পতাকা বিক্রি না হওয়ায় মাথায় হাত কালিয়াগঞ্জ এর ব্যবসায়ীদের । তবুও স্বাধীনতা দিবস এসে গেল
1 min readপতাকা বিক্রি না হওয়ায় মাথায় হাত কালিয়াগঞ্জ এর ব্যবসায়ীদের।তবুও স্বাধীনতা দিবস এসে গেল
তন্ময় চক্রবর্তী আর মাত্র দু’দিন। এই সময়ে প্রতিবছরই উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বত্র সারি সারি থরে থরে সাজানো থাকে জাতীয় পতাকা। এবারও আছে। তবে তা নামমাত্র। করোনা পরিস্থিতির ছাপ পড়েছে জাতীয় পতাকার বাজারেও। বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে লকডাউন ও কোভিডের জন্য বাইরে থেকে বিভিন্ন ধরনের পতাকা ও স্বাধীনতা দিবসে বিক্রি হয় এমন জিনিসপত্র ঠিক মতো আসছে না।
যা পাওয়া যাচ্ছে সে সবই লোকাল মেড। কিন্তু তার থেকেও বিক্রেতাদের বড় চিন্তা যা আসছে তাও কিনবে কে? ক্রেতা কোথায়? পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ট্রেন চলছে না। কিছু দূরপাল্লা বা লোকাল বাস চলাচল করছে। তবে তা হাতেগোনা। এই অবস্থায় খরিদ্দার নেই। কালিয়াগঞ্জ এর এক ব্যবসায়ী বলেন, ”প্রতি বছর অগস্টের দশ তারিখের পর থেকে দোকানে দোকানে ভিড় জমে যায় পতাকা কেনার। সিল্কের ও কাপড়ের পাশাপাশি কাগজের পতাকারও দারুণ চাহিদা থাকে। স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকারাও কেনেন। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরাও আসেন। বিভিন্ন ধরনের পতাকা কেনেন। কিন্তু এবার করোনা আবহে বাজার একেবার খারাপ। মাছি তাড়াচ্ছি। বিক্রিবাটা নেই। যেটুকু যা হাতে তৈরি পতাকা পাওয়া গেছে তাও কেনার খরিদ্দার নাই।” স্কুল কলেজ বন্ধ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও তালা পড়েছে। ফলে ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন সবাই। দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে। ফলে ক্রয় ক্ষমতা নেই অনেকেরই। এই অবস্থায় মানুষ পতাকা কেনার আগ্রহ হারিয়েছেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, ”অন্যান্য বছর এই সময়ে জাতীয় পতাকা জোগান দিতে আমরা হিমসিম খাই। কিন্তু এবার ছবিটা পুরোপুরি বদলে গেছে।”