October 25, 2024

নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

1 min read

রাষ্ট্র যেমন নাগরিকদের বিবিধ সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার দিয়ে
থাকে তেমনি
রাষ্ট্রের প্রতিও নাগরিকদের কতগুলো দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়।
অধিকার ও কর্তব্য পরস্পর নির্ভরশীল ও পরিপূরক। নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব ও
কর্তব্য নিচে আলোচনা করা হলঃ
নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্রের প্র

তি অনুগত্য
প্রকাশ করা। অর্থাৎ রাষ্ট্রের নির্দেশ মেনে চলা। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও
সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রত্যেক নাগরিককে সর্বদা সজাগ এবং চরম ত্যাগের
জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান মেনে চলা এবং আইনের
প্রতি সম্মান দেখানো নাগরিকদের অন্যতম দায়িত্ব। কেউ আইন অমান্য করলে সমাজে
বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। স্বাভাবিক জীবনের ব্যাঘাত ঘটে। তাই সুষ্ঠু জীবনযাপন
, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিককে আইন মেনে চলতে
হবে।সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর ফলে
যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবে। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ
প্রার্থীকে ভোটদানে বিরত থাকা উচিত।রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান উৎস নাগরিকদের প্রদেয় কর
ও খাজনা
, রাষ্ট্রের প্রশাসনিক, প্রতিরক্ষা এবং উন্নয়নমূলক
কাজ সম্পাদনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের যথাসময়ে কর প্রদান করে
রাষ্ট্রীয় কাজে সহযোগিতা করতে হবে।রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় কাজ
সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা নাগরিকের কর্তব্য। সরকারের গৃহীত কোনো কাজ মানে হলো জনগণের
কাজ। সরকারি কর্মকর্তা তদুপরি নাগরিকদের সততা ও কাজে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার উপর
সরকারের সফলতা
, উন্নতি ও অগ্রগতি নির্ভর করে।প্রতিটি শিশুই রাষ্ট্রের
নাগরিক। পিতামাতা তার অভিভাবক হিসেবে কাজ করেন। তাই সন্তানদের জীবনরক্ষার জন্য
বিভিন্ন প্রতিষেধক টীকাদান
, সুস্থসবল রাখা এবং নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পাঠানো
পিতামাতার দায়িত্ব। এতে করে সন্তান সুশিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে এবং
পরিবার
, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অবদান রাখবে।প্রত্যেক
নাগরিককেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকতে হবে। নিজস্ব সংস্কৃতি
, রাষ্ট্রীয় অর্জন ও সফলতা এবং সবসময় দেশের মঙ্গল কামনা করা
নাগরিকদের কর্তব্য। জাতীয় সংগীত
, জাতীয় ইতিহাস, জাতীয় বীর ও মনীষীদের অবদানকে স্মরণ করতে হবে।প্রত্যেক
নাগরিককে একে অপরকে সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ভিন্নমতকে মূল্যায়ন করা এবং
সম্মান করার মধ্য দিয়ে জাতীয় সংহতি অর্জন করা সম্ভব। এটা প্রত্যেককেই বিশ্বাস করতে
হবে যে বৈচিত্র্যের মধ্যেই সৌন্দর্য নিহিত।প্রত্যেক নাগরিককেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে
দুর্নীতি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের
এমনকি রাষ্ট্রের বেআইনী কোন কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব।
তবে কোনক্রমেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। তাহলেই সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত
সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *