গয়না বাজারে নিয়ে এলো টেরাকোটা শিল্পী দুলাল রায়

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৪ সেপ্টেম্বর: এবারের আসন্ন বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ দুর্গোৎসবে ইমিটেশনের গয়নার সাথে পাল্লা দিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাট পাড়ার প্রতিষ্ঠিত টেরাকোটা শিল্পী দুলাল রায় পোড়ামাটির টেরাকোটার গয়না শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে নানান ধরনের চোখ ধাধানো টেরাকোটার গয়না বাজারে নিয়ে এলো বলে জানা যায়। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা শিল্পের সুনাম পৃথিবীখ্যাত।কিন্তূ বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার সাথে তাল মিলিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কুনোরহাট পাড়ার প্ৰতি বাড়ি বাড়ি আজ এই মুহূর্তে টেরাকোটা শিল্পের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে তা অনেকের কাছেই অজানা ছিল।

বর্তমানে কুনরের হাট পাড়ার মৃৎশিল্পীরা মৃৎশিল্পের প্রাচীন ধ্যান ধারণা পাল্টে পোড়ামাটির টেরাকোটা শিল্পকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতার আসরে নেমে পড়েছে তা অনেকের কাছেই অবাক করবার মত ঘটনা বলা যায়।কুনোরহাট পাড়ার রাজ্য স্তরের পুরস্কারপ্রাপ্ত টেরাকোটা শিল্পী দুলাল রায় বলেন সরকারের সহযোগিতা ছাড়াই আমরা উত্তর দিনাজপুর জেলার কুনরের টেরাকোটা শিল্পকে বর্তমানে তাদের অমানুষিক পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে বলে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথেই বললেন।তিনি বলেন বর্তমানে তাদের কুনরের হাট পাড়ার বাড়িতে তৈরি হচ্ছে ইমিটেশনের যে সমস্ত গয়না দোকানে পাওয়া যায় তার সব কিছুই তৈরি করা হচ্ছে।যা হটাৎ করে দেখলে মনে হবে এটাওকি সম্ভব? হ্যা বর্তমানে সেই অসম্ভব কাজকে দুলাল রায় ও তার পরিবারের ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী সম্ভবে পরিণত করতে সমর্থ হয়েছে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।


দুলাল রায় ও তার পরিবার ইমিটেশনের গয়নাকে পাল্লা দিয়ে গলার নেকলেস,বাউটি,ব্রেসলেট,কাকনের রকমারি আকর্ষণীয় দুল, কানপাশা সহ যাবতীয় গহনা তৈরি করছে।দুলাল রায় বলেন তাদের টেরাকোটার গহনা বাড়িতে এসে অনেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে যাদের মধ্যে শৌখিনতা আছে।
এবার পূজায় অনেকেই ইমিটেশন গহনার পরিবর্তে টেরাকোটার গহনা পরেই পূজার চারটি দিন কাটিয়ে দেবে বলে জানান কালিয়াগঞ্জ শহরের কলেজ পড়ুয়া জয়ন্তী ব্যানার্জী,মহুয়া রায় এবং শ্রাবন্তী মুখার্জী। উত্তর দিনাজপুর জেলার শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুনীল সরকার এক সাক্ষাৎকারে বলেন কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্প বর্তমানে অত্যন্ত ভালো কাজ করে চলেছে।

আমরা চেষ্টা করছি এই শিল্পকে কি ভাবে আরো উন্নত করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে। কালিয়াগঞ্জ হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীরা ক্ষোভের সঙ্গেই জানালেন সরকারের উত্তর দিনাজপুর জেলা শিল্প কেন্দ্র টেরাকোটার উন্নয়নের কথা বললেও আজ পর্যন্ত এই এলাকার শিল্পীদের সুবিধার্থে একটি ওয়ার্কসেড তৈরি করে দিতে পারেনি। তিনি বলেন টেরাকোটা শিল্পের জন্য কালিয়াগঞ্জ শহরে একটি টেরাকোটার বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করবার জন্য সরকারের কাছে বার বার আবেদন করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম গুরুত্বই দেওয়া হয়নি বলে টেরাকোটা শিল্পী দুলাল রায় ক্ষোভের সঙ্গেই জানালেন।তাই সরকারের শিল্প দপ্তরের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই।যদি টেরাকোটা শিল্পীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতো তাহলে শিল্পীদের এতো কষ্টের মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হতনা।শিল্প দপ্তর অনেক কিছু বললেও কোন কিছুই করেনি বলে ক্ষুব্ধ হয়ে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *