যেন দ্বিতীয় হিরোসিমা, বর্ষ শেষে তীব্র ভূমি কম্প
1 min readযেন দ্বিতীয় হিরোসিমা, বর্ষ শেষে তীব্র ভূমি কম্প
বছর শেষেও বিপর্যয় কাটছে না। ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ক্রোয়েশিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। ক্রোসেশিয়ার জাগরেব ছিল ভূমিকম্পের উত্সস্থল। এতোটাই তীব্র ছিল সে ভুমিকম্প তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল ঘরগুলো। এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে কম্পনে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে।ক্রোয়েশিয়ার পিট্রিনজা শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কম্পনে। মেয়র দারিনকো দুম্বোভিক জানিয়েছেন, হিরোশিমার মতো কাঁপছিল আমার শহর।
পুরো শহর প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মাত্র ২৫০০০ লোকের বাস এই শহরে। ছোট্ট একটা শহরকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে তীব্র ভূমিকম্প। মেয়র দাবি করেছেন অর্ধেক শহর একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজে বাহিনী পাঠানো হয়েছে।ইতিমধ্যেই উদ্ধারে সেনা নেমেছে। ৫০০টি অস্থায়ী ক্যাম্প করে সেখানে শহরের বাসিন্দাদের থাকার জায়হা তৈরি করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তার উপরে কনকনে ঠান্ডায় একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থা শহরের বাসিন্দাদের। ঘর হারিয়ে দিশেহারা তাঁরা। গত সোমবার থেকে একাধিকবার কম্পন হয়েছে ক্রোয়েশিয়ায়। সোমবার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.২। তারপরে একাধিকবার আফটার শকে কেঁপেছে ক্রোয়েশিয়া। ভূমকম্প প্রবণ দেশ হলেও এতো বড় মাপের কম্পন এর আগে কখনও হয়নি এই দেশে। ১৯৯০ সালে একবার বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তারপরে আর তেমন ভূমিকম্প দেখা যায়নি এই ছোট্ট দেশটিতে।