October 26, 2024

রাজনীতিতে দলবদল সত্যি কি মানুষ ভালো চোখে দেখছে? প্রশ্ন একটাই উত্তর না।

1 min read

রাজনীতিতে দলবদল সত্যি কি মানুষ ভালো চোখে দেখছে? প্রশ্ন একটাই উত্তর না।

তন্ময় চক্রবর্তী রাজনীতিতে দলবদল মানুষ কি ভালো চোখে দেখছে ? মাঝেমধ্যেই শোনা যায় এই দল থেকে ওই দল ওই দল থেকে এই দলে হাজার হাজার মানুষ নাকি আসা যাওয়া করছে। আসলে কি ঘরের টানে ঘরে ফিরে আসা নাকি অন্য ঘরে গিয়ে সুবিধা করতে না পেরে অগত্যা ফিরে আসা। প্রশ্ন হয়তো একটা কিন্তু উত্তর অনেক। কেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিভিন্ন জেলার প্রভাবশালীরা ফের তৃণমূলে ফিরে আসছেন ? আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে তৃণমূল থেকে বিজেপির দলে ফিরে আসছেন ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত বিজেপি তে গিয়ে উপযুক্ত সম্মান না পাওয়া। দ্বিতীয়তঃ নিজেদের মতাদর্শের সঙ্গে মিল না মেলা। তৃতীয়তঃ একছত্র আধিপত্য ছাড় না পাওয়া। চতুর্থত, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতার শেকলবন্দি হয়ে যাওয়া। পঞ্চমত, অনুগামীদের মধ্যে অসন্তোষ। মূলত এই পাঁচটি নেপথ্যে কারণ হতে পারে বিজেপি থেকে যারা ফের তৃণমূলে ফিরে আসছেন তাদের ঘরে ফেরার কারণ। তবে এসবের বাইরে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। থাকতে পারে রাজনৈতিক চাপ কিংবা নানান ঘটনাপ্রবাহ। রাজনৈতিক চোখে তাকালে ২০২১ এর আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ মানে ই তৃণমূলে শক্তি বৃদ্ধি। রাজনৈতিক কারণ ব্যতীত আসলে হিন্দুত্বে বিশ্বাসী গেরুয়া শিবির থেকে যারা ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসছেন তাদের প্রতিটি দলেই কিন্তু গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আসলে এরা সুবিধাবাদী নেতা কিংবা নেত্রী বলে সর্বসাধারণের চোখে বরাবর বিবেচ্য। তথাপি আমাদের রাজ্যে দলবদল একটা ট্রেডিশন। যে যত বেশি শক্তি নিয়ে দলবদল করতে পারবেন তার গ্রহণযোগ্যতা রাজনীতিতে নাকি ততটাই বেশি। তবুও থেকে যায় প্রশ্ন এই দলবদল এর আসল নেপথ্যের কারণ নিয়ে। কেন বারবার দলবদল ? রাজনীতির ময়দানে বড় সংঘাত কিংবা রাজনীতিতে খুব বেশি নিরুপায় হয়ে দলবদল করাটা অন্য জিনিস। কিন্তু প্রতিবার ভোটের মুখে কোন রাজনীতির ময়দান কেমন রয়েছে যারা এই পথে হাঁটেন, তারা আসলে মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। মানুষ একটা রঙ দেখে যার উপর আস্থা রাখে, একটা দলীয় প্রতীক দেখে যার উপর ভরসা রাখে সেই বিশ্বাস এবং ভরসা বারবার খান খান হলেও মানুষের রাজনীতির ওপর বিতৃষ্ণা জন্মাবে। আর যেটা জন্মাচ্ছে ও। তাই এই রাজনীতির দলবদল এর নেপথ্যে কারণ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তর যাই হোক না কেন, রাজনীতির বাইরের মানুষের অন্তরের উত্তরটা একবার বোধহয় জানা দরকার এই সমস্ত দলবদলিদের। সামনে বিধানসভা নির্বাচন আসছে তাই ইতিমধ্যে এই দলবদল এর মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় জায়গায়। আর মানুষ ঠাট্টা করে বলছে অনেকেই এখনতো আর প্রকৃত রাজনীতিবিদ নেই, বেশিরভাগ মানুষই রাজনীতি করছেন এখন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজেদের গোছানোর তাগিদে। তাই আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বর্তমান রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে কতটুকুই বা ভালো কিছু আশা করতে পারে। আর এইভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে রাজনীতিবিদদের উপর মানুষের আস্থা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে তা কিন্তু বলা যেতেই পারে। কারণ দলবদল মানুষ ভালো চোখে দেখছে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *