October 27, 2024

ঢাক বাজিয়ে করোনা আবহে ইটাহারের উল্কা ক্লাবের দুর্গাপূজার সূচনা করলেন ইটাহারের জনপ্রিয় বিধায়ক অমল আচার্য

1 min read

ঢাক বাজিয়ে করোনা আবহে ইটাহারের উল্কা ক্লাবের দুর্গাপূজার সূচনা করলেন ইটাহারের জনপ্রিয় বিধায়ক অমল আচার্য

তনময় চক্রবর্তী  উত্তর দিনাজপুর জেলায় যে সমস্ত বিগ বাজেটের পুজো গুলো হয় তার মধ্যে অন্যতম ইটাহারের উল্কা ক্লাবের দুর্গা পূজা। যা প্রতিবছরই সাধারণ মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে। এবছর করোনা  আবহের মধ্যে হচ্ছে বাঙালির প্রিয় দুর্গাপূজা। তাই রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত সর্তকতা মেনে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে দেবী দুর্গার আরাধনা। আর তার সাথে তাল মিলিয়ে  জেলার ইটাহারে আজ উল্কা ক্লাব  এর পুজোর উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা ইটাহারের জনপ্রিয়  বিধায়ক অমল আচার্য।তিনি এদিন  ঢাক বাজিয়ে মায়ের কাছে আরাধনা করলেন আর মা এর কাছে প্রাথনা করলেন , মা অতি দ্রুততার সাথে করোনামুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলো। তোমার সন্তানেরা যাতে সুস্থ থাকে আগামিতে ।

আগামীতে যাতে তোমার আরাধনা বৃহৎ আকারে করতে পারে তোমার সন্তানেরা। এই আহবান করে আজ মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় উল্কা ক্লাবের দুর্গা পুজো র উদ্বোধন করলেন ইটাহার বাসীর প্রিয় বিধায়ক অমল আচার্য। জনসংযোগে যার একমাত্র হাতিয়ার। ব্যবহার যার অতুলনীয় আজ তিনি সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠলেন।তবে তিনি এটা ভোলেননি বছরে আর পাঁচটা দিন যাই করুন না কেন এই কটা দিন নিজের পরিবারের সাথে একটু  হলেও  সময়  কাটাবেন।  তাই নাতিকে সাথে নিয়ে পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করলেন উল্কা ক্লাব এর ।

প্রথমে ফিতা কেটে পরে প্রদীপ জ্বালিয়ে তারপর ঢাক বাজিয়ে করোনামুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রার্থনা জানালেন আজ মা দুর্গার কাছে বিধায়ক অমল আচার্য। এদিন সন্ধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল না তেমন কোনো বাহারি জাঁকজমক । ছিল করোনা সতর্কতা  মেনে উদ্বোধনের আয়োজন। সংক্ষিপ্ত এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের প্রতি তার বার্তা এই দুঃসময়ে আপনারা মায়ের কাছে প্রার্থনা করুন যাতে  আর নিজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন হওয়ার জন্য নিজেকে  সতর্ক থাকুন।

ইটাহারের ইটাহারের উল্কা ক্লাব এর অন্যতম কাণ্ডারী তথা বিধায়ক অমল আচার্য বর্তমানের কথা কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পুজোর আনন্দ কে কখনোই থামানো যায় না কিন্তু এবার সাবধানতার আনন্দ। কারণ গোটা পৃথিবী একটা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছে। ইতিমধ্যে অনেক মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছে। তিনি বলেন হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিশ কর্মী সবার প্রচেষ্টায় অনেক মানুষ সুস্থ হয়েছেন।

কিন্তু এই মরণ  করোনা   থেকে আমরা এখনো মুক্তি পায়নি। যার জন্য এবার আমাদের পুজোর আনন্দ টা করোনাকে মাথায় রেখে।তিনি বলেন   আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিটি ক্লাবে ক্লাবে যাতে এই অবস্থার মধ্যেও তারা যাতে দুর্গা পুজো করতে পারে তার জন্য আর্থিক অনুদান দিয়ে সাহায্য করেছেন। এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মানবিকতার পরিচয় এর।

তিনি বলেন যেহেতু করণা আবহের মধ্যে এবারে পুজো হচ্ছে তাই উল্কা ক্লাব দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একেবারে খোলা প্যান্ডেল করেছে। শুধু তাই নয় যে সমস্ত দর্শনার্থীরা মণ্ডপে প্রবেশ করবে তাদেরকে চূড়ান্ত করোনা সতর্কতা বজায় রাখার জন্য যা যা করণীয় তা তা ক্লাব কর্তৃপক্ষ করবে।

তিনি বলেন   এই পুজোর কটা দিন বহু মানুষ তার সাথে দেখা করতে আসেন। সবাই শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন। পাশাপাশি কিছু পূজা মন্ডপ এ তিনি যান  পুজোর উদ্বোধন করতে।  এইসময় জনসংযোগ একশ শতাংশ ছাড়িয়ে দুইশ শতাংশ পেরিয়ে যায়।

  তিনি বলেন প্রতি বছরই এই উল্কা ক্লাবের দুর্গা পূজাকে ঘিরে একটাআদিবাসী  মেলা হতো এবার সেটা হচ্ছে না করণা আবহে সতর্কতাঃ বজায় রাখার জন্য।

  মনের দিক থেকে তাই  তিনি খুবই দুঃখিত কারণ এই সময় আদিবাসী ভাইদের আমন্ত্রণ করতে পারলেন না এখানে এই উৎসবে তাদের নৃত্যকলা প্রদর্শন করার জন্য। এইবার  আমাদের বন্ধ করে দিতে হয়েছে এই মেলা ।কারণ আগে প্রাণ। মানুষের জীবন আগে । সবাই সুস্থ থাকুন  তারপরে সব আনন্দ। তিনি বর্তমানের কথার মাধ্যমে বিধায়ক হিসেবে এবং উল্কা ক্লাবের একজন সদস্য হিসেবে সকলকে শারদীয়ার প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *