কালিয়াগঞ্জ এ তৃণমূলের বঙ্গ ধ্বনি র মিছিলে একসঙ্গে বিধায়ক ও প্রশাসক কে হাটাতে পারলো না পিকে বাহিনী ,তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন
1 min readকালিয়াগঞ্জ এ তৃণমূলের বঙ্গ ধ্বনি র মিছিলে একসঙ্গে বিধায়ক ও প্রশাসক কে হাটাতে পারলো না পিকে বাহিনী ,তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন
তনময় চক্রবর্তী এ যেন এঁরা কাছে এসেও আবার দূরে সরে গেলেন। রাজনীতিতে সবই সম্ভব। অবাস্তব বলে কিছুই নেই এখানে। সামনে বিধানসভার নির্বাচন। তাই রাজ্যের দিদি যখন পুনরায় তাঁর মসনদ ফিরে পাবার লক্ষ্যে জোর কদমে মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছেন। সকল স্তরের নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে বলছেন। ঠিক তখন তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের এখনো এক হতে দেখা যাচ্ছে না। মান ,অভিমান , ইগোর লড়াই এ এখনো তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের দেখা যাচ্ছে একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে।
আর সবটাই চলছে এখন তৃণমূলের উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরের অনুমোদিত পিকে বাহিনীর সামনেই। আজ থেকে সারা রাজ্যে তৃণমূলের বঙ্গ ধ্বনি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যার সাথে তাল মিলিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এও তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিল বের হয়।
তবে এই মিছিলের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো মিছিল কে সামনে রেখে এই যাত্রাতেও এক হতে পারল না কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ ও কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল।মিছিলটি শুরু হয় কালিয়াগঞ্জে রানিং বুলেট ক্লাবের মাঠ থেকে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে কতটা চরমে উঠে গিয়েছে তা এই মিছিলে দেখলেই পরিষ্কার বোঝা গেছে আজকে। মিছিলের একেবারেই সামনের সারিতে দেখা গেল বিধানসভার বিধায়ক তপন দেব সিংহ, জেলা পরিষদের কমেন্টর অসীম ঘোষ, তৃণমূল নেতা ঈশ্বর রজক এবং কালিয়াগঞ্জ শহর তৃনমূলের সভাপতি কমল ঘোষ কে।অপরদিকে মিছিলের প্রায় শেষের দিকে সারিতে দেখা গেল পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের সঙ্গে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিতাই বৈশ্য, তৃণমূল নেতা তারেক আহমেদ, প্রাক্তন কমিশনার অমিত দেব গুপ্ত, ব্লক তৃণমূল নেতা শাহজাহান আলী, তৃণমূলের আইটি সেল এর সদস্য শুভ্র প্রতিম রায় এবং বিশিষ্ট আইনজীবী সুজিত সাহা কে। তবে এদিন বঙ্গ ধ্বনি কর্মসূচি দেখা যায়নি মিছিলে প্রাক্তন প্রাক্তন সভাপতি দধি মোহন দেব শর্মা কে। এদিন মিছিলের একেবারে শেষে দেখা গেল তৃণমূল নেতা উত্তম ঘোষ কে। তৃণমূলের অনেক কর্মীদের মিছিলের হাঁটতে হাঁটতেই বলতে দেখা গেল নিজেদের মধ্যে যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কালিয়াগঞ্জে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আজ একসাথে কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ প্রশাসক কে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে পারতেন। এর ফলে কর্মীদের মধ্যে একটা ভালো বার্তা যেত। কিন্তু এখানে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মিছিলে হাঁটলেন নেতারা। এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে ? এইভাবে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বজায় রেখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে পারবে কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেস ? কারণ এখন তো রাস্তায় নেমে গেছে কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বজায় রাখছেন উপরতলার নেতারাই। উল্লেখ্য আজ যে মিছিল শহর পরিক্রমা করল তৃণমূল কংগ্রেসের তাতে দেখা গেল বেশির ভাগটাই ছিল গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতি। শহরের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তবুও বঙ্গ ধ্বনি বার্তা দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বজায় রেখে আগামী বিধান সভার নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে চায় কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজ এই মিছিলে সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন প্রশান্ত কিশোর অনুমোদিত পিকে বাহিনীর সদস্যরা। তবুও তারা এই মিছিলে বিধায়ক ও পৌর প্রশাসক কে একসঙ্গে হাটাতে পারলেন না।প্রশ্ন রয়ে গেল লাখ টাকার ।