October 24, 2024

বর্তমান রাজনৈতিক পরিমন্ডলে যিনি অপ্রতিরোধ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব তিনি শুভেন্দুঅধিকারী

1 min read
রাজশেখর
দাস [
রাজনৈতিক
প্রতিবেদন ] 
 
তিনি যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তির মূলস্তম্ভ,মমতাব্যানার্জীর দক্ষ সেনাপতি,বাংলা তথা বর্তমান রাজনৈতিক পরিমন্ডলে যিনি
অপ্রতিরোধ্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব
,তিনি হলেন
শুভেন্দুঅধিকারী।এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে
,একসময় বামফ্রটের হরকিষন সিং সুরজিতকে বলা হত
চানক্য
,বর্তমানে আমার
মনেহয় রাজনীতির আকাশে শুভেন্দুই কৌটিল্য চানক্য (উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক)রূপে
বিরাজমান।

আমি তখন কাঁথি ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাভবনে পড়ি।সালটা ১৯৮৯।স্কুলে পড়ছি অথচ
কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের সম্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহন করে আসছি
,সেই সময় থেকে অনেক রাজনৈতিক উথান পতন দেখেছি,কিন্তু সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্দিতে উনি সর্বদা
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।আ্মি নিজে বঙ্গবাসী কলেজে পড়াকালীন কলেজরাজনীতি করার সুবাদে মাননীয়
তাপস রায় কিংবা সৌমেন মিত্রর সংগেও রাজনৈতিক ভাবে সান্নিধ্যলাভ করেছি
,কিন্তু শুভেন্দুঅধিকারীর মতো এমন রাজনৈতিক
ধীশক্তির অধিকারী ব্যাক্তি আমার চোখে পড়েনি
,কিংবা বাংলার মানুষ দেখেছে কিনা সন্দেহ।হ্যাঁ
মানছি সিপিএমের অনিল বিশ্বাস ছিলেন
,ওনাকে শ্রদ্ধা
জানিয়েই বলছি
,শুভেন্দু অধিকারী
শুধুই একটা নাম নয় বাংলার রাজনীতির ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার।যিনি গোটা বাংলাকে হাতের
তালুর মতো চেনেন। একজন বড়ো রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের বড়ো গুন।আমার মা একটা কথা
প্রায়ঃশই বলতেন
,তুমি ততোবড়ো
রাজনীতিবিদ
,যত বড়ো সংগঠক
হবে।


যাইহোক আর মাত্র ৪২দিন বাকি বিগ্রেড সমাবেশের।তার মধ্যে শুভেন্দুঅধিকারী
যতগুলি জনসভা করেছেন সবগুলিতেই সতঃস্ফুর্তভাবে অসংখ্য মানুষের জনসমাগম
ঘটেছে।২০১৩এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্বমেদিনীপুর প্রথম জেলাপরিষদ দখল করেছিল।সেই
পূর্বমেদিনীপুরের পিছাবনীতে সভা করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন
,২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ফিনিশ।তিনি
তাঁর কাউন্ট ডাউন শুরু করে দিলেন।তিনি যে ৪২=০ তে এগোচ্ছেন তা আর বলার অপেক্ষা
রাখে না।পিছাবনীর জনসমাবেশ বিগত ৩৪বছরের সিপিএম এর রাজত্ত্ব কালেও কাঁথি লোকসভা
কখনো দেখেনি।আমি এজন্য আর একজনের নাম স্মরন করিয়ে দিতে চাই
,যাঁর কথা শুভেন্দুবাবু গতকাল ও সবসময় স্মেহের
সঙ্গে উচ্চারন করেন
,তিনি হলেন তাঁরই
ভাবশিষ্য
,শুভেন্দুবাবুর ও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহধন্য
,দেশপ্রাণব্লকের অভিভাবক তথা কান্ডারী অসম্ভৰ সাংগঠনিকশক্তির অধিকারী মাননীয়
শ্রীতরুনকুমার জানা মহাশয়।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


যিনি নিমেষেই হাজার হাজার লোক জড়োকরতে পারেন।
মেদিনীপুরের মাটি বিপ্লবের মাটি
,তাই তিনি এদিন
পূর্ব ও পশ্চিম উভয়মেদিনীপুর থেকে বিজেপী নিকেশ হবার জেহাদ ঘোষনা করলেন।এই
মুহুর্তে বালার যা অবস্থা ৪২=০ প্রায় নিশ্চিত।কিতু শত্রুকে ছোট করে দেখার কৌন
প্রশ্নই ওঠা উচিত নয়।ক্ষুদ্র কাঁটা হলেও তার বিদ্ধ করিবার ক্ষমতা আছে।কারন
,৫০শতাংশ ভোট ব্যাঙ্ক যদি তৃণমূলের হয়,৩০শতাংশ যদি বিরোধীদের,বাকি ২০ শতাংশভোট দোদুল্যমান।এই২০শতাংশ ভোট
অবশ্যই নব্য যুব ভোটার।উপর নেতৃত্ব সর্বদা পরিমার্জনশীল ও সতর্ক
,এটা মানতেই হবে,কিন্তু নিচুতলায় কিছুক্ষেত্রে সঠিক পরিষেবা
পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলস্তরীয় নেতৃত্ত্ব অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।যেমন গীতাঞ্জলী
,আবাস যোজনা কিংবা একশোদিনের কাজের
ক্ষেত্রে।প্রত্যেকের জবকার্ডে কাজের হিসাব ও নিজ
a/cএ ঠিকমতো টাকা ঢুকছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে
হবে।কারন মানুষ আগে খাদ্য ও বাসস্থানটাকে ঠিক রাখতে চায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সরকার যা উন্নতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন
,তা সামগ্রিকভাবে বিধান রায়,সিদ্ধার্থশংকর,অজয়,জ্যোতি,বুদ্ধবাবুদের
থেকে হাজারগুন ছাপিয়ে গেছে
,এই আপ্তবাক্যটি
অতিবড়ো বামডান বিরোধী সমর্থক ও মানে।তাই বিরোধীদলগুলি এতো ভয় পেয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডেপত্রিকা ইতিমধ্যেই তাদের সমীক্ষাতেই জানিয়েছে
মমতা ব্যানার্জী সর্বকালের সেরা মুখ্যমন্ত্রী।এইমূহুর্তেদেশের যা পরিস্থিতি তাতে
দেশের হাল ধরতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এরজন্যবাংলাবলয়ের পাশাপাশি
হিন্দিবলয়েও তুণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে।অবশ্যবিহার
,ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশার দায়িত্ব যোগ্য নেতৃত্ত্ব
শুভেন্দু অধিকারীর উপর বর্তেছে।নবীন পট্টনায়ক ঝানু রাজনীতিবিদ।যেমন বুনো ওল তেমনি
বাঘা তেঁতুল।কিংবা নীতিশ কুমার। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির পাল্সরেট তিনি(শুভেন্দ)ভালোই
বোঝেন। এটা সবচেয়ে বড়ো অ্যাডভানটেজ।এরসঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলিকে আরও বেশী আন্তরিক হতে
হবে মমতাজীর প্রতি
,বিজৃপিকে
গতিচ্যুত করতে হলে।আঞ্চলিক দলগুলির কাছে বিশেষ আাবেদন একজোট হয়ে লড়াই করুন সফল
হবেনই।কারন বিজেপির এখন ছুঁচো গেলার অবস্থা।না ঢোঁক গিলতে পারছে না উগরাতে পারছে।
এর আগের প্রতিবেদনেও আমি বলেছিলাম
,এখনও বলছি
মায়াবতীর কিংবা তামিলনাড়ুর নিজস্ব বেসপ্লেট হারিয়ে গেছে অখিলেশ
,চন্দ্রশেখর,চন্দ্রবাবু নিজেদের রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা
কখনোই পাবেনা।রাহুল গান্ধী মমতারজীর মতো পোড়খাওয়া দুঁদে রাজনীতিবিদ নন।অতএব
বাঙ্গালী প্রধানমন্ত্রী হওয়ারএটাই একমাত্র সুযোগ।পরিশেষে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত
বাংলার জনগনকে একটা কথাই বলতে চাই
,আপনারা বাংলার
তৃণমূলসরকারের হাত শক্ত করুন
,বাংলার
মানসম্মাান বৃদ্ধি করুন বাঙ্গালীপ্রধানমন্ত্রী তৈরী করুন
,তাহলে দেখবেন বাংলা আবার জগত্ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন
লবে।।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *