October 29, 2024

‘‌লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’‌ ফর্মে থাকবে ইউনিক নম্বর, ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘‌দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প

1 min read

‘‌লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’‌ ফর্মে থাকবে ইউনিক নম্বর, ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘‌দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প

১৬ আগস্ট থেকে দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। তবে আপাতত বন্যা দুর্গত এলাকায় বসছে না দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেই সমস্ত এলাকায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসবে। এবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকছে। ফর্ম ফিলাপের জন্য থাকছে বিশেষ নিয়ম। বৃহস্পতিবার নবান্নে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের জন্য নয়া নিয়মকানুন জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মমতার কথায়, এবার দুয়ারে সরকারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য আলাদা ক্যাম্প থাকছে। সেখান থেকে বিলি হবে ফর্ম। ফর্মে থাকবে ইউনিক নম্বর। সেই নম্বর নথিভুক্ত হবে সরকারের কাছে। আর এই নম্বর ছাড়া ফর্ম ফিলাপ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাইরে থেকে এই ফর্ম কেনা যাবে না। কোনও সংগঠন যাতে এই ফর্ম নিয়ে বাইরে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করতে না পারেন,তার জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে শুধু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম নয়, কৃষক বন্ধু–স্বাস্থ্যসাথীর ফর্মেও থাকছে ইউনিক নম্বর।

আর এ নিয়ে কারোর অভিযোগ থাকলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দপ্তরে জানানো যাবে অভিযোগ। তার জন্য দু’টি নম্বর চালু করছে সরকার। নম্বর দু’টি হল–১০৭০/ ২২১৪–৩৫২৬।কারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন না তাও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‌যাঁরা সরকারি চাকরি করেন, পেনশন পান কিংবা ভাল বেসরকারি চাকরি করেন, তাঁরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না। অন্যরা মাসে ৫০০ এবং তফশিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলারা মাসিক ১ হাজার টাকা পাবেন।’‌ এদিন মমতা বলেছেন, আগামী ৬ নভেম্বর ভাইফোঁটার দিন থেকে শুরু হবে ‘‌দুয়ারে রেশন’‌ কর্মসূচি। রাজ্যের বাসিন্দা ছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই বিশেষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে তিনি অন্য রাজ্য থেকে রেশন নিচ্ছেন না।

এদিন আরও সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা। আবারও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এবার মুক্তি দেওয়া হবে মোট ৭৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ এবং বাকি ৭ জন মহিলা।

 

পুরুষ বন্দিরা প্রত্যেকেই ৬০ বছরের বেশি বয়সি। মহিলারা ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে। করোনা পরিস্থিতি এবং বন্দিদের বয়সের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। এর আগে গত ২ আগস্ট মোট ৬৩ জন বন্দিকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা। পুরুষরা প্রত্যেকেই ৬০ বছরের বেশি। মহিলারা ৫৫ বছরের বেশি বয়সি ছিলেন। তার ঠিক দশদিনের মাথায় আবারও ৭৩ জন বন্দিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মুক্তিপ্রাপ্তরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *