October 27, 2024

তরতাজা একটি প্রান চলে গেল, রানা আর নেই

1 min read

তরতাজা একটি প্রান চলে গেল, রানা আর নেই

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।ভাষা নেই, শব্দ হারিয়ে গেছে এলাকার সকল স্তরের মানুষের একটি সংবাদে। বেলা ৩.৩০ মিঃ টে দাবানলের মতো একটি মর্মান্তিক সংবাদে চারিদিক স্তব্ধ হয়ে যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার হরিহরপুর এলাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকা। ২২ বছরের তরতাজা যুবক ভৈরব পাকরাশি ওরফে রানা আর নেই এই বার্তা লোকমুখে প্রচার হতে শুরু করে। উক্ত এলাকার সকলের পরিচিত পাকড়াশি পরিবারের ছেলে রানা। প্রয়াত দেবু পাকড়াশির একমাত্র সন্তান ছিল রানা।

রানা এতদ অঞ্চলের বহুল প্রশংসিত একজন যুবক। পিতৃহীন রানা মাকে নিয়েই তাঁর সংসার। এলাকার আপদ বিপদে সবার পাশে থাকতো, আর আজ রানা সকলের মায়া মমতা ত্যাগ করে নিজেই চলে গেল। একদিকে যেমন ব্যবসা করতো তেমনি পারিবারিক প্রথায় কালিয়াগঞ্জ শহরে বহেরা মায়ের মন্দিরে শনিবার ও মঙ্গলবার পাঁঠা বলিও দিত। সামান্য আয়ের জন্য মাকে নিয়ে সংসার চালানোই ছিল সংসারের একমাত্র উৎস রানা। প্রতিদিন সকাল বেলার মতো আজো নতুন সূর্যোদয়ে মায়ের হাতে দুটি বিস্কুট ও জল খেয়ে বেড়িয়ে যায় অন্যের গাড়িতে করে ব্যবসায়িক স্থলে। কিন্তু সূর্যাস্তের আগে এইভাবে সে চলে যাবে এখনো কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। কুশমন্ডি থানার অন্তর্গত কালিকামাড়া এলাকায় বাড়ি আসার পথে গাড়িটির পিছনের চাকা আচমকা বাস্ট হয়ে যাওয়ায় গাড়িটি আচমকাই হেলতে থাকে।

গাড়ির বাঁদিকে জানালার সাইডে রানা বসে ছিল। মাথা বের করে গাড়ির চাকা বাস্ট হয়ে যাওয়া দেখতে গিয়েই বিপত্তি ডেকে আনে। ঐ সময়েই গাড়িটি বাঁদিকে পাল্টি খেয়ে রানার উপরে যায়। সেখানেই রানার মৃত্যু। ঐ এলাকার মানুষজন দৌড়ে এসে প্রথমে ঐ এলাকার কোনো এক ভাঁটার জেসিপি দিয়ে গাড়িটিকে তুলে নীচে চাপা পরে যাওয়া রানার মৃতদেহকে উদ্ধার করে কুশমন্ডি হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। দুর্ঘটনা স্থলে রানার মুখ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরন হয়। বর্তমানে রানা চিরতরে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়ে আছে কুশমন্ডি থানায়। আগামীকাল বালুরঘাটে প্রথা অনুযায়ী পোস্টমর্টেম হয়ে ফিরে আসবে এলাকায় সবার মাঝে, মায়ের কাছে। স্বামী হীনা, পুত্র হীনা মায়ের শোকের মাঝে রানা আর নেই, রানা ফিরেও আসবে না কোনোদিন, তবে এলাকার সকলের কাছে রানা চিরস্মরণীয় হয়ে বেঁচে থাকবে চিরকাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *