October 29, 2024

কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি।

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি।

তনময় চক্রবর্তী  সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যাওয়া কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক চন্দ্র পাল কে যখন রাহু দলের রাহু বলে মন্তব্য করেছেন।যখন তিনি বলছেন কার্তিক পাল দল ছেড়ে অন্য দলে চলে যাওয়ায় দলের পক্ষে মঙ্গল হয়েছে।ঠিক তখন বিধায়কের সেই মন্তব্যের উল্টে সুরে গান গাইলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক শচীন সিংহ রায় ও প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন উপ পৌর পতি বসন্ত রায়।প্রথম জন বললেন কার্তিক ঘরের ছেলে ছিল ।তার চলে যাওয়াতে তিনি খুবই দুঃখিত ও মর্মাহত।

                                                                          কার্তিক চন্দ্র পাল কে   দলের রাহু বলে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক তপন দেব সিংহ

তার হাত ধরে প্রচুর উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে কালিয়াগঞ্জ শহরে হয়েছে রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়। অপরজন বললেন কাজের ছেলে ছিল কার্তিক ।তার চলে যাওয়ায় তিনি খুব ই দুঃখিত।আর একজন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক  তো  কয়েকদিন আগেই  কার্তিক বাবু যখন দলে ছিল তখন মালদার গনি খান এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অর্থাৎ কার্তিক প্রসঙ্গে বিধায়কের রাহু  মন্তব্যে একমত হতে পারল না কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নতুন প্রশাসক শচীন সিংহ রায় ও প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বসন্ত রায় ।ইতিমধ্যেই বিধায়কের এই মন্তব্য কে ঘিরে কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে চলছে চাপা ক্ষোভ।

   বিধায়কের সঙ্গে রাহু প্রসঙ্গে একমত নন প্রশাষক শচীন সিংহ রায় প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বসন্ত রায়

অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বলছে যে কার্তিক পাল এর হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় কংগ্রেসের বোর্ড ক্ষমতাচ্যুত করে পৌরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আজ সেই কার্তিক চন্দ্র পাল দলবদল করে চলে যাওয়ার পরেই তিনি রাহু হয়ে গেলেন তৃণমূলের বিধায়কের কাছে। শুধু তাই নয় যে কার্তিক চন্দ্র পাল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা র পৌরপতি হয়ে কালিয়াগঞ্জ বাসিকে যাযা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আজ তার কাজ গুলির বেশিরভাগটাই করে দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন কিন্তু  আজ তিনি হয়ে গেলেন দলের তৃণমূলের বিধায়কের কাছে রাহু। শুধু তাই নয় যে কার্তিক চন্দ্র পাল গত বিধানসভা উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কে লিড দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তপন দেব সিংহ কে জয় লাভ করার ক্ষেত্রে। সেই কার্তিক চন্দ্র পাল এখন বিধায়ক এর কাছে রাহু হয়ে গেলেন ? দলের  অনেক  কর্মীদের মনে প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী বিধায়ক তপন দেব সিংহ এমন কি কাজ করে দেখালো কালিয়াগঞ্জ বাসীর জন্য যার জন্য তিনি এখন কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূলের প্রিয়  পাত্র হয়ে উঠলেন  ।

তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বলছেন তিনিতো কালিয়াগঞ্জ বাসীর জন্য হাসপাতালটা উন্নতি করতে পারতেন। ?  নাকি সেই হাসপাতলে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন কার্তিক চন্দ্র পাল বলে ই  তিনি সেই জন্য কিছু করেন নি। অনেকেই বলছেন রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান যতদিন ছিলেন কার্তিক চন্দ্র পাল ততদিন বিধায়ক এর সময় হয় নি একবারের জন্যও কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে সেখানকার সমস্যা নিয়ে তদবির তদারকি করতে । যার জন্য কালিয়াগঞ্জ বাসিকে হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে হারে হারে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বারেবারে। একদিকে যেমন হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের। তেমনই কালিয়াগঞ্জ এর ব্লাড ব্যাংক নিয়েও বিধায়কের কোন উদ্যোগ ছিলনা।এই প্রতিবেদক সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কে টেলিফোনে  ব্লাড ব্যাংক নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী কোন  প্রপোজাল তার কাছে আসেনি যেমন তেমনই এ ব্যাপারে কেউ ফলো আপ  করতেও  কেউ  কোনদিন   ও আসেন নি  । যদি ফলোআপ করতেন তাহলে এতদিন কালিয়াগঞ্জে ব্লাড ব্যাংক গড়ে উঠতে পারত।প্রতিবেদক এর প্রশ্ন বিধায়ক এর কাছে  ?  আপনি কি কারনে কালিয়াগঞ্জে বাসির দীর্ঘদিনের একটি দাবি ব্লাড ব্যাংক সহ হাসপাতালে উন্নতি করতে পারলেন না  ?  নাকি কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন কাত্তিক পাল বলেই আপনি কিছু করলেন না ?  এখানে আপনি বৃহৎ স্বার্থকে উপেক্ষা করে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করলেন সকলের সামনে। যার ফলে আপনার কাছ থেকেই মন্তব্য শোনা গেল কার্তিক রাহু ছিল দলের মধ্যে। তাই তার বিদায় হওয়াতে আপনি খুবই খুশি হয়েছেন। প্রতিবেদক এর প্রশ্ন বিধায়ক এর কাছে  ? আপনিতো উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে সব জায়গায় বলেছিলেন আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়ন করবো। এটাই কি আপনার উন্নয়ন।কেন কালিয়াগঞ্জ বাসীকে হাসপাতালে মত একটি জরুরী পরিষেবা কে উন্নত করার বদলে দলের মধ্যে গোষ্ঠী বাজী করে আপনি কালিয়াগঞ্জ বাসিকে বঞ্চিত করলেন এর জবাব কি আপনি দিতে পারবেন। ? নাকি করতে পারলেন না করোনার দোহাই এখানেও দিবেন । এছাড়া আপনিতো আরো সাতটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার কয়টি আপনি সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন ? এর জবাব জনগণের সামনে আপনি দিতে পারবেন ?  নাকি সেখানেও করোনার দোহাই ?  সাধারণমানুষ বলছেন যে কার্তিক পাল এর হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ শহরের বিরাট পরিবর্তন হয়েছে আজ । সেই  মানুষটাকেই বিধায়কের অসহযোগিতার জন্য সরে যেতে হলো শহরে হাজারো কাজ করেই  ।কই যখন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় আপনার দলেরই প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল পৌরসভার মাধ্যমে করোনার সময় সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময় তো আপনাকে তার পাশে দেখা গেল না। নাকি আপনি ধরেই নিয়েছিলেন যে আপনার হাত ধরেই কার্তিককে দল থেকে তাড়াবেন। কারণ কার্তিকের যদি সুনাম হয়ে যায় তাহলে তো আপনার আগামী দিনের অসুবিধা হতে পারে দলের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে।সাধারণ মানুষ বলছেন এর জবাব কিন্তু তারা দেবেন ভোটবাক্সে আগামী দিনে। তৃণমূল স্তরে অনেক কর্মীরা বলছেন নতুন প্রশাসক যখন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা যোগ দিতে গেলেন তখন বিধায়ক কে  দেখা গেল মিছিল করে যেতে পৌরসভায়। এবার এই প্রতিবেদক এর প্রশ্ন ভোটে জেতার পর পৌরসভা দখল করলে এমন মিছিল দেখা যায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু যে মানুষটার হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়ন ঘটল সেই কার্তিক পাল সরে যাওয়াটা আপনার দলেরই অনেক নেতাই বলছেন খুবই দুঃখজনক। তখন আপনাকে দেখা গেল কিন্তু খুব খোশমেজাজে মিছিলের অগ্রভাগে থেকে পৌরসভার দিকে যেতে।বিধায়ক এর  কাছে প্রতিবেদক এর প্রশ্ন যখন কার্তিক চন্দ্র পাল পৌরসভার পৌরপতি  ছিলেন যখন প্রশাসক ছিলেন আপনি কয়বার পৌরসভায় গিয়েছিলেন কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের ব্যাপার নিয়ে পৌরপতি সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে। আপনিতো কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক। শহর যেমন আপনার তেমন গ্রাম ও আপনার। তাহলে আপনি এতদিন দুমুখো নীতি নিয়ে চললেন কেন । আপনার বিধায়ক কোটার কত টাকা পৌরসভা এলাকায় খরচ করতে পেরেছেন আপনি কি সেই হিসাব জনগণের কাছে দিতে পারবেন ?  নাকি এখানে ও  করোনার দোহায় দিয়ে এড়িয়ে যাবেন ?  উল্লেখ্য এখানে প্রতিবেদক বিধায়ক  মহাশয়  কে একটি বিষয়ে  স্মরণ করে দিতে চায়,  যে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল বিজেপিতে চলে গেলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী যখন আপনার দলের সম্পদ ছিল প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী ছিল আপনার জেলার পর্যবেক্ষক ছিল। যে সময় আপনি যখন  সদ্য বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর সেই সময় একটি কৃতজ্ঞতার সভা হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ এর মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির চত্বরে। সেই সময় আপনার উপস্থিতিতেই সেই সময়কার প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী তথা জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু ঢালাও প্রশংসা করেছিল সেই কার্তিক চন্দ্র পালের।নিশ্চয়ই আপনারও মনে রয়েছে।আপনি সেই সময় বলেছিলেন আপনার উন্নয়নের গ্যারান্টার শুভেন্দু অধিকারী । তাহলে এবার বলুন আপনি যে পর্যবেক্ষক  আপনার গ্যারান্টার ছিলেন  । আর সেদিন সেই গ্যারান্টার এর মুখ থেকে আপনার উপস্থিতিতেই আপনার জয়ের জন্য যাকে কৃতিত্ব দিয়েছিল গ্যারান্টার তারমধ্যে অন্যতম ছিলেন সেই কার্তিক চন্দ্র পাল। নিশ্চয় বিধায়ক মহাশয় আপনার মনে রয়েছে এই কথাটি।একদিন যাকে ঢালাও শংসাপত্র দিয়েছিল আপনার এক সময় কার গ্যারান্টার  আজ তাকেই আপনি রাহু বলে সম্বোধন করলেন ?আহা কি বিচিত্র দেশ। আর কি রাজনৈতিক কালচার।  নাকি নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকে থাকার জন্য এই কারসাজি করলেন সকলের সামনে নয় কি  ?   আপনার দলের নেতা তথা বর্তমান পৌর প্রশাসক কিন্তু আপনার কথার সঙ্গে এক মত হতে  পারলেন  না  যেমন তেমন  ই  প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য বসন্ত রায় কিন্তু অন্য কথা বললেন। তারা কিন্তু একটি বারের জন্য আপনাদের দলের প্রাক্তন শহর সভাপতি তথা প্রাক্তন পৌর পৌতি কার্তিক চন্দ্র পালের অন্যদলের যাওয়া নিয়ে আপনার মত কার্তিক বাবুকে রাহু বলে সম্বোধন করলেন না । উপরন্তু একজন বলেন ঘরের ছেলে যাওয়ায় তারা খুবই দুঃখিত ও মর্মাহত এবং অন্যজন বলেন কার্তিক  ছিলেন খুবই কাজের মানুষ। তাহলে এবার বলুন ঘর সামলাবেন কিভাবে বিধায়ক বাবু ?  এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রইল বর্তমানের কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *