October 24, 2024

সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে গিয়ে চাষীদের হয়রানি,বস্তা বস্তা ধান বৃষ্টিতে ভিজছে

1 min read
তপন চক্রবর্ত্তী–উত্তর দিনাজপুর–উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল লক্ষীপুর কৃষি মণ্ডিতে সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও ধান বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে চাষীরা ব্যাপক হয়রানির স্বীকার হচ্ছে বলে জানালেন বেশ কিছু চাষী।মালগাঁও,বরুনা,রাধিকাপুর প্রভৃতি এলাকার চাষীরা কৃষি মণ্ডিতে নিয়ে গিয়েও ধান বিক্রি করতে পারছেনা বলে বিস্তর অভিযোগ করলেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।
 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু চাষীরা অভিযোগ করেন তাদের জমির ধান বিক্রি করবার জন্য নিয়ে গেলেও ধান বিক্রি না হবার ফলে বস্তার পর বস্তা ধান জলে ভিজে নষ্ট হতে বসেছে।ধান নিয়ে গেলেও প্ৰকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেবার পরিবর্তে খাদ্য দপ্তরের অফিসারেরা নিজের ইচ্ছা মত সময়ে এসে ধান নিচ্ছে।
কৃষি মণ্ডিতে প্রচুর পরিমানে কৃষকেরা ধান নিয়ে গেলেও ধানের বস্তাগুলি ফেলে রাখা হয়েছে।কবে নেবে তা কেউ বলতে পারছেনা।ফলে ধান বিক্রি করতে এসে চরম সমস্যার মধ্যে তাদেরকে পড়তে হচ্ছে।ধান বিক্রি করতে এসে ৩–৪ দিন চাষীদের ঘুরতে হচ্ছে।শুধু তাই নয় কৃষকদের অভিযোগ এই খাদ্য দপ্তরের অফিসারেরা অবৈধ ভাবে পাইকারদের কাছ থেকে বেশি করে ধান কিনলেও প্ৰকৃত চাষীদের কাছ থেকে খুব কম ধান কিনছে।চাষীরা পরিস্কার ভাবেই অভিযোগ করেন এই অফিসারেরা পাইকারদের কাছ থেকে যদি ১০টন ধান কেনে সেখানে প্ৰকৃত চাষীদের কাছ থেকে মাত্র ২ টন ধান ক্রয় করছে।যা সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে।মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত কিষান মণ্ডিতে গিয়ে দেখা গেল চারীরা ধান বিক্রি করতে এলেও প্যাডি প্রকিওরমেন্ট অফিসারের কোন হদিস পাওয়া গেলনা।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

চাষীদের অভিযোগ সরকারি ভাবে যেখানে আইন আছে ৫কেজি ধলতা নেবার।সেখানে এই এরা জোর করেই ৮কেজি ধলতা দিতে বাধ্য করছেন।এই সমস্ত ঝামেলার জন্য অনেক চাষী ধান বিক্রি করবার জন্য এনেও আবার ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালগাঁও এর জনৈক চাষী বললেন কৃষি মন্ডিতে ধান বিক্রি করলে ১৭৭০টাকা দাম যেমন পাওয়া যাবে তেমনি তার অনেক হেফাও আছে।তার চেয়ে বাজারে ধান বিক্রি করলে সরকার থেকে কিছু দাম কম পাওয়া গেলেও কোন ঝামেলা পোহাতে হয়না।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

টাকাও নগদে পাওয়া যায় আবার ধলতা বলে কিছু বাজারে নাই।তাছাড়া সরকারের অফিসারের মর্জির উপর তাদের নির্ভর করতে হয়না।যাবার সাথে সাথে ধান বিক্রি হচ্ছে এবং নগদে টাকাও পাওয়া যাচ্ছে। 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *