October 26, 2024

আমার সোনার হরিণ চাই , তোরা যে যা বলিস ভাই। সামনে বিধানসভা ভোট যেন সোনার হরিণ

1 min read

আমার সোনার হরিণ চাই , তোরা যে যা বলিস ভাই। সামনে বিধানসভা ভোট যেন সোনার হরিণ

 

তনময় চক্রবর্তী আমার সোনার হরিণ চাই , তোরা যে যা বলিস ভাই। সামনে বিধানসভা ভোট যেন সোনার হরিণ। তাই সেই সোনার হরিণ ধরতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি করোনা ভয় কে অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে শহরে একাধিক মানুষকে নিয়ে কখনো দলবদল এর খেলায় মেতে উঠেছে কখনো বা ভার্চুয়াল বৈঠকে মেতে উঠেছে কখনো আবার এক রাজনৈতিক দল অপর রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বলতে গ্রামেগঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন হাজার মানুষকে বোঝাতে। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রত্যেক দলেরই আবোল তাবোল নেতারা নিজেদেরকে মনে করছে করোনা তাদের পাশবালিশ। সোনার হরিণ কে ধরার জন্য করোনা সংক্রমনের ভয় যেন তুচ্ছ।

অথচ নেতা-মন্ত্রীরা করণা সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে সচেতন থাকতে বলছেন বারে বারে। অথচ নিজেরাই মানছেন না কোন সর্তকতা। কারণ একটাই তাদের সামনে রয়েছে সোনার হরিণ বিধানসভা ভোট। তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। এক্ষেত্রে চুলায় যাক করোনা নিয়ে সর্তকতা । মুখে বলতে হয় তাই বলি এমনটাই ভাব নেতা মন্ত্রীদের। নির্বাচন অবশ্য আগামী বছর এপ্রিল- বা মে মাসে হতে পারে। তাও এই পরিস্থিতিতে ভোট হবে কিনা বা হলেও কবে হবে কেউ বলতে পারে না। এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কর্মকাণ্ড দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে করোনা টোনার সব তুচ্ছ। এখন ভোটের প্রস্তুতি আসল লক্ষ্য। সেইজন্য মহামারীর পরিস্থিতি কেউ তুচ্ছ করে দেখে এইসব সামাজিক বিধি ভঙ্গ করার লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে।

এখানে আমাদের প্রশ্ন, নিজেদের সুরক্ষার পরোয়ানা না করুন সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে খেলার অধিকার ? শাসক ঘাসফুল ধারী তৃণমূল কংগ্রেসী হোক আর পদ্ম ফুল এর গেরুয়া শিবির হোক। সকলেই শামিল স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার প্রতিযোগিতা য়। উত্তর দিনাজপুর জেলা র তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা থেকে ব্লক নেতৃত্বে অনেক নেতারাই রয়েছেন রোজ টিভিতে মুখ দেখাতে না পারলে তাদের রাতের ঘুম নাকি উড়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা গেরুয়া শিবিরের নেতাদেরও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, মাক্স পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরী।সরকারের পক্ষ থেকে ঢালাও প্রচার চলছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি, এমনকি সরকারি দল সেসব মারলে তো।

 

উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল কে যেমন দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনই জেলার কোন না কোন জায়গায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দলের নেতা থেকে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে।অপরদিকে গেরুয়া শিবিরের অর্থাৎ বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী কেউ দেখা যাচ্ছে শাসকদলের মত করে বিভিন্ন জায়গায় কর্মীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচি গ্রহণ করতে। এর পাশাপাশি দুই রাজনৈতিক দলেরই ছোট থেকে বড় সব ধরনের নেতারাই টিভির সামনে মুখ দেখানোর জন্য নানান ধরনের কর্মসূচি নিচ্ছেন সামাজিক বিধি ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত।

এখানে নিয়ম ভঙ্গ করলে কোন শাস্তি যখন হচ্ছে না তখন তারা বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে চলছে প্রতিনিয়ত। একদিকে তারা যেমন সেই কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে সেখানে সাধারণ মানুষকে যেমন সচেতন থাকার বার্তাও দিচ্ছেন তেমনি তারা সেই অনুষ্ঠান গুলিতেও গাদাগাদি ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে নিজেরা সামাজিক বিধি ভঙ্গ করে নজির সৃষ্টি করছেন। সংবাদমাধ্যম সেইসব নেতা-মন্ত্রীদের একদিকে যেমন বাইট পেতে ধাক্কাটা কি করছেন। ঠিক তখন উল্টো রাজনৈতিক দলের নেতা রাও ভাবছেন তারা কি এ সময় বসে থাকতে পারে চুপ করে। তাই তারাও মিটিং মিছিল করে অনবরত কখনো শহরে কখনো গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই দেখুন না এখন শুরু হয়েছে আবার এই দল ওই দল থেকে দলবদল এর খেলা।

তৃণমূল কংগ্রেস যখন জেলার কোন এক প্রান্তে বিজেপির কয়েকশো মানুষ কে তাদের দলে যোগদান করাচ্ছে ঠিক অপরপ্রান্তে দেখা গেল বিজেপিকে হাম কিসিসে কম নেহি মনোভাব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদেরও তাদের দলে যোগদান করাতে। প্রতিদিনই এইভাবে দলবদল এর কর্মসূচি থাকার ফলে করোনা সতর্কতার যে বারোটা বাজছে তা কিন্তু নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। এখানে আমার প্রশ্ন নেতা-মন্ত্রীরা এসব করে বেড়ালে আপনি আমি কি করবো।

তাদের যদি করোনা ভয় না থাকে, তাহলে আমরা কেন রুটি রোজগার ভুলে করোনার ভয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে থাকবো। এমন তো নয় যে করো না শুধু সাধারণ মানুষকেই সংক্রামিত করবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা থেকে শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য এমনকি উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার কাউকে কিন্তু করোনা ছাড়িনি। মন্ত্রী নেতারা সংক্রামিত হলে হয়তো ভিআইপি চিকিৎসা পাবেন কিন্তু সাধারণ মানুষের কি হবে ভাবুন একবার। নেতা-মন্ত্রীরা কোথাও গেলে ভিড় তো হবেই।সেই ভিড়ে কোথায়

শারীরিক দূরত্ব, কোথায় মাক্স। ভোট আসছে আসুক না। আপাতত অন্তত সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসে একটা সিদ্ধান্তে আসুক আগামী দু-তিন মাস নেতা-মন্ত্রীরা ঘরবন্দী থাকুন না।মন্ত্রীদের প্রশাসনিক কাজকর্ম করতে হলে অফিসে গিয়ে শারীরিক দূরত্বও সহ সমস্ত নিয়ম মেনে করুণ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে না হয় ভোট দিন ভোট দিন করবেন। নেতাকর্মীদের সৌজন্যে যেভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শহর এবং গ্রামে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিনিয়ত কর্মসূচি হচ্ছে দলীয় তাতে কত লোকের শরীরে যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কে জানে। যদি শাসক দলের নেতারা মন্ত্রীরা বিধায়করা এতদিন কাজ করেই থাকেন তাহলে এখন কিছুদিন এলাকায় এলাকায় ভাষণ না দিলেও চলবে। জনগণ যাকে ভোট দিবে ঠিক জেনে-বুঝেই দিবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আপনারাই ভাইরাস ছড়ালে ভোটারের মুখোমুখি হতে পারবেন তো এই প্রশ্ন কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছে এখন জনগণের মুখোমুখি। তাই সাবধান করো না থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *