October 24, 2024

আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করতে পারবে জেলা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর অতিরিক্ত সাত শতাংশ মানুষকে

1 min read

উত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ জনসংখ্যার নিরিখে অতিরিক্ত সাত
শতাংশ মানুষকে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে
 পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করতে পারবে জেলা জনস্বাস্থ্য ও
কারিগরি দপ্তর। মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ
বর্তমানে জেলার গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী  জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দেওয়া পরিস্রুত
পানীয় জল পায়। ক
঩য়েকটি
প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছে
জেলাজুড়ে দপ্তর
বেশ
। সেই কাজগুলি
শেষ হলে আগামী এপ্রিল মাস থেকে আরও সাত শতাংশ গ্রামীণ এলাকার মানুষ পরিস্রুত পানীয়
জলের আওতায় চলে আসবে। আগামী ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে জেলায় আরও বেশ কয়েকটি প
ানীয় জলের প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। এই কাজগুলি আগামী
অর্থবর্ষে চালু করা হবে। কাজগুলি সম্পন্ন হলে আগামী দিনে আরও প্রায় ছ
শতাংশ মানুষকে
দপ্তর পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করতে পারবে।
সেই কাজ শেষ হলে আগামী দিনে আরও
শতাংশ গ্রামীণ
এলাকার মানুষকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করতে পারবে পিএইচই।
 



জেলার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ঋতম
ভট্টাচার্য বলেন
, জেলায় বেশ কয়েকটি পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটি
প্রকল্পের কাজ শেষের মুখে এসে পৌঁছেছে। এগুলির কাজ শেষ হলে জেলায় অতিরিক্ত সাত
শতাংশ গ্রামীণ মানুষকে পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আগামী অর্থ বর্ষে জেলায় আরও
প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেই কাজগুলি শেষ হলে আরও প্রায় ছ
শতাংশ গ্রামীণ
মানুষকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
 


জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের
জনগণনার হিসেব অনুসারে উত্তর দিনাজপুর জেলায় গ্রামীণ এলাকার জনসংখ্যা ২৬ লক্ষ ৪৪
হাজার। গত ২০১৮ সালের ৩১ মার্চের হিসেব অনুসারে ওই জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ
গ্রামীণ মানুষ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দেওয়া পরিস্রুত পানীয় জল পায়। সম্প্রতি
জেলার বিভিন্ন জায়গায় মোট ১০টি প্রকল্পের মধ্যে আটটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
বাকি দু
টি প্রকল্পের
কাজ আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই কাজগুলি হয়ে গেলে জেলার গ্রামীণ
জনসংখ্যার আরও প্রায় তিন শতাংশ মানুষ পানীয় জল পরিষেবার আওতায় চলে আসবে। দপ্তর
সূত্রেই জানা গিয়েছে
, জেলার বিভিন্ন জায়গায় আরও ১২টি প্রকল্পের কাজ এখন চলছে। ওই
কাজগুলির প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। সব কাজ শেষ হয়ে জল সরবরাহের কাজ শুরু হলে
আরও চার শতাংশ মানুষ পানীয় জল পাবে। ফলে মোট সাত শতাংশ মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল
পাবে।
 

মোট এই ২২টি প্রকল্পের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ৮৮ কোটি টাকা।
চলতি আর্থিক বর্ষে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আগামী মার্চ মাসের
মধ্যে আরও ১৫ কোটি টাকা খরচ করে ওই প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করা হবে। এছাড়াও জেলায়
আরও ১৭টি জল প্রকল্পের কাজ করা হবে। তার মধ্যে পাঁচটির কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ১২টি
কাজের জন্য জমি পাওয়া গিয়েছে। একটি কাজের জন্য জমির কাগজপত্র তৈরির প্রক্রিয়া
চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *