October 27, 2024

ভাগ্গিস কার্তিক পাল দলবদল করে কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাই আমরা আজ কালিয়াগঞ্জের উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি বললেন পূজা দেখতে আসা অগণিত দর্শনার্থীরা

1 min read

ভাগ্গিস কার্তিক পাল দলবদল করে কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাই আমরা আজ কালিয়াগঞ্জের উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি বললেন পূজা দেখতে আসা অগণিত দর্শনার্থীরা

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৫,অক্টোবর: ভাগ্গিস কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার তৎকালীন কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান কার্তিক পালের মাথায় কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের জন্য দল বদলের পরিকল্পনা এসেছিল আজ তাই কার্তিক পালের স্বপ্ন শ্বার্থক।আমাদেরও পূজা দেখতে এসে মনে হচ্ছিল না এটা কালিয়াগঞ্জ শহর।মনে হচ্ছিল অন্য কোন শহরে আমরা পূজা দেখছি। মাত্র দুই আড়াই বছরের মাথায় কালিয়াগঞ্জ শহরের এমন ব্যাপক উন্নয়ন ঘটানো এক মাত্র বর্তমান পৌর প্রসাশক কার্তিক পালের পক্ষেই সম্ভব।তাই কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার কার্তিক পালকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারছিনা। দর্শনার্থীরা বলেন করোনা আবহে এবারের পূজায় ছিলনা কোন উৎসবের পরিবেশ।

কিছু মানুষ আতঙ্ক নিয়েই পূজা দেখতে বেরিয়েছে আবেগের টানে।মন মানেনা তাই।কিন্তূ পূজায় আনন্দ না করতে পারলেও কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নে যে ভাবে ডিভাইডার সহ পথ বাতি লাগিয়ে আলোয় আলোকিত করা হয়েছে তা দেখেই মন ভরে গেছে।শনিবার অষ্টমীর রাতে শেঠ কলোনীর সাহা পাড়া, ইয়ং আঠেলেটিক্স এবং শেঠ কলোনী ঐক্য সম্মিলনীর পূজায় আসা দর্শনার্থীদের পূজা দেখা যেমন তেমন তাদের মুখে শুধুই কার্তিক পালের প্রশংসা।তারা শিমুল তলা,শেঠ কলোনীর রাস্তায় পথ বাতির আলোর রোশনাই দেখে এক কথায় মুগ্ধ।

কথায় কথায় প্রতিমা দর্শনার্থী সায়নী মুখার্জি জানালেন কাজ করবার আন্তরিক ইচ্ছা আছে তাই পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল একের পর এক শহরের উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন।কাজই তার নেশা।এমন কাজ করার মানুষ খুব কম দেখতে পাওয়া যায়।সেদিক দিয়ে কালিয়াগঞ্জ বাসী ভাগ্যবান বলবো।কালিয়াগঞ্জের মানুষ শহরের রাস্তাঘাটের বাহারি আলো দেখে বলতে শোনা গেল অনেক দিন ধরেই শুনছি কালিয়াগঞ্জ শহরের নাকি ব্যপক উন্নয়নের কাজ হয়েছে।এটা শোনা কথা হলেও অষ্টমীর রাতে তা চাক্ষুস দেখলাম। একবারের জন্যও মনে হচ্ছিল না আমরা কালিয়াগঞ্জ শহরে পূজা দেখছি। কালিয়াগঞ্জ শহরের পীর পুকুর মোড় থেকে কুনোর মোড় পর্যন্ত এবং হাসপাতাল মোড় থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত যে বাহারি পথ বাতির ব্যবস্থা করেছে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উদ্দ্যোগে তা আমাদের কাছে এক সময় স্বপ্ন ছিল।

পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল উন্নয়ন কাকে বলে তা দেখিয়ে দিয়েছে।রাস্তায় চলতে চলতে অনেক শিক্ষিতা মহিলাকে এও বলতে শোনা গেল ভাগ্যিস কার্তিক পাল কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে দলবল নিয়ে যাবার উদ্দ্যোগ নিয়েছিল না হলে এই ধরনের আলোর রোশনাই দেখা সম্ভব ছিলনা।কালিয়াগঞ্জ থানাপাড়া ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাবে দেখা হল বিজয় চক্রবর্তীর সাথে।তাকে কালিয়াগঞ্জের উন্নয়ন কেমন হচ্ছে এক প্রশ্নের উত্তরে জানালেন একজন কাজের মানুষ আর কত উন্নয়ন করে দেখবে?তিনি বলেন তৃণমূলে অনেক নেতা থাকলেও কাজের নেতার বড় অভাব।কাজের মানুষ ঐ একজনই।আর যারা আছেন তারা অন্য চিন্তায় সব সময় মশগুল হয়ে থাকেন।

তিনি আরো বলেন এত কাজ করার পরেও যদি সেই নেতার পেছনে সবসময় কাঠি দেওয়া হয় তাহলে সেই কাজের মানুষের কাজের মানসিকতা থাকতে পারেনা।তিনি বলেন ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করে সবাই মিলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিৎ বলেই তিনি মনে করেন।

 

সবাই মিলে কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের দিকে নজর দিলে আসছে বিধান সভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের পথ মসৃন হতে পারতো।বিজয় চক্রবর্তী বলেন কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের নেতাদের কাজের মানুষ কার্তিক পালকে সহযোগিতা করে কালিয়াগঞ্জের ব্যাপক উন্নতি সাধন করা উচিত বলেই তিনি মনে করেন।

পৌর সভার পৌর প্রসাশক তথা শেঠ কলোনী ঐক্য সম্মিলনী পূজার কর্নধার কার্তিক পালের সাথে দেখা হল শেঠ কলোনীর পূজা মন্ডপে।তাকে।প্রশ্ন করা হয় সাধারণ মানুষ বলছে ভাগ্গিস আপনি তৃণমূলে যাবার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তাই কালিয়াগঞ্জ শহরের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে এটা কি সত্যি?

তার উত্তরে পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল বলেন কথাটা তা নয়।কংগ্রেস পৌর বোর্ডের ১২জন কমিশনার আমার সাথে সহমত পোষণ করেছিলেন বলেই আমরা দল বদল করে তৃণমূল দলে যেতে পেরেছিলাম।তাই কালিয়াগঞ্জের আসল রূপকার যদি বলতেই হয় তবে সেই সমস্ত কমিশনারদেরই বলতে হবে।

তারা আমাকে সাহায্য করেছিল বলেই আমি কালিয়াগঞ্জে শহরের উন্নয়নের কাজ গুলো করতে পারছি।যদি আমার সাথে দল পরিবর্তনে সাথ না দিত তাহলে কালিয়াগঞ্জ যেখানে পড়েছিল সেখানেই থাকতো বলে কার্তিক পাল জানান।কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের উন্নয়নে তাদের কৃতিত্ব অসামান্য।সুতরাং এই কৃতিত্ব তাদের না দিয়ে পারিনা বললেন কালিয়াগঞ্জের পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *