October 28, 2024

স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সততার প্রতীক রাজীব ব্যানার্জীর পোস্টার, ফ্লেক্স কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানোয় তৃণমূলের বিভাজন শুরু

1 min read

স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সততার প্রতীক রাজীব ব্যানার্জীর পোস্টার, ফ্লেক্স কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানোয় তৃণমূলের বিভাজন শুরু

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৩ডিসেম্বর:দক্ষিণ বঙ্গে যখন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যয়ের বক্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল তখন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পর এবার কালিয়াগঞ্জ শহরে রাজ্যের বন মন্ত্রী স্বছ ভাবমূর্তি ও সততার প্রতীক রাজীব বন্দোপাধ্যয়ের ছবি সহ ফ্লেক্স পোস্টার পরায় কালিয়াগঞ্জ শহরে প্রচুর পরিমানে লাগানো য় তৃণমূল দলে বিভাজন শুরু হলো বলে মনে করছে এলাকার রাজনৈতিক মহল।রবিবার সকালে মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দিরের বিভিন্ন এলাকা সহ কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিভিন্ন এই ফ্লেক্স সবার চোখে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায়।

এত ফ্লেক্স পড়েছে সর্বত্র যা দেখে মনে হবে বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন নির্বাচনী জনসভা হয়তোবা আছে।সাধারণ মানুষদের বলতে শোনা যাচ্ছে এত পরিমানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স লাগানো নিছক ছোট খাটো ব্যাপার নয়।এটি বড় একটি ঘটনার বহিপ্রকাশ মাত্র।

দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম জায়গায় পৌঁছালেও আজকের ঘটনায় তৃণমূল দলের বিভাজন প্রকাশ্যে চলে এলো বলে মনে করা হচ্ছে।কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একবছর আগেও দেখা না গেলেও এই অল্প সময়ের মধ্যে

এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছে যার ফলে দলে আজ বিভাজনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল দলের নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দোপাধ্যয়ের দিকে যে ঝুঁকছে তা স্পষ্ট।যদিও উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের এ ব্যাপারে নেই কোন রকম প্রচেস্টা বা মাথা ব্যাথা।

জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিদায়ী পৌরপিতা তথা বর্তমান পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিলেও তাকে দলের কালিয়াগঞ্জ নেতৃত্ব কোন ভাবেই সহ্য করা করতে পারছেনা বলে জানা যায়।যে ব্যক্তি তিরিশ বছরের পৌর শহর কালিয়াগঞ্জের খোল নালছে পাল্টিয়ে দেয় মাত্র তিন বছরের মধ্যে।সব কিছু ঠিক মত চললেও বাদ সাধে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ জয়ী হয়ে আসার পর

।তপন দেব সিংহ বিধায়ক হবার পর থেকেই কালিয়াগঞ্জ শহরে তৃণমূল দলের মধ্যে হটাৎ করে দলীয় কোন্দল প্রকট ভাবে শুরু হয়ে যায়।একসময় তৃণমূলের বলিষ্ঠ নেতা অসীম ঘোষকে কার্তিক পালের পাশে সব সময় দেখা যেত এখন তাকে বিধায়কের সাথে সবসময় দেখা যায়।কার্তিক পালের সাথে কোন এক অজ্ঞাত কারণে তার পূর্বের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে।

তপন দেবসিংহ বিধায়ক হবার পর থেকেই যেন নিজ মূর্তি ধারণ করে পৌর প্রসাশক কার্তিক পালের সাথে পূর্বের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন কোন এক অজ্ঞাত কারণে।তিনি বিধায়ক হয়ে আসার পর প্রথমেই কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে কার্তিক পালকে সরিয়ে দেবার জন্য জোর সওয়াল করেন। বিধায়ক এক সময় বলেন শহর তৃণমূল সভাপতি কার্তিক পালকে যদি তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।পরবর্তীতে কার্তিক পালকে শহর তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেই পদে বসিয়ে দেন তৃণমূল নেতা কমল ঘোষকে।কালিয়াগঞ্জ শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল এখান থেকেই প্রকট ভাবে শুরু হয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল যাতে একক ভাবে পৌর প্রশাসকের কাজ সুষ্ঠভাবে না করতে পারে তার জন্য নুতন করে দুইজন পৌর প্রসাশক মন্ডলীর পরিবর্তে পাঁচ জনের পৌর প্রসাশক মন্ডলিতে রাজীব সাহা, সীমা দাস চটার্জি এবং ঈশ্বর রজককে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু নেতার বক্তব্য থেকে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বাড়াতে যে ভাবে একটার পর একটা কৌশল নিচ্ছেন বিধায়ক,তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের যে ভরাডুবি হতে চলেছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দলের সুযোগ পুরোটাই নিতে চলেছে বিজেপি। আর এই গোষ্ঠী কোন্দলে নুতন ভাবে চারা দিল বন মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যয়ের ফ্লেক্স পোস্টার পড়ার মধ্যে দিয়ে।কালিয়াগঞ্জ শহরেও শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দোপাধ্যয়ের অনুগামীরা যে ঘর গোছাতে ব্যাস্ত তা স্পষ্ট হয়ে গেল।যদিও কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কমল ঘোষ বলেন এ সমস্ত কাজ বিরোধীদের।আমাদের এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই।তিনি বলেন তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জ দলের মধ্যে তারা কোন গোষ্ঠী কোন্দল দেখতে পাচ্ছেন না।এসব বিজেপির বানানো নাটক মাত্র।অপর দিকে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক কার্তিক পালকে তাদের দলের গোষ্ঠী কোন্দল সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার কাজ কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়ন।মানুষকে পৌর পরিষেবা দেওয়া।কোথায় কে কি বললো বা করলো আমার সে দিকে নজর দেবার সময় নেই।আর গোষ্ঠীদন্ডের কথা যদি বলেন তাহলে বলবো আমি গোষ্ঠী কোন্দল করতে পৌর সভার দায়িত্ব নিই নি।এখানে শহরের উন্নয়ন ও পরিসেবা এ দুটোই আমার লক্ষ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *