দুর্গাপূজার পর কালি পূজাতেও ডাকের সাজের বরাত না পাওয়ায় বিপাকে ডাকশিল্পীরা-
1 min readদুর্গাপূজার পর কালি পূজাতেও ডাকের সাজের বরাত না পাওয়ায় বিপাকে ডাকশিল্পীরা–
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ, দুর্গাপূজার পর আর মাত্র মাঝে কটা দিন বাকি কালি পূজা।কিন্তূ যে কার সেই।ডাক শিল্পীরা ভেবেই নিয়েছিল দুর্গা পূজায় ডাকের সাজের বিক্রি বাট্টা বন্ধ থাকলেও কালি পূজায় তাদের ব্যবসা ঠিকই হবে।কিন্তূ সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে জেলার প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা।
কালি পূজাতেও কোন রকম বাহ্যিক আড়ম্বর চলবেনা।এই বিধি নিষেধের কারনে উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে কালিয়াগঞ্জের কালি পূজা বিখ্যাত হলেও কোন পূজায় এবার নেই কোন জৌলুস।ফলে গোটা বছর ধরে বিভিন্ন পূজা পার্বনের জন্য শোলা বা থার্মোকল দিয়ে মায়ের মূর্তি সাজানোর সৌখিন জিনিসপত্র যেসব করে ছিলাম তা ঘরের মধ্যে বাক্সবন্দী করেই রেখে দিয়েছি। অশীতিপর ডাকের শিল্পীর স্ত্রী রত্না মালাকার ক্ষোভে দুঃখে তাকে বলতে শোনা গেল লকডাউন বলে তো আর কিছু দেখা যায়না।অথচ পূজা পার্বনের বেলায় সমস্ত বিধি নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।আমাদের সরকার থেকে তাহলে চলার ব্যবস্থা করুক। আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি?কালিয়াগঞ্জের আশি বছরের প্রতিষ্ঠিত ডাকের শিল্পী সুনীল মালাকার তার দুঃখের কথা বললেন।সুনীল মালাকার বলেন দুর্গাপূজার সময় এবার একেবারেই ঘরে বসে থাকতে হয়েছে।এবার একই চিত্র।সব কিছু করোনা আবহে পুনরায় শুরু হলেও মালাকারদের বেলায় যত সব সরকারি বিধি নিষেধ। এই পরিস্থিতিতে কি ভাবে ছেলেপুলেদের নিয়ে বেঁচে থাকবো তার রসদ খুঁজে পাচ্ছিনা।বছরের প্রথমেই আমরা যেটুকু টাকা পয়সা ছিল তা দিয়ে ডাকের সাজের শোলা কিনে রাখা হয়েছিল দুর্গা ও কালীপূজায় ভালো ব্যবসা করবো কিছু মুনাফার আশায়।বিধি বড় বাম আমাদের মালাকার শিল্পিদের জন্য।এলাকার এক বছর কুড়ির তরুণ রমেশ মালাকার বলেন আমরা কুটির শিল্পের সাথে জড়িয়ে থাকলেও সরকারি নির্দেশ থাকলেও ব্যাঙ্ক থেকে কোন ঋণ আমাদের জন্য নেই।এই ব্যবসা আমাদের বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে করে আসছি।এ ভাবে আর কয়েক বছর চলতে থাকলে ডাক বা থার্মোকলের ব্যবসাকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা বলে তিনি মনে করেন। বেশ কিছু পূজা কমিটির সাথে যোগাযোগ করেছিলাম কম হলেও যদি কিছু অর্ডার পাওয়া যায়।কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।উত্তর দিনাজপুর জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুনীল সরকারের সাথে ডাকের সাজের বা শোলা শিল্পীদের ব্যাপারে কেন সরকারি সাহায্য বা প্রতিমাসে রাজ্য সরকার কর্তৃক এক হাজার টাকা করে পেনশনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা প্রশ্ন করলে সুনীল সরকার বলেন তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ শহরের শোলা বা ডাকের সাজের শিল্পীদের জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের মাধ্যমে কিছু উপকার করে যায় কিনা তা দেখবেন।সুনীলবাবু বলেন তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষধের সভায় এদের ব্যাপারটি তুলে ধরবেন বলে জানান।