October 24, 2024

কৃষি মান্ডিতে কৃষকদের ধান বিক্রি করতে দিতে হয় ঘুষ?সাংবাদিকরা গেলে ছবি নিতে বাধা

1 min read
তপন চক্রবর্তী-উত্তর দিনাজপুর-উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ কৃষি মান্ডিতে বুধবার  ধান বিক্রির খবর সংগ্রহ  করতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে সরকারি আধিকারিকদের শুরু হয় প্রচন্ড গন্ডগোল।চিত্র সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেওয়া হয় বাধা। কৃষকদের অভিযোগ তাদের কাছে নগদ অর্থ চাওয়া হচ্ছে।টাকা না দিলে ধান বিক্রয় করা কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা।
শুধু তাই নয় প্ৰকৃত কৃষকরা যাতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পারে তার জন্য তাদেরকে ব্যাপক হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে।অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে সাংবাদিকদের সাথে কৃষি মণ্ডিতে থাকা সরকারি আধিকারিকদের শুরু হয় বচসা।সাংবাদিকদের বাধা দেয়ায় হয় ছবি তুলতে।
সাংবাদিকদের হয়খবর চলে যায় কালিয়াগঞ্জ থানায়।সেখান থেকে পুলিশ আসার পর গন্ডগোল আয়ত্তের মধ্যে আসে।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা মান্দিতে ধান বিক্রয় করতে গেলে তাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ নেওয়া হচ্ছে ,অভিযোগ কৃষকদের।শুধু তাই নয় তাদের কাছ থেকে ধলতা হিসাবে ৭-৮কেজি কুইন্টালে নেওয়া হচ্ছে অবৈধভাবে।অনেক কৃষক মণ্ডিতে ধানবিক্রি না করেই ফিরে যাচ্ছে সরকারি আধিকারিক ও ফরেদের অত্যাচারে।সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে সরকারি আধিকারিক তদের সাথে অত্যন্ত অভদ্র আচরণ করে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সাবাদিকরা এর প্রতিবাদ করে জেলা প্রেস ক্লাব ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অলিপ মিত্রকে সমস্ত ঘটনা জানালে অলিপ মিত্র উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনাকে সমস্ত ঘটনা বললে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।এই খবরে জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।এদিকে ভাবগতি ভালো নয় বুঝতে পেরে পুলিশের সামনেই খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক স্বীকার করে তারা কৃষকদের কছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ যে নিয়েছে তা সত্যি।

তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ তারা করবেন না।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ কিষান মন্ডি প্ৰকৃতপক্ষে ফরে দের দখলে  গেছে।কৃষকদের পরিবর্তে ফরেরা পুরা মন্ডিটাই দখল করে নিয়েছে বলে প্ৰকৃত কৃষকদের অভিযোগ।এমনও অভিযোগ আসছে প্ৰকৃত ফরেরা কৃষক সেজে ধান বিক্রি করে চলে গেলেও প্ৰকৃত কৃষকরা ধান বিক্রয় করবার কোন সুযোগ পাচ্ছেনা।এখুনি যদি জেলার খাদ্য দপ্তর সঠিক  ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে কৃষকরা ব্যাপক আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবে বলে বেশ কিছু কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে জানায়।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *