পৌরপতির হয়ে পৌরপতির লড়াই নির্বাচনী ময়দান কে আলোড়িত করছে।
1 min read
জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত গানের কলি” তুমি কোন কাননের ফুল, কোন গগনের তারা ” , আর এই গানের কলির মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে কাননের ফুল এবং গগনের তারার বিষয়টি জানান দিয়ে প্রচারের ঝড় তুলছেন পৌরসভার পৌরপতি। একজন পৌরপতির হয়ে পৌরপতির লড়াই কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার লোকসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রে সাড়া জাগিয়েছে। কবিগুরু তাঁর গানের কলিতে কোন কাননের ফুল এবং কোন গগনের তারা কে কিভাবে বোঝাতে চেয়েছেন তা ভাববার বিষয় হলেও পৌরপতি হয়ে পৌরপতির লড়াইয়ে ভোটাররা সহজে বুজছেন তৃণমূল কংগ্রেস কাননের ঘাসফুল এবং রায়গঞ্জ লোকসভা আসন নামক গগনের তারা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়ালের কথা।
নির্বাচনী প্রচারে লড়াই করা পৌর পতি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কার্তিক পাল এবং যার হয়ে লড়াই করছেন তিনিও পৌরপতি ইসলামপুর পৌরসভার। আজ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছলেন এবং নির্বাচনী প্রচার সারলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি তথা কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কার্তিক পাল সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ডের পৌরপতি অপরদিকে শহর সংগঠনের সভাপতি হিসেবে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় তাকে লড়াই করতে দেখে মুগ্ধ ১৩ নং ওয়ার্ড বাসীরা। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১৩ নং ওয়ার্ড টির কাউন্সিলর কংগ্রেস মনোনিত ও নির্বাচিত এবং এই ওয়ার্ডেই কালিয়াগঞ্জ শহর কংগ্রেসের সভাপতির বাড়ি। সাংসদ নির্বাচনে আর এক পৌরপতির হয়ে ১৩ নং ওয়ার্ড থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কে অধিক ভোটে লিড দেওয়ার জন্য লড়াই করার যাত্রাপথ শুরু করলেন পৌরপতি কার্তিক পাল। তবে এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন ও কালিয়াগঞ্জ পৌর বোর্ডের প্রথম তৃনমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা গত ২০১৫ পৌর নির্বাচনে পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ঈশ্বর রজকের বাড়ি। নেতাকর্মীদের সাথে করে বাড়ি বাড়ি প্রচারে পৌরপতির পাশে দেখা গেল না প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ঈশ্বর রজককে।”লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে ভোটে লিড দিতে চাই” – এই স্লোগান সুপ্ত থাকলেও পৌরপতির প্রচার লড়াইয়ের আসল বিষয় ছিল বর্তমানে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়নের কথা। এই উন্নয়ন কে আরো বেশি উন্নয়নের চেহারা দিতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল কে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করবার কথা বলেন ওয়ার্ড বাসীদের। তবে কালিয়াগঞ্জ শহরের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে পৌরপতি কার্তিক পালের যে লড়াই অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এসে অনুন্নত কালিয়াগঞ্জ পৌরসভাকে সাজিয়ে তুলতে যে লড়াই তা কিন্ত পৌরবাসীরা ইতিমধ্যে দেখেছেন এবং উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিটি পদক্ষেপে লড়াই করে উত্তীর্ণ হয়েছেন , তবে সাংসদ নির্বাচনে আর এক পৌরপতির হয়ে এই লড়াইয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি কিভাবে উত্তীর্ণ হবেন সেটা ২৩ মে নির্বাচনী ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রইলেন ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা সহ কালিয়াগঞ্জের মানুষ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন। পৌরপতির হয়ে পৌরপতির লড়াই কিন্তু ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ নির্বাচনী ময়দান আলোড়িত হয়েছে।