October 24, 2024

মালদা–ডালখোলার বাইপাস রাস্তা নির্মাণে রাজ্য সরকারের টালবাহানায় ক্ষুব্ধ উচ্চ আদালত

1 min read
তপন চক্রবর্তী–উত্তর দিনাজপুর-২০০৬সালে ফারাক্কা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৩৪নম্বর জাতীয় সড়ক মালদা বাই পাসের কাজ শুরু হবার পর যা শেষ হবার কথা ছিল ২০১২ সালে।আটক রাজ্য সরকারের ঢিলে ঢালা মনোভাবের কারনে সেই সড়ক নির্মাণের জট ২০১৯সালেও শেষ হওয়াতো দূরের কথা সমস্যা দিনকে দিন বাড়ছে ছাড়া কমছে না।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এই সড়ক নির্মাণের কাজ না হবার ফলে উত্তরবঙ্গ তথা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ বছরের পর বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলবে তা কোন ভাভেই মেনে নিতে না পেরে জনৈক দেবেশ দাস জনস্বার্থে কলকাতা উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ এই জনস্বার্থে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কাছে রিপার্ট চেয়েছিল। কোথায় কোথায় রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে আছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে। কিনতু সেই রিপোর্ট দিতে সরকার বার বার ব্যার্থ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

বিশেষ করে উত্তর দিনাজপুর জেলার অনেক স্থানে রাস্তার উপর জবরদখলজারীরা জবর দখল করে বসে থাকলেও জেলার জেলাশাসকের এ ব্যাপারে কোন হেলদোল নেই।গত শুক্রবার দেবেশ দাসের আইনজীবী কলকাতা হাই কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী হাইকোর্টে গত শুক্রবার অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে তার বক্তব্য বলতে গিয়ে বলেন ২০০৬সালে ফারাক্কা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ শুরু হয়েছিল যার  শেষ হবার কথা ছিল ২০১২সালে।অথচ রাজ্য সরকারের চরম ঢিলেমির কারনে ২০১২সালে যে সড়কের কাজ শেষ হয়ে যাবার কথা ছিল।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

আজ ২০১৯সালেও সেই রাস্তার কাজ শেষ হবার কোন রকম উদ্যোগ নেই।যার ফল স্বরূপ উত্তরবঙ্গের লাইফলাইন ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কে নানানভাবে দুর্ঘটনার কবলে পরে  নিরীহ মানুষদের যাচ্ছে তরতাজা প্রান।সে ব্যাপারে সরকারের নেই কোন রকম দায় দায়িত্ব।এই জিনিস এক নাগাড়ে ১৪বছর ধরে কোনভাবেই চলতে পারেন।আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী র বক্তব্য  শোনার পর কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যাযের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারের আইনজীবীকে তীব্র ভৎসনা করেন ও তিরস্কার করেন তাদের দায়িত্ব পালন না করবার কারনে।ডিভিশন বেঞ্চ আরো নির্দেশ দেন আগামী শুক্রবারের মধ্য যদি সঠিক রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা না পড়ে তাহলে জেলা শাসকদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হবে কোথায় কোথায় কোন কারনে ৩৪ নম্বরের মত একটি  গুরুত্ব পূর্ন জাতীয় সড়কের কাজ বব্ধ হয়ে আছে। যদিও সরকারি আইনজীবী রবিউল ইসলাম সমস্ত কিছু শোনার পর আদালতের কাছে আরো কিছু দিন সময় চেয়ে নিয়ে আদালতে বলেন যেসমস্ত থানার উপর দিয়ে এই সড়ক নির্মাণের কথা তার অনেক জায়গাতেই অনেকেই জবরদখল করে বসে আছে।বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে জেলা শাসকের কাছে রিপোর্ট না যাবার ফলে জেলা শাসক কোন রিপোর্ট দিতে পারেনি।সরকারি আইনজীবীর কথা শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্ব নাথ সমাদ্দার অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন তাহলে ধরেই নেওয়া যেতে পারে রাজ্যের পুলিশ  প্রশাসন এ ব্যাপারে সম্পুর্নরূপেই ব্যার্থ বলা যায়।যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।আVগামী শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়া না গেলে কলকাতা উচ্চ আদালত এ ব্যাপারে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *