October 26, 2024

বাড়ি গিয়ে সমস্যার কথা শুনলেন পুলিশ সুপার সাইকেলে চালিয়ে আশ্রমিকদের

1 min read

বাড়ি গিয়ে সমস্যার কথা শুনলেন পুলিশ সুপার সাইকেলে চালিয়ে আশ্রমিকদের

সাইকেলে চালিয়ে আশ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শুনলেন পুলিশ সুপার। রবিবার সকালে রীতিমতো আশ্রমিক কায়দায় পাঞ্জাবি পরে জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সাইকেল নিয়ে রওনা দিলেন পুলিশকর্মীরা ।গন্তব্য শান্তিনিকেতন এলাকায় কয়কব পুরুষ ধরে বসবাস করা প্রবীণ আশ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি ঘোরা। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলা নিয়েই আশ্রমিকরা সকলেই একবাক্যে সোচ্চার হলেন। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানান, “গত ১৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যে প্রশাসনিক বৈঠক হযেছিল। সেখানে শান্তিনিকেতন ঘিরে ফেলা অনেকেই সমস্যার কথা বলেছিলেন তা খতিয়ে দেখতে আজ আমরা আশ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। “বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। উপাচার্যের নির্দেশে পাঁচিলের কাজ শুরু হয়ছিল। যেদিন সেই কাজ শুরু হয়, তার পরদিন সকালে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে বিশ্বভারতী জুড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুর করা হয় নির্মাণসামগ্রী সহ বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস ও পৌষমেলার গেট। ঘটনায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলরদের। ঘটনাটি শান্তিনিকেতন থানার কাছাকাছি ঘটলেও পুলিশের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর। অন্যদিকে, একইভাবে শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকদের বাড়ির সামনে পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ।

শান্তিনিকেতনকে অচলায়তনে পরিণত করা হচ্ছে, অভিযোগে বহু আশ্রমিকের।এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত ১৯ আগস্ট জেলা প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গরহাজির থাকলেও বহু আশ্রমিককে দেখা গিয়েছিল।যারা পাঁচিল তোলা নিয়ে ক্ষোভ উগডে দেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসল বীরভূম জেলা পুলিশ।এদিন শান্তিনিকেতন এলাকায় পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা নিয়ে প্রবীণ আশ্রমিকদের মতামত জানতে শান্তিনিকেতন থানা থেকে সাইকেল নিয়েই রওনা দেন জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং ।

ছিলেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) শিবপ্রসাদ পাত্র, বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায় সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। সকলের পরনে ছিল পাঞ্জাবি। পুলিশকর্মীরা আশ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি যান ও তাঁদের মতামত শোনেন। প্রবীন আশ্রমিক উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায়, সুজিত চট্টোপাধ্যায়, ইলা ভট্টাচার্য, ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর, শ্যামল চন্দ প্রমূখের বাড়ি গিয়ে সঙ্গে কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার। প্রথমেই যান পূর্ব পল্লীর বাসিন্দা প্রবীন আশ্রমিক উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি তে।

জেলা পুলিশ সুপার কে সামনে পেয়ে উর্মিলা দেবী বলেন, “শান্তিনিকেতন কে ঘিরে ফেলায প্রবীন নাগরিক দের এক মিনিটের রাস্তা। এখন ঘুরে ১০ মিনিটে যেতে হচ্ছে।”পুলিশ সুপারের সঙ্গে থাকা অন্য আধিকারিকরা এই সব বক্তব্য লিখে নেন। সেখান থেকে প্রবীণ নাগরিক সুজিত চট্টোপাধ্যায় বাড়ি পৌঁছতেই উনি বলেন, “যে ভাবে পাঁচিল উডেছে তাতে একটা অ্যাম্বুলেন্স ও ঢুকবে না।

আমরা প্রবীনরা অসুস্থ হলে বিনা চিকিত্‍সায় মারা যাব ।”রতন পল্লীর বাসিন্দা ইলা ভট্টাচার্য তার বাড়ির সামনে সদ্য তৈরি হওয়া পাঁচিল দেখিয়ে বলেন, “আমাদের তিন পুরুষের বাস। কিন্তু এমন শান্তিনিকেতন হবে কখনও ভাবিনি। “পরে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবন লাগোয়া শান্তিদেব ঘোষের বাড়ির সামনে দেওয়া পাঁচিলটি খতিয়ে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা।সেখান থেকে সুভাষ পল্লীর বাসিন্দা আশ্রমিক ও ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বাড়িতে যান পুলিশ আধিকারিকরা। পরে সুপ্রিম বাবু বলেন, “যে ভাবে প্রসাসনের লোক জন বাড়ি এসে খবর নিচ্ছপাঁ তা প্রশংসার। পাঁচিল তোলার নামে জায়গাগুলোকে নষ্ট করা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, “আশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁদের মত নিলাম। মতামত নোট করেছি। পাঁচিল নিয়ে যদি কারও অভিযোগ থাকে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ঠাকুর পরিবারের সদস্য সহ প্রবীণ আশ্রমিকদের মতামত নেওয়া হয় আজ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *