October 29, 2024

ত্রিপুরা নিয়ে কাল সংসদে ‘খেলা হবে’

1 min read

ত্রিপুরা নিয়ে কাল সংসদে ‘খেলা হবে’

বিক্ষোভ এবার দিল্লিতেও। নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও থানায় হেনস্থার প্রতিবাদে সোমবার সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাবেন তৃণমূল সাংসদরা। একইভাবে গান্ধীমূর্তির পাদদেশেও চলবে অবস্থান। রবিবারই দলের তরফে একথা জানানো হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ত্রিপুরার পুলিশ দ্বিচারিতা করছে। প্রশাসনের কোনও স্বচ্ছতা নেই। পাশাপাশি তাঁদের প্রশ্ন, যদি মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে থানার বাইরে বিজেপির জমায়েত কেন অনুমতি পেল। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও ত্রিপুরার খোয়াই থানায় রয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে চেষ্টা ছিল, থানাতেই কর্মীদের জামিন করানো। তা নিয়ে বহুক্ষণ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসাও হয় নেতৃত্বের।

এদিন সকালেই ত্রিপুরা পৌঁছেই সোজা খোয়াই থানায় চলে যান অভিষেক। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেন এবং ব্রাত্য বসুও। সারারাত অবরুদ্ধ রেখে রবিবার সকালে খোয়াইতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গতকাল থেকেই তৃণমূলের তিন নেতার ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। রাতে শেষ পাওয়া

পর্যন্ত খবরে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল তিন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও জয়া দত্তকে। তৃণমূলের মোট ১১ জনকে মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ত্রিপুরা যাবেন। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই এমনটা করছে। আজ সকালে বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার সময় কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরার পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমাদের সহকর্মীরা কাল সারারাত অবরুদ্ধ ছিল। গুন্ডারা তাদের ফেরার রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আমাদের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে, ফ্লেক্স ব্যানার ছেড়া হয়েছে। আমরা যে হোটেলগুলোতে থাকি সেখানে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে আমাদেরকে হোটেলে থাকতে না দেওয়া হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *