October 26, 2024

সুর চড়ালেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৩ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে?

1 min read

সুর চড়ালেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৩ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে?

১০ নভেম্বর, মঙ্গলবার। জয়ন্ত বোস,কালিয়াগঞ্জ:- বিশাল জনসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে তেখালির সভামঞ্চ থেকে একের পর হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে ১৩ বছর ধরে অরাজনৈতিক ব্যানারে হয়ে আসা এই সভার পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রথম সরাসরি রাজনৈতিক মঞ্চে হবে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান। এদিন বিকেলে সেই সভায় থাকবেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক এবং জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই ব্যাপারেই এদিন নাম না করে রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৩তম বর্ষপূর্তির মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, ‘‌নন্দীগ্রামের কথা ওরা মনে রেখেছে বলে ভাল লেগেছে।

খুব ভাল লেগেছে।’‌ তাঁর প্রশ্ন, ‘‌১৩ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে?‌’‌ একপ্রকার আক্রমণ করেই শুভেন্দু অধিকারী কারও নাম না নিয়ে বলেন, ‘‌ভোটের আগে আসবেন, ভোটের পরেও তো আসতে হবে।’‌শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘‌এই সভা বা কর্মসূচি নতুন নয়। এই সভা ১৩ বছরের সভা। এই কর্মসূচি ১৩ বছরের কর্মসূচি।’‌ তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‌নন্দীগ্রাম আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করেছি। আমি নতুন লোক নই। চেনা বামুনের পৈতে লাগে না। নন্দীগ্রাম আন্দোলন শুভেন্দু অধিকারী বা অন্য কোনও ব্যক্তির নয়। এই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের আন্দোলন।’১২ বছর ধরে অরাজনৈতিক ব্যানারে সভা করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকালের সভার পর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকেই বিকেলে সভা হবে চৌরঙ্গী বাজারে। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন গণ আন্দোলনের নেতা মেঘনাথ পাল। থাকবেন আবু তাহের, পীযূশ ভুঁইয়ারা।এবার এই দুটি সভার পাল্টা সভা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বিকেলে নন্দীগ্রামের হাজরাকাটায় সভা করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস হতে চলেছে। শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বে হাজরাকাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় থাকবেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুভেন্দুর পর ফিরহাদ তাঁর সভামঞ্চ থেকে কী বার্তা দিতে চলেছেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী। তবে যেই বার্তাই দিন না কেন নন্দিগ্রামের মানুষ ইতিমধ্যেই এই প্রথম রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে শহীদ স্মরন কে ভালো চোখে দেখছেন না। তবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পন্ন দম্ভ বিহীন একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তি রাজনীতির উর্ধ্বে কিভাবে জননেতা হয়ে উঠতে পারেন আজকের সভাতে শুভেন্দু অধিকারী কে দেখলো বিশ্ব বাংলার আপামর জনসাধারণ। আগামী দিনে জননেতার ক্যারিশমা দিকে দিকে কিভাবে বিস্তৃতি লাভ করে সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *