‘আমাদের ছোট নদী চলে এঁকে বেঁকে
1 min read
তন্ময় চক্রবত্তী ছোট
বেলার কথা খুব মনে পড়ছিল কোপাই নদীতে গিয়ে । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই
নদীর বর্ণনায় লিখেছিলেন-‘আমাদের ছোট নদী চলে এঁকে বেঁকেবৈশাখ
মাসে তার হাঁটু জল থাকে’।ছোটবেলার মুখস্ত করা সেই কবিতা। আর আমি গিয়ে ঠিক হাঁটু জলই পেয়েছি।
সারা জীবন মনে থাকবে কোপাই নদীতে কাটানো মুহুর্তটুকু।কোপাই নদী (অপর নাম শাল
নদী) হল ময়ূরাক্ষী নদীর একটি উপনদী।
বেলার কথা খুব মনে পড়ছিল কোপাই নদীতে গিয়ে । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই
নদীর বর্ণনায় লিখেছিলেন-‘আমাদের ছোট নদী চলে এঁকে বেঁকেবৈশাখ
মাসে তার হাঁটু জল থাকে’।ছোটবেলার মুখস্ত করা সেই কবিতা। আর আমি গিয়ে ঠিক হাঁটু জলই পেয়েছি।
সারা জীবন মনে থাকবে কোপাই নদীতে কাটানো মুহুর্তটুকু।কোপাই নদী (অপর নাম শাল
নদী) হল ময়ূরাক্ষী নদীর একটি উপনদী।
এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার
শান্তিনিকেতন, বোলপুর, কঙ্কালীতলা ও লাভপুরের
পাশ দিয়ে প্রবাহিত। এটি একটি ছোটো নদী।এই নদীর অববাহিকায় মাটির রং লাল। এই
মাটিতে ভূমিক্ষয়ের ফলে যে ছোটো ছোটো খাত সৃষ্টি হয়েছে তা খোয়াই নামে পরিচিত।এই নদীর বাঁকগুলো অনেকটা হাঁসুলির আকৃতিবিশিষ্ট।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই নামে রচনা করেন হাঁসুলি বাঁকের উপকথা নামে একটি
উপন্যাস। শান্তিনিকেতনের প্রকৃতি মানেই লাল মাটির ঢাল আর ইউক্যালিপটাস বনের
খোয়াই৷
শান্তিনিকেতন, বোলপুর, কঙ্কালীতলা ও লাভপুরের
পাশ দিয়ে প্রবাহিত। এটি একটি ছোটো নদী।এই নদীর অববাহিকায় মাটির রং লাল। এই
মাটিতে ভূমিক্ষয়ের ফলে যে ছোটো ছোটো খাত সৃষ্টি হয়েছে তা খোয়াই নামে পরিচিত।এই নদীর বাঁকগুলো অনেকটা হাঁসুলির আকৃতিবিশিষ্ট।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই নামে রচনা করেন হাঁসুলি বাঁকের উপকথা নামে একটি
উপন্যাস। শান্তিনিকেতনের প্রকৃতি মানেই লাল মাটির ঢাল আর ইউক্যালিপটাস বনের
খোয়াই৷
প্রতি শনিবার সেই খোলা জায়গাতেই বসে হাট৷ নানাবিধ হস্তশিল্পের পসরা নিয়ে
বসে এই হাট। হাট চলে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।বীরভূম জেলার এই অঞ্চলের কাঁথার
কাজ বেশ বিখ্যাত৷ খোয়াইয়ের হাটের পসরার এক বড় অংশ এই কাঁথার কাজ৷এক বড় সাঁওতাল বসত
আছে শান্তিনিকেতনের লাগোয়া গ্রামগুলিতে৷ সাঁওতালদের নাচও খোয়াই হাটের অন্যতম
আকর্ষণ৷তালপাতার ফুল, কুড়নো কাঠের ভাস্কর্য— যার ঐতিহ্য বহু বছরের, সেসব নিয়ে আদিবাসী
শিল্পীরা নিজেরাই আসেন এই হাটে৷হাটের মাঝে জায়গায় জায়গায় বসে বাউল গানের আসর৷
অনেকেই গোল হয়ে ঘিরে বসে শোনেন সেই গান৷সন্ধ্যা নামলে হাট ভাঙে। যে যার বাড়ি
ফেরেন৷ কিন্তু কানে থেকে যায় বাউল গানের সুর৷
বসে এই হাট। হাট চলে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।বীরভূম জেলার এই অঞ্চলের কাঁথার
কাজ বেশ বিখ্যাত৷ খোয়াইয়ের হাটের পসরার এক বড় অংশ এই কাঁথার কাজ৷এক বড় সাঁওতাল বসত
আছে শান্তিনিকেতনের লাগোয়া গ্রামগুলিতে৷ সাঁওতালদের নাচও খোয়াই হাটের অন্যতম
আকর্ষণ৷তালপাতার ফুল, কুড়নো কাঠের ভাস্কর্য— যার ঐতিহ্য বহু বছরের, সেসব নিয়ে আদিবাসী
শিল্পীরা নিজেরাই আসেন এই হাটে৷হাটের মাঝে জায়গায় জায়গায় বসে বাউল গানের আসর৷
অনেকেই গোল হয়ে ঘিরে বসে শোনেন সেই গান৷সন্ধ্যা নামলে হাট ভাঙে। যে যার বাড়ি
ফেরেন৷ কিন্তু কানে থেকে যায় বাউল গানের সুর৷