মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিঙ্গারদহ গ্রামের দুর্গোৎসব
1 min readমঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিঙ্গারদহ গ্রামের দুর্গোৎসব
প্রদীপ সিনহা করণদিঘি করণদিঘী ব্লক সিঙ্গারদহ গ্ৰামে দূগা পূজার মেলা শুরু দীর্ঘ প্রায় ৬৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমনটাই রীতি এই গ্রামের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিঙ্গারদহ গ্রামের দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীর ন’দিন পরের মঙ্গলবার থেকে দেবী দশভূজা সপরিবারে পূজিতা হন এই গ্রামে।কথিত, এই পুজো সম্রাট অশোকের আমলের। এই এলাকায় একদল কুম্ভ (কুমোর) বাস করতেন।
কোনও এক কুমোরের পুত্রবধূ দশমীর মেলা দেখতে যাওয়ার জন্য ঘরে সাজগোজ করছিলেন। প্রতিবেশী মহিলারা তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন এক সঙ্গে মেলায় যাবেন বলে। দেরি হওয়ায় ওই কুম্ভকারকে পুত্রবধূর কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি মজা করে বলেন, “তোমরা আমার ঘরের বউমাকেই দুর্গা রূপে দেখে নাও।
প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে দেখেন কুমোরের পুত্রবধূ সত্যিই দেবীর রূপে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কুমোরের ওই পুত্রবধূর নাম ছিল সোনামতি কুম্ভরানি। সেই থেকেই সিঙ্গারদহের দুর্গাপুজো ‘সোনামতি কুম্ভরানি’ নামে অনুষ্ঠিত হয়।শারদীয়া উৎসবে সকলে নতুন জামা-কাপড় পরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করেন। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকের সিঙ্গারদহ, মাগনাভিটা, মাটিয়ানি, মনিপাড়া, তেলেঙ্গাডাঙ্গি, চুনামারি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ দুর্গোৎসব পালন করেন সিঙ্গারদহ দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে।এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই গ্রামে সোনামতি কুম্ভরানির পুজো হয়ে আসছে। পাঁচ দিন ধরেই চলে এই পুজো। পুরনো রীতি রেওয়াজ মেনে আজ, প্রথম দিনে পাঁঠাবলি ও পায়রা ওড়ানো হয়। পাঁচ পুজো শেষে গ্রামের পুকুরেই বিসর্জন হবে দেবীর। সাত দিন ধরে চলবে মেলা। তবে করোণা ভাইরাস জন্য এবছর সোনামতি কুম্ভরাণী মেলা বন্ধ থাকবে।