উনিশের ৪২ রায়গঞ্জ কোথায় দাঁড়িয়ে।
1 min read
জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা।”” ভোট ভোট ভোট দিন, রায়গঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে ভোট দিন ” এই স্লোগান নিঃশব্দ কারন এই এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের মনের চাহিদা। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক পর্যায়ে প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় ভোট প্রচারে মুখরিত রায়গঞ্জের রাজনৈতিক ময়দান। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বিজেপি তাদের প্রার্থীদের সমর্থনে বড় রাজনৈতিক সভা করে ফেলেছে এবং আগামী ১৬ তারিখ অবধি আরো কিছু সভার আয়োজন থাকলেও থাকতে পারে।
অপরদিকে বামফ্রন্ট তাদের ভোট প্রচারে ছোট ছোট সভার উপর ভিত্তি করেই প্রচারে মগ্ন। প্রতিটি রাজনৈতিক সভায় উপচে পড়ছে জনগণের ভিড়। কোন সভায় কত সংখ্যক লোকের জমায়েত সেই চর্চায় এই চৈত্র সংক্রান্তির সেলের বাজারেও থাবা বসিয়েছে উনিশের ৪২ রায়গঞ্জ লোকসভা কোথায় দাঁড়িয়ে। তবে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের বিভিন্ন স্থানের ভোটারদের আলোচনায় উঠে এসেছে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনে একটি বিষয় আলোড়িত চ্যালেঞ্জ।
এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলো রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি কাদের দখলে থাকবে। চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল এবং তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। ২০১১ সালের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় একাধিক উন্নয়ন এবং ইসলামপুর, কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ড তৃণমূল কংগ্রেসের পৌর বোর্ডে রুপান্তরিত হয়ে উক্ত এলাকায় সাংগঠনিক শক্তির শ্রীবৃদ্ধি, বিগত পৌর নির্বাচনে ডালখোলা ও রায়গঞ্জ পৌর নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস কতৃক পৌর বোর্ড গঠন, সদ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি জায়গায় জয়জয়কারে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ গঠন ইত্যাদির সংমিশ্রণে কানাইলাল আগরওয়াল কে বিপুল ভোটে জয়ী করবার চ্যালেঞ্জ ফাইট, প্রেস্টিজ ফাইট তৃনমূল কংগ্রেসের যা উনিশের ৪২ এ তৃণমূল কংগ্রেসের স্থান করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের চেয়েও অধিক চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। অন্যদিকে বামফ্রন্টের প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ তিনি এবং তার রাজনৈতিক দল সিপিআইএম গতবারের মতো এবারও জয়ের ধারা ধরে রাখার। অন্য দিকে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সী এবারেও রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। কংগ্রেস নেতৃত্বের কথায় কংগ্রেসের দুর্জয় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় গতবারের নির্বাচনে দাসমুন্সী পরিবারের মানুষকে টিএমসি দলে দাঁড় করিয়ে কংগ্রেস তথা দীপা দাসমুন্সীর জয়ের পথকে আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে যে প্রচার এবং কয়েকদিন আগ পর্যন্ত ৬০-৭০ শতাংশ কংগ্রেসের সৈনিকরা দল ত্যাগে অবশিষ্ট দের নিয়ে প্রয়াত নেতা প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সীর সেন্টিমেন্ট কে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের দুর্জয় ঘাঁটি হিসেবে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ।
অপরদিকে বিজেপি দলের প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী সহ বিজেপি নেতৃত্ব ও সংগঠনের কাছে চ্যালেঞ্জ টা চোরা স্রোতের মতো। তাদের বক্তব্য এই চোরা স্রোত কে চোরা বালিতে পরিনত করার চ্যালেঞ্জ। তবে উনিশের ৪২ রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি কোথায় দাঁড়িয়ে তা কিন্তু ভোট কাটাকাটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের উপর নির্ভর করছে। রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনী ময়দানে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীক্ষায় যাই প্রকাশিত হোক তার সত্যতা আগামী ২৩ মের নির্বাচনী ফলাফলে প্রকাশ পাবে কিন্তু ইতিমধ্যে জনগনের নিঃশব্দ স্লোগান ” ভোট ভোট ভোট দিন, সার্বিক উন্নয়নে ভোট দিন ” এই স্লোগানে রায়গঞ্জের রাজনৈতিক ময়দানের রাজনৈতিক দলগুলো এলাকার সার্বিক উন্নয়নে একজোট হতে পারে নি।
আর হতে পারেন নি বলেই এখনো অবধি এইমস, ডালখোলা ফ্লাই ওভার, জাতীয় সড়ক, কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপথ সহ একাধিক সর্ব স্তরের সার্বিক উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গেছে বলে ভোটারদের মন্তব্য। তাদের কথায় উন্নয়ন হয়েছে রাজনৈতিক মহলের কিন্তু এলাকার সার্বিক উন্নয়নের নয়। তবে উনিশের ৪২ এ রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি নির্বাচনে কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবে তা নির্বাচনী ফলাফলে নির্ভর করে থাকবে কিন্তু এই এলাকা যে সার্বিক অনুন্নয়নে দাঁড়িয়ে ছিল এবং আছে সেই বিষয়ে সকলেই একমত।